হালদা নদীকে ‘বঙ্গবন্ধু জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ ঐতিহ্য’ ঘোষণার সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৩:৪৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মার্চ ২০২১
  • / ১৫১ Time View

রুই জাতীয় মাছের প্রজননের জন্য দেশের সর্ববৃহৎ নদী হালদাকে ‘বঙ্গবন্ধু জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ ঐতিহ্য হালদা’ ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত জীববৈচিত্র্য বিষয়ক জাতীয় কমিটির প্রথম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান এনডিসি, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ) মো. মনিরুজ্জামান, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. একেএম রফিক আহাম্মদ, বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী, কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, বাণিজ্য এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দফতর বা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য আইন-২০১৭ অনুযায়ী গঠিত জাতীয় জীববৈচিত্র্য কমিটি জীববৈচিত্র্যের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা চিহ্নিতকরণ ও ঘোষণার জন্য পরামর্শ দেওয়া এবং ঘোষিত এলাকার ব্যবস্থাপনা বিষয়ে নিয়মিত নির্দেশনা দেবে। আজকের এই সিদ্ধান্তের ফলে হালদা নদীতে কার্প জাতীয় মাছের প্রজনন নির্বিঘ্ন, ডলফিন সুরক্ষা, দূষণ কমানোসহ সামগ্রিক জীববৈচিত্র্য ও প্রতিবেশ সংরক্ষণ সহজ করতে প্রয়োজনীয় কর্মসূচি নেওয়া হবে।’

পরিবেশমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধানের ১৮ক অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও উন্নয়নের জন্য সরকার দায়বদ্ধ। এছাড়াও জাতিসংঘের জীববৈচিত্র্য সনদ এর পক্ষে সরকার আন্তর্জাতিকভাবে অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়ে কাজ করছে।’

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

হালদা নদীকে ‘বঙ্গবন্ধু জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ ঐতিহ্য’ ঘোষণার সিদ্ধান্ত

Update Time : ০৩:৪৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মার্চ ২০২১

রুই জাতীয় মাছের প্রজননের জন্য দেশের সর্ববৃহৎ নদী হালদাকে ‘বঙ্গবন্ধু জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ ঐতিহ্য হালদা’ ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত জীববৈচিত্র্য বিষয়ক জাতীয় কমিটির প্রথম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান এনডিসি, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ) মো. মনিরুজ্জামান, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. একেএম রফিক আহাম্মদ, বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী, কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, বাণিজ্য এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দফতর বা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য আইন-২০১৭ অনুযায়ী গঠিত জাতীয় জীববৈচিত্র্য কমিটি জীববৈচিত্র্যের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা চিহ্নিতকরণ ও ঘোষণার জন্য পরামর্শ দেওয়া এবং ঘোষিত এলাকার ব্যবস্থাপনা বিষয়ে নিয়মিত নির্দেশনা দেবে। আজকের এই সিদ্ধান্তের ফলে হালদা নদীতে কার্প জাতীয় মাছের প্রজনন নির্বিঘ্ন, ডলফিন সুরক্ষা, দূষণ কমানোসহ সামগ্রিক জীববৈচিত্র্য ও প্রতিবেশ সংরক্ষণ সহজ করতে প্রয়োজনীয় কর্মসূচি নেওয়া হবে।’

পরিবেশমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধানের ১৮ক অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও উন্নয়নের জন্য সরকার দায়বদ্ধ। এছাড়াও জাতিসংঘের জীববৈচিত্র্য সনদ এর পক্ষে সরকার আন্তর্জাতিকভাবে অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়ে কাজ করছে।’