২০২২ সালে হারিয়ে যাওয়া তারকারা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০২:১৪:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ১৬৫ Time View

বিনোদন ডেস্কঃ

দেখতে দেখতে ২০২২ সাল বিদায়ের দ্বারপ্রান্তে। বদলে যাবে ক্যালেন্ডার, বদলে যাবে অনেক কিছু। সময়ের খাতায় যোগ হবে নতুন নতুন প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা। তবে কিছু মানুষ হারিয়ে গেলেন চিরকালের মতো শোবিজ থেকে। যাদের মনে রবে তাদের কর্ম ও চেতনায়। দেখে নেয়া যাক এ বছর হারিয়ে ফেলা সেইসব প্রিয় মানুষদের নামগুলো-

শর্মিলী আহমেদ

চলতি বছরের ৮ জুলাই ঢাকাই সিনেমার বরেণ্য অভিনেত্রী শর্মিলী আহমেদ মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। মঞ্চ, টিভি ধারবাহিক, খণ্ড নাটক ও চলচ্চিত্রের বৈচিত্র্যপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। তার মৃত্যু শোবিজে মমতাময়ী এক মা হারানোর শোক নামিয়েছিল।

 

আলম খান

এ বছরের ৮ জুলাই যেন শোকের মিছিল নেমেছিল। অভিনেত্রী শর্মিলী আহমেদের মৃত্যুর শোক কাটতে না কাটতেই আসে অসংখ্য কালজয়ী গানের সুরকার আলম খানের মৃত্যুর খবর। ‘ওরে নীল দরিয়া’, ‘হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস’, ‘আমি একদিন তোমায় না দেখিলে’, ‘চাঁদের সাথে দেব না’সহ অসংখ্য কালজয়ী গান উপহার দিয়েছেন এই কিংবদন্তি সংগীত পরিচালক।

 

গাজী মাজহারুল আনোয়ার

বাংলাদেশের গান ও চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি এক নাম গাজী মাজহারুল আনোয়ার। সবাইকে কাঁদিয়ে ৪ সেপ্টেম্বর তিনি চলে যান না ফেরার দেশে। ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’, ‘একতারা তুই দেশের কথা বলরে এবার বল’, ‘একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়’, ‘গানের খাতায় স্বরলিপি লিখে’, ‘আকাশের হাতে আছে একরাশ নীল’, ‘শুধু গান গেয়ে পরিচয়’, ‘আছেন আমার মোক্তার আছেন আমার ব্যারিস্টার’, ‘ইশারায় শিস দিয়ে’সহ অসংখ্য কালজয়ী গান উপহার দিয়েছেন এই কিংবদন্তি গীতিকার, চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক ও বহু কালজয়ী গানের স্রষ্টা।

 

মাসুম আজিজ

একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনয়শিল্পী, নাট্যকার মাসুম আজিজ ১৭ অক্টোবর বিকেলে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। ১৮ অক্টোবর পাবনার ফরিদপুর উপজেলার নিজ বাড়িতে মায়ের পাশে মাসুম আজিজের দাফন সম্পন্ন হয়। ক্যান্সারের পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে হার্টের সমস্যায়ও ভুগছিলেন এই অভিনেতা ও নাট্যকার।

 

আজিজুর রহমান

এ বছরের ১৫ মার্চ কানাডার টরন্টোর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা যান বর্ষীয়ান চলচ্চিত্র নির্মাতা আজিজুর রহমান। আজিজুর রহমান ৫৪টি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘ছুটির ঘণ্টা’, ‘অশিক্ষিত’, ‘মাটির ঘর’, ‘জনতা এক্সপ্রেস’, ‘সাম্পানওয়ালা’, ‘ডাক্তার বাড়ি’, ‘গরমিল’ ও ‘সমাধান’ ইত্যাদি।

 

আজিজুর রহমান বুলি

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির সাবেক সভাপতি, প্রযোজক এবং পরিচালক আজিজুর রহমান বুলি ২৩ অক্টোবর মারা গেছেন। তিনি ৫০ টিরও বেশি চলচ্চিত্র প্রযোজনা ও পরিচালনা করেন।

