হাত সুন্দর রাখতে যা করবেন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৫:০৯:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ নভেম্বর ২০২০
  • / ১৬৬ Time View

লাইফ স্টাইল ডেস্কঃ সারাদিনে আমাদের দু’টি হাতই সম্ভবত সবচেয়ে বেশি কাজ করে। রান্না থেকে শুরু করে কীবোর্ডে লেখালেখি- সবই চলে এই দুই হাতে। এদিকে আগের থেকে এখন বেশিবার হাত ধোয়ার কারণে হাতের ত্বকও দ্রুত খসখসে হয়ে পড়ে। সাবানের ক্ষার বা স্যানিটাইজারের অ্যালকোহল কেড়ে নেয় হাতের কোমলতা। ফলে হাতে বয়সের ছাপ পড়ে দ্রুত। আবার শুষ্ক ত্বতে নানারকম রোগ দেখা দিতে পারে। তাই প্রথমেই সতর্ক হওয়া জরুরি।

কাজের শেষে হাত ধুয়ে, মুছে ভালো কোনও ব্যবহার করবেন। হাত অল্প ভেজা থাকতে থাকতেই পেট্রোলিয়াম জেলি আর নারিকেল তেলের মিশ্রণ লাগাতে পারেন। প্রতিবার হাত ধোয়া বা স্যানিটাইজ করার পরই একবার ময়েশ্চরাইজার লাগিয়ে নিন।

হাত নরম রাখার একমাত্র উপায় হলো ময়শ্চারাইজ করা। ধোয়া হয়ে গেলেই ক’ফোঁটা ময়শ্চারাইজার হাতে লাগিয়ে নিন। রাতে নারিশিং ক্রিম ব্যবহার করার সময়ে হাতের তালু, তালুর পেছন দিক, আঙুল, কবজি থেকে শুরু করে কনুই পর্যন্ত ভালো করে মাসাজ করতে হবে।

হাত ধোয়ার জন্য গ্লিসারিন এবং ক্রিম বেসড ওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। এতে রুক্ষতা কমবে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল ভালো করে মাসাজ করতে পারেন।

গোসল করার আগে হাতে ভালো করে তেল মেখে নিন। যে বডি অয়েল আপনার ত্বকের সঙ্গে ভালো যায়, সেটিই ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া তিলের তেল, আমন্ড অয়েল কিংবা অলিভ অয়েলও লাগাতে পারেন। তবে সেগুলো মাত্র কয়েক ফোঁটাই যথেষ্ট।

হাতে হট অয়েল মাসাজ করতে পারেন। দুই টেবিল চামচ বেসনের মধ্যে সামান্য দুধ অথবা টক দই এবং এক ফোঁটা হলুদ গুঁড়া দিয়ে মিহি মিশ্রণ তৈরি করুন। গোসলে আগে দু’হাতে ভালো করে সেই মিশ্রণ মেখে নিন। শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানিতে হাত ধুয়ে নিতে পারেন।

দু’চামচ সানফ্লাওয়ার অয়েল, দু’চামচ লেবুর রস ও তিন চামচ চিনি মিশিয়ে হাতে মাসাজ করুন। হাত নরম হবে। দুধ, কমলার খোসা, চিনি- হাত নরম ও সতেজ রাখার জন্য অনেকেই নানা কিছু ব্যবহার করেন। তবে বেশি জরুরি ময়েশ্চারাইজার। হাত কোমল রাখতে এর বিকল্প নেই।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

হাত সুন্দর রাখতে যা করবেন

Update Time : ০৫:০৯:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ নভেম্বর ২০২০

লাইফ স্টাইল ডেস্কঃ সারাদিনে আমাদের দু’টি হাতই সম্ভবত সবচেয়ে বেশি কাজ করে। রান্না থেকে শুরু করে কীবোর্ডে লেখালেখি- সবই চলে এই দুই হাতে। এদিকে আগের থেকে এখন বেশিবার হাত ধোয়ার কারণে হাতের ত্বকও দ্রুত খসখসে হয়ে পড়ে। সাবানের ক্ষার বা স্যানিটাইজারের অ্যালকোহল কেড়ে নেয় হাতের কোমলতা। ফলে হাতে বয়সের ছাপ পড়ে দ্রুত। আবার শুষ্ক ত্বতে নানারকম রোগ দেখা দিতে পারে। তাই প্রথমেই সতর্ক হওয়া জরুরি।

কাজের শেষে হাত ধুয়ে, মুছে ভালো কোনও ব্যবহার করবেন। হাত অল্প ভেজা থাকতে থাকতেই পেট্রোলিয়াম জেলি আর নারিকেল তেলের মিশ্রণ লাগাতে পারেন। প্রতিবার হাত ধোয়া বা স্যানিটাইজ করার পরই একবার ময়েশ্চরাইজার লাগিয়ে নিন।

হাত নরম রাখার একমাত্র উপায় হলো ময়শ্চারাইজ করা। ধোয়া হয়ে গেলেই ক’ফোঁটা ময়শ্চারাইজার হাতে লাগিয়ে নিন। রাতে নারিশিং ক্রিম ব্যবহার করার সময়ে হাতের তালু, তালুর পেছন দিক, আঙুল, কবজি থেকে শুরু করে কনুই পর্যন্ত ভালো করে মাসাজ করতে হবে।

হাত ধোয়ার জন্য গ্লিসারিন এবং ক্রিম বেসড ওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। এতে রুক্ষতা কমবে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল ভালো করে মাসাজ করতে পারেন।

গোসল করার আগে হাতে ভালো করে তেল মেখে নিন। যে বডি অয়েল আপনার ত্বকের সঙ্গে ভালো যায়, সেটিই ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া তিলের তেল, আমন্ড অয়েল কিংবা অলিভ অয়েলও লাগাতে পারেন। তবে সেগুলো মাত্র কয়েক ফোঁটাই যথেষ্ট।

হাতে হট অয়েল মাসাজ করতে পারেন। দুই টেবিল চামচ বেসনের মধ্যে সামান্য দুধ অথবা টক দই এবং এক ফোঁটা হলুদ গুঁড়া দিয়ে মিহি মিশ্রণ তৈরি করুন। গোসলে আগে দু’হাতে ভালো করে সেই মিশ্রণ মেখে নিন। শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানিতে হাত ধুয়ে নিতে পারেন।

দু’চামচ সানফ্লাওয়ার অয়েল, দু’চামচ লেবুর রস ও তিন চামচ চিনি মিশিয়ে হাতে মাসাজ করুন। হাত নরম হবে। দুধ, কমলার খোসা, চিনি- হাত নরম ও সতেজ রাখার জন্য অনেকেই নানা কিছু ব্যবহার করেন। তবে বেশি জরুরি ময়েশ্চারাইজার। হাত কোমল রাখতে এর বিকল্প নেই।