৩৫ লাখ বাংলাদেশি ডিভিও সরিয়েছে টিকটক

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১০:৫৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ জুলাই ২০২২
  • / ২২৫ Time View

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্কঃ

বছরের প্রথম তিন মাসে প্রায় ৩৫ লাখ বাংলাদেশি ডিভিও সরিয়ে ফেলেছে টিকটক। এসব ভিডিও প্রতিষ্ঠানটির সামাজিক নীতিমালার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল না। অশ্লীলতা, বর্ণবাদ, ধর্মীয় উগ্রতা ছিল এসবের মূল বিষয়বস্তু। সবচেয়ে বেশি ভিডিও সরানো হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের।

তথ্য-প্রযুক্তির বিকাশ ঘটছে। মানুষ ঝুঁকছে ভার্চুয়াল জগতে। বিনোদন দেয়া কিংবা নেয়াই শুধু নয়, খুলছে আয়ের পথও।

এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সামাজিক বিনোদন-মাধ্যম টিকটক। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে কমপক্ষে ১শ’ কোটি সক্রিয় ব্যবহারকারী রয়েছে চীনের মালিকানাধীন টিকটকের। মূলত অভিনয় বা গানের সাথে ঠোঁট মিলিয়ে ভিডিও তৈরি করে ছড়িয়ে দেয়ার মাধ্যম এটি।

অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মতো টিকটক ব্যবহারকারীদেরও মানতে হয় প্রতিষ্ঠানটির বেঁধে দেয়া নীতিমালা। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই এর ব্যত্যয় ঘটছে। প্রতিষ্ঠানটি সরিয়ে ফেলছে কোটি কোটি ভিডিও।

পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ১ কোটি ৪০ লাখ ৪৪ হাজার, পাকিস্তানের ১ কোটি ২৪ হাজারের বেশি ভিডিও সরিয়ে ফেলেছে টিকটক। এ সময়ে বাংলাদেশি ডিভিও সরানো হয় ৩৪ লাখ ৭৫ হাজার।

টিকটক কর্তৃপক্ষ বলছে, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গী, বিকৃত বিনোদন, ধর্মীয় উগ্রতা ছড়ানো ও যৌনতাপূর্ণ কর্মকাণ্ডের মতো সামাজিক নীতিমালা লঙ্ঘণের দায়ে এসব ভিডিও সরানো হয়েছে।

এদিকে, টিকটকের মাধ্যমে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বাড়ছে। নারী পাচার, মাদক, চোরাচালানসহ নানা অপরাধে জড়াচ্ছে অনেক টিকটকার। বিনোদনের নামে সামাজিক ভারসাম্য বিনষ্ট ও বিকৃত সংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়ছে।

টিকটকের মাধ্যমে কিছু ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানও হচ্ছে, তবুও ভিডিও নির্মাণকে কেন্দ্র করে মৃত্যু, সংঘর্ষ ও কিশোর গ্যাংয়ের উত্থানও ভাবাচ্ছে সমাজকে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

৩৫ লাখ বাংলাদেশি ডিভিও সরিয়েছে টিকটক

Update Time : ১০:৫৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ জুলাই ২০২২

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্কঃ

বছরের প্রথম তিন মাসে প্রায় ৩৫ লাখ বাংলাদেশি ডিভিও সরিয়ে ফেলেছে টিকটক। এসব ভিডিও প্রতিষ্ঠানটির সামাজিক নীতিমালার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল না। অশ্লীলতা, বর্ণবাদ, ধর্মীয় উগ্রতা ছিল এসবের মূল বিষয়বস্তু। সবচেয়ে বেশি ভিডিও সরানো হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের।

তথ্য-প্রযুক্তির বিকাশ ঘটছে। মানুষ ঝুঁকছে ভার্চুয়াল জগতে। বিনোদন দেয়া কিংবা নেয়াই শুধু নয়, খুলছে আয়ের পথও।

এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সামাজিক বিনোদন-মাধ্যম টিকটক। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে কমপক্ষে ১শ’ কোটি সক্রিয় ব্যবহারকারী রয়েছে চীনের মালিকানাধীন টিকটকের। মূলত অভিনয় বা গানের সাথে ঠোঁট মিলিয়ে ভিডিও তৈরি করে ছড়িয়ে দেয়ার মাধ্যম এটি।

অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মতো টিকটক ব্যবহারকারীদেরও মানতে হয় প্রতিষ্ঠানটির বেঁধে দেয়া নীতিমালা। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই এর ব্যত্যয় ঘটছে। প্রতিষ্ঠানটি সরিয়ে ফেলছে কোটি কোটি ভিডিও।

পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ১ কোটি ৪০ লাখ ৪৪ হাজার, পাকিস্তানের ১ কোটি ২৪ হাজারের বেশি ভিডিও সরিয়ে ফেলেছে টিকটক। এ সময়ে বাংলাদেশি ডিভিও সরানো হয় ৩৪ লাখ ৭৫ হাজার।

টিকটক কর্তৃপক্ষ বলছে, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গী, বিকৃত বিনোদন, ধর্মীয় উগ্রতা ছড়ানো ও যৌনতাপূর্ণ কর্মকাণ্ডের মতো সামাজিক নীতিমালা লঙ্ঘণের দায়ে এসব ভিডিও সরানো হয়েছে।

এদিকে, টিকটকের মাধ্যমে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বাড়ছে। নারী পাচার, মাদক, চোরাচালানসহ নানা অপরাধে জড়াচ্ছে অনেক টিকটকার। বিনোদনের নামে সামাজিক ভারসাম্য বিনষ্ট ও বিকৃত সংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়ছে।

টিকটকের মাধ্যমে কিছু ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানও হচ্ছে, তবুও ভিডিও নির্মাণকে কেন্দ্র করে মৃত্যু, সংঘর্ষ ও কিশোর গ্যাংয়ের উত্থানও ভাবাচ্ছে সমাজকে।