 

কে জি মোস্তফা

আজিমপুরে নিজ বাসায় ৮ মে রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন গীতিকার ও সাংবাদিক কে জি মুস্তাফা। ৯ মে আজিমপুর কবরস্থানে তার দাফন করা হয়। ১৯৬০ সাল থেকে চলচ্চিত্র, রেডিও এবং টেলিভিশনে তার লেখা প্রচুর গান প্রচারিত হয়। হাজার গানের গীতিকার কে জি মুস্তাফার সিনেমার গানগুলোর জন্যও জনপ্রিয়।

 

কাওসার আহমেদ চৌধুরী

কাওসার আহমেদ চৌধুরী মূলত একজন গীতিকবি। তবে জ্যোতিষী হিসেবেও তিনি পরিচিত। তাঁর লেখা শ্রোতাপ্রিয় কয়েকটি গান হলো- ‘আজ এই বৃষ্টির কান্না দেখে’, ‘আমায় ডেকো না’, ‘কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে’, ‘যেখানে সীমান্ত তোমার’, ‘রুপালি গিটার ফেলে’। চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি ৭৭ বছর বয়সে মারা যান তিনি।

 

কণ্ঠশিল্পী আকবর

দীর্ঘদিন নানা অসুখে ভুগে ১৩ নভেম্বর দুপুরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ‘ইত্যাদি’খ্যাত কণ্ঠশিল্পী আকবর। যশোর শহরতলীর সুজালপুরে গ্রামের বাড়িতে মায়ের কবরের পাশে আকবরকে শায়িত করা হয়। ‘ইত্যাদিতে’ কিশোর কুমারের ‘একদিন পাখি উড়ে’ গানটি আলোচনায় নিয়ে আসে আকবরকে।

 

এ ছাড়াও চলতি বছরে হারানোর তালিকায় আছেন নৃত্যশিল্পী গোলাম মুস্তফা, নাট্যনির্মাতা সাখাওয়াত মানিক, অভিনেত্রী ও প্রযোজক রাইমা ইসলাম শিমু, ড্রামার রুমি।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

২০২২ সালে হারিয়ে যাওয়া তারকারা

Update Time : ০২:১৪:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২২

বিনোদন ডেস্কঃ

দেখতে দেখতে ২০২২ সাল বিদায়ের দ্বারপ্রান্তে। বদলে যাবে ক্যালেন্ডার, বদলে যাবে অনেক কিছু। সময়ের খাতায় যোগ হবে নতুন নতুন প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা। তবে কিছু মানুষ হারিয়ে গেলেন চিরকালের মতো শোবিজ থেকে। যাদের মনে রবে তাদের কর্ম ও চেতনায়। দেখে নেয়া যাক এ বছর হারিয়ে ফেলা সেইসব প্রিয় মানুষদের নামগুলো-

শর্মিলী আহমেদ

চলতি বছরের ৮ জুলাই ঢাকাই সিনেমার বরেণ্য অভিনেত্রী শর্মিলী আহমেদ মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। মঞ্চ, টিভি ধারবাহিক, খণ্ড নাটক ও চলচ্চিত্রের বৈচিত্র্যপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। তার মৃত্যু শোবিজে মমতাময়ী এক মা হারানোর শোক নামিয়েছিল।

 

আলম খান

এ বছরের ৮ জুলাই যেন শোকের মিছিল নেমেছিল। অভিনেত্রী শর্মিলী আহমেদের মৃত্যুর শোক কাটতে না কাটতেই আসে অসংখ্য কালজয়ী গানের সুরকার আলম খানের মৃত্যুর খবর। ‘ওরে নীল দরিয়া’, ‘হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস’, ‘আমি একদিন তোমায় না দেখিলে’, ‘চাঁদের সাথে দেব না’সহ অসংখ্য কালজয়ী গান উপহার দিয়েছেন এই কিংবদন্তি সংগীত পরিচালক।

 

