হাতপাখার চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর হামলা: আহত ১৩

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০১:২০:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন ২০২১
  • / ১৪৯ Time View

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বরিশাল সদর উপজেলার জাগুয়া ইউনিয়নের ইসলামী আন্দোলনের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীর উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। হামলায় ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীসহ ১৩ জন আহত হয়েছে।

ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা শেখ ফজলুল করীম মারুফ বিডিসমাচারকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আহত ১৩ জনের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা গুরুতর। আহতদের সকলকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার (১৬ জুন) রাতে  ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের খয়েরদি গ্রামে প্রচার-প্রচারণার সময় আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও তার অনুসারীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন প্রার্থী হেদায়াতুল্লাহ খান আজাদী।

আহতরা হলেন, হাতপাখার প্রার্থী মুফতি হেদায়েতুল্লাহ আজাদী, হাতপাখার কর্মী মো. রাকিব মাহমুদ, সাইদুল হাওলাদার, আব্দুল জলিল, প্রর্থীর ভাই শরিয়ত উল্লাহ, মো. আলামিন খান, মো. হাবিবুর রহমান টিপু খান, সযল তালুকদার, শাফায়াত উল্লাহ, বরকত উল্লাহ্, রানা, মোসাদ্দেক বিল্লাহ্ খান, শহিদুল ইসলাম খোকন।

জাগুয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বচনে ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী হেদায়াতুল্লাহ খান আজাদী বলেন, জাগুয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের খয়েরদি গ্রামে গণসংযোগ শেষে ফেরার সময় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী দিদারুল আলম শাহীন ১৫ থেকে ২০টি মোটরসাইকেলযোগে ঘটনাস্থলে এসে  আমাদের উপর হামলা চালায়। এসময় তাদের হাতে হকিস্টিক, লাঠি, ছুরি, রাম দা এবং ক্রিকেট স্ট্যাম্প ছিলো। তারা আমার কর্মীদের পিটিয়ে ও কুপিয়ে রক্তাক্ত করেছে।

আমার কর্মী সাইদুল ইসলামের অবস্থা গুরুত্বর। তার মাথায়, বুকে ও শরীরের অন্যান্য অংশে আঘাত করা হয়েছে। এছাড়া আমার আপন ছোট ভাই শরীয়তুল্লাহ, চাচাতো ভাই রাকিব মাহামুদ ও চাচা সজল তালুকদারকে কোপানো হয়েছে। এছাড়া আমাদের হ্যান্ড মাইক এবং আমাদের সাথে থাকা হাত পাখাগুলো নিয়ে গেছে দিদারুল আলম শাহীন ও তার লোকজন। পরে পুলিশে খবর দেয়া হলে তারা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেছে।

জাগুয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মোস্তাক আলম চৌধুরী বলেন, নৌকা আর হাতপাখা সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার খবর শুনেছি। তবে বিস্তারিত কিছু জানি না।

আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী দিদারুল আলম শাহীনকে মুঠোফোনে একাধিক বার কল করা হলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার উপ পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান জানান, খবর পাওয়ার সাথ সাথে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় থানায় কোন অভিযোগ দেওয়া হয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলেই আভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

হাতপাখার চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর হামলা: আহত ১৩

Update Time : ০১:২০:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন ২০২১

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বরিশাল সদর উপজেলার জাগুয়া ইউনিয়নের ইসলামী আন্দোলনের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীর উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। হামলায় ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীসহ ১৩ জন আহত হয়েছে।

ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা শেখ ফজলুল করীম মারুফ বিডিসমাচারকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আহত ১৩ জনের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা গুরুতর। আহতদের সকলকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার (১৬ জুন) রাতে  ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের খয়েরদি গ্রামে প্রচার-প্রচারণার সময় আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও তার অনুসারীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন প্রার্থী হেদায়াতুল্লাহ খান আজাদী।

আহতরা হলেন, হাতপাখার প্রার্থী মুফতি হেদায়েতুল্লাহ আজাদী, হাতপাখার কর্মী মো. রাকিব মাহমুদ, সাইদুল হাওলাদার, আব্দুল জলিল, প্রর্থীর ভাই শরিয়ত উল্লাহ, মো. আলামিন খান, মো. হাবিবুর রহমান টিপু খান, সযল তালুকদার, শাফায়াত উল্লাহ, বরকত উল্লাহ্, রানা, মোসাদ্দেক বিল্লাহ্ খান, শহিদুল ইসলাম খোকন।

জাগুয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বচনে ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী হেদায়াতুল্লাহ খান আজাদী বলেন, জাগুয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের খয়েরদি গ্রামে গণসংযোগ শেষে ফেরার সময় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী দিদারুল আলম শাহীন ১৫ থেকে ২০টি মোটরসাইকেলযোগে ঘটনাস্থলে এসে  আমাদের উপর হামলা চালায়। এসময় তাদের হাতে হকিস্টিক, লাঠি, ছুরি, রাম দা এবং ক্রিকেট স্ট্যাম্প ছিলো। তারা আমার কর্মীদের পিটিয়ে ও কুপিয়ে রক্তাক্ত করেছে।

আমার কর্মী সাইদুল ইসলামের অবস্থা গুরুত্বর। তার মাথায়, বুকে ও শরীরের অন্যান্য অংশে আঘাত করা হয়েছে। এছাড়া আমার আপন ছোট ভাই শরীয়তুল্লাহ, চাচাতো ভাই রাকিব মাহামুদ ও চাচা সজল তালুকদারকে কোপানো হয়েছে। এছাড়া আমাদের হ্যান্ড মাইক এবং আমাদের সাথে থাকা হাত পাখাগুলো নিয়ে গেছে দিদারুল আলম শাহীন ও তার লোকজন। পরে পুলিশে খবর দেয়া হলে তারা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেছে।

জাগুয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মোস্তাক আলম চৌধুরী বলেন, নৌকা আর হাতপাখা সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার খবর শুনেছি। তবে বিস্তারিত কিছু জানি না।

আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী দিদারুল আলম শাহীনকে মুঠোফোনে একাধিক বার কল করা হলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার উপ পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান জানান, খবর পাওয়ার সাথ সাথে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় থানায় কোন অভিযোগ দেওয়া হয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলেই আভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।