৪১ বছরেও দ্যুতি ছড়াচ্ছেন পূর্ণিমা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০২:৫৮:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ জুলাই ২০২২
  • / ১৭৫ Time View

বিনোদন ডেস্কঃ

সময় কম গড়ায়নি। ইতিমধ্যে ৪০ বসন্ত অতিক্রম করেছেন তিনি। পা রেখেছেন ৪১ বছরে। এ সময়ে এসে এখনও দ্যুতি ছড়াচ্ছেন চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা। ১১ জুলাই তার জন্মদিন।

১৯৮১ সালের এই দিনে চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার পারিবারিক নাম দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। শৈশব ও প্রাথমিক শিক্ষাজীবন চট্টগ্রামেই কেটেছে তার। অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ থেকেই চলচ্চিত্রে নাম লেখান। এরপর প্রায় দুই যুগের অভিনয় ক্যারিয়ারে শতাধিক দর্শকনন্দিত সিনেমা উপহার দিয়েছেন। পাশাপাশি ছোট পর্দা, অর্থাৎ টেলিভিশনেও করেছেন চমৎকার কিছু কাজ। তবে সব কিছুকে ছাপিয়ে একজন জনপ্রিয় উপস্থাপকও তিনি।

১৯৯৭ সালে বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা জাকির হোসেন রাজুর হাত ধরে চলচ্চিত্রে পূর্ণিমার অভিষেক ঘটে। এরপর অনেক জনপ্রিয় সিনেমা তিনি উপহার দেন।

২০১০ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘ওরা আমাকে ভাল হতে দিলো না’ সিনেমার জন্য পূর্ণিমা সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে- ‘নিঃশ্বাসে তুমি বিশ্বাসে তুমি’, ‘হৃদয়ের কথা’, ‘ধোঁকা’, ‘শিকারী’, ‘স্বামী-স্ত্রীর যুদ্ধ’, ‘মেঘের পরে মেঘ’, ‘টাকা’, ‘শাস্তি’, ‘মনের সাথে যুদ্ধ’, ‘আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা’, ‘পরাণ যায় জ্বলিয়া রে’, ‘মায়ের জন্য পাগল’, ‘ওরা আমাকে ভাল হতে দিলো না’ ইত্যাদি।

পূর্ণিমা অভিনীত নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘ল্যাবরেটরি’, ‘এখনো ভালোবাসি’, ‘নীলিমার প্রান্তে দাঁড়িয়ে’, ‘অমানিশা’, ‘ওইখানে যেও নাকো তুমি’, ‘উল্টোধনুক’, ‘প্রেম অথবা দুঃস্বপ্নের রাত দিন’, ‘লাভ অ্যান্ড কোং’, ‘ফিরে যাওয়া হলো না’ ইত্যাদি।

২০০৭ সালের ৪ নভেম্বর পারিবারিকভাবে আহমেদ জামাল ফাহাদের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় তারকা পূর্ণিমা। ২০১৪ সালের ১৩ এপ্রিল কন্যাসন্তান জন্ম দেন এই অভিনেত্রী। মেয়ের নাম রেখেছেন আরশিয়া উমাইজা।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

৪১ বছরেও দ্যুতি ছড়াচ্ছেন পূর্ণিমা

Update Time : ০২:৫৮:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ জুলাই ২০২২

বিনোদন ডেস্কঃ

সময় কম গড়ায়নি। ইতিমধ্যে ৪০ বসন্ত অতিক্রম করেছেন তিনি। পা রেখেছেন ৪১ বছরে। এ সময়ে এসে এখনও দ্যুতি ছড়াচ্ছেন চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা। ১১ জুলাই তার জন্মদিন।

১৯৮১ সালের এই দিনে চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার পারিবারিক নাম দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। শৈশব ও প্রাথমিক শিক্ষাজীবন চট্টগ্রামেই কেটেছে তার। অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ থেকেই চলচ্চিত্রে নাম লেখান। এরপর প্রায় দুই যুগের অভিনয় ক্যারিয়ারে শতাধিক দর্শকনন্দিত সিনেমা উপহার দিয়েছেন। পাশাপাশি ছোট পর্দা, অর্থাৎ টেলিভিশনেও করেছেন চমৎকার কিছু কাজ। তবে সব কিছুকে ছাপিয়ে একজন জনপ্রিয় উপস্থাপকও তিনি।

১৯৯৭ সালে বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা জাকির হোসেন রাজুর হাত ধরে চলচ্চিত্রে পূর্ণিমার অভিষেক ঘটে। এরপর অনেক জনপ্রিয় সিনেমা তিনি উপহার দেন।

২০১০ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘ওরা আমাকে ভাল হতে দিলো না’ সিনেমার জন্য পূর্ণিমা সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে- ‘নিঃশ্বাসে তুমি বিশ্বাসে তুমি’, ‘হৃদয়ের কথা’, ‘ধোঁকা’, ‘শিকারী’, ‘স্বামী-স্ত্রীর যুদ্ধ’, ‘মেঘের পরে মেঘ’, ‘টাকা’, ‘শাস্তি’, ‘মনের সাথে যুদ্ধ’, ‘আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা’, ‘পরাণ যায় জ্বলিয়া রে’, ‘মায়ের জন্য পাগল’, ‘ওরা আমাকে ভাল হতে দিলো না’ ইত্যাদি।

পূর্ণিমা অভিনীত নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘ল্যাবরেটরি’, ‘এখনো ভালোবাসি’, ‘নীলিমার প্রান্তে দাঁড়িয়ে’, ‘অমানিশা’, ‘ওইখানে যেও নাকো তুমি’, ‘উল্টোধনুক’, ‘প্রেম অথবা দুঃস্বপ্নের রাত দিন’, ‘লাভ অ্যান্ড কোং’, ‘ফিরে যাওয়া হলো না’ ইত্যাদি।

২০০৭ সালের ৪ নভেম্বর পারিবারিকভাবে আহমেদ জামাল ফাহাদের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় তারকা পূর্ণিমা। ২০১৪ সালের ১৩ এপ্রিল কন্যাসন্তান জন্ম দেন এই অভিনেত্রী। মেয়ের নাম রেখেছেন আরশিয়া উমাইজা।