গাজী মাজহারুল আনোয়ার

বাংলাদেশের গান ও চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি এক নাম গাজী মাজহারুল আনোয়ার। সবাইকে কাঁদিয়ে ৪ সেপ্টেম্বর তিনি চলে যান না ফেরার দেশে। ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’, ‘একতারা তুই দেশের কথা বলরে এবার বল’, ‘একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়’, ‘গানের খাতায় স্বরলিপি লিখে’, ‘আকাশের হাতে আছে একরাশ নীল’, ‘শুধু গান গেয়ে পরিচয়’, ‘আছেন আমার মোক্তার আছেন আমার ব্যারিস্টার’, ‘ইশারায় শিস দিয়ে’সহ অসংখ্য কালজয়ী গান উপহার দিয়েছেন এই কিংবদন্তি গীতিকার, চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক ও বহু কালজয়ী গানের স্রষ্টা।

 

মাসুম আজিজ

একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনয়শিল্পী, নাট্যকার মাসুম আজিজ ১৭ অক্টোবর বিকেলে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। ১৮ অক্টোবর পাবনার ফরিদপুর উপজেলার নিজ বাড়িতে মায়ের পাশে মাসুম আজিজের দাফন সম্পন্ন হয়। ক্যান্সারের পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে হার্টের সমস্যায়ও ভুগছিলেন এই অভিনেতা ও নাট্যকার।

 

আজিজুর রহমান

এ বছরের ১৫ মার্চ কানাডার টরন্টোর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা যান বর্ষীয়ান চলচ্চিত্র নির্মাতা আজিজুর রহমান। আজিজুর রহমান ৫৪টি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘ছুটির ঘণ্টা’, ‘অশিক্ষিত’, ‘মাটির ঘর’, ‘জনতা এক্সপ্রেস’, ‘সাম্পানওয়ালা’, ‘ডাক্তার বাড়ি’, ‘গরমিল’ ও ‘সমাধান’ ইত্যাদি।

 

আজিজুর রহমান বুলি

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির সাবেক সভাপতি, প্রযোজক এবং পরিচালক আজিজুর রহমান বুলি ২৩ অক্টোবর মারা গেছেন। তিনি ৫০ টিরও বেশি চলচ্চিত্র প্রযোজনা ও পরিচালনা করেন।

 

কে জি মোস্তফা

আজিমপুরে নিজ বাসায় ৮ মে রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন গীতিকার ও সাংবাদিক কে জি মুস্তাফা। ৯ মে আজিমপুর কবরস্থানে তার দাফন করা হয়। ১৯৬০ সাল থেকে চলচ্চিত্র, রেডিও এবং টেলিভিশনে তার লেখা প্রচুর গান প্রচারিত হয়। হাজার গানের গীতিকার কে জি মুস্তাফার সিনেমার গানগুলোর জন্যও জনপ্রিয়।

 

কাওসার আহমেদ চৌধুরী

কাওসার আহমেদ চৌধুরী মূলত একজন গীতিকবি। তবে জ্যোতিষী হিসেবেও তিনি পরিচিত। তাঁর লেখা শ্রোতাপ্রিয় কয়েকটি গান হলো- ‘আজ এই বৃষ্টির কান্না দেখে’, ‘আমায় ডেকো না’, ‘কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে’, ‘যেখানে সীমান্ত তোমার’, ‘রুপালি গিটার ফেলে’। চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি ৭৭ বছর বয়সে মারা যান তিনি।

 

কণ্ঠশিল্পী আকবর

দীর্ঘদিন নানা অসুখে ভুগে ১৩ নভেম্বর দুপুরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ‘ইত্যাদি’খ্যাত কণ্ঠশিল্পী আকবর। যশোর শহরতলীর সুজালপুরে গ্রামের বাড়িতে মায়ের কবরের পাশে আকবরকে শায়িত করা হয়। ‘ইত্যাদিতে’ কিশোর কুমারের ‘একদিন পাখি উড়ে’ গানটি আলোচনায় নিয়ে আসে আকবরকে।

 

এ ছাড়াও চলতি বছরে হারানোর তালিকায় আছেন নৃত্যশিল্পী গোলাম মুস্তফা, নাট্যনির্মাতা সাখাওয়াত মানিক, অভিনেত্রী ও প্রযোজক রাইমা ইসলাম শিমু, ড্রামার রুমি।