সড়ক দুর্ঘটনায় আহত রোগীর চাপ হাসপাতালে: হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৭:৪৬:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ মে ২০২২
  • / ২৭২ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক:

এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালের চিকিৎসকরা। গত পাঁচ দিনে দুর্ঘটনার কারণে হাসপাতালটিতে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ৪৭ জন। প্রতিদিনই অস্ত্রোপচার হচ্ছে শ’খানেক রোগীদের। গুরুতর আহতদের ক্ষেত্রে হাত অথবা পা কেটে ফেলার মাধ্যমে প্রায় দশ জনের ঘটছে অঙ্গহানি।

চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এবারের ঈদে রোগী ভর্তির সব রেকর্ড ভেঙে গেছে। ভর্তি রোগীদের চল্লিশ শতাংশ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার।

অতিরিক্ত রোগীর চাপ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অধ্যাপক ডা. জাহাঙ্গীর আলম গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা যদি প্রতিটি রোগীকে মাত্র ৫ মিনিট করেও সময় দিতে যাই, তাহলে শত শত রোগীদের পেছনে চলে যাবে অনেক সময়। আমরা রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছি। এমন অনেক রোগী আসছেন, যাদের অস্ত্রোপচার করতে দেরি হলে তাদের এক হাত অথবা পা কেটে ফেলতে হতে পারে। তাই অনেক রোগীর সিরিয়াল আগে থাকলেও জরুরি ভিত্তিতে যাদের আগে চিকিৎসা দেয়া দরকার তাদের দিচ্ছেন।

পুরো পঙ্গু হাসপাতালজুড়ে গত এক সপ্তাহ ধরে রয়েছে অতিরিক্ত রোগীর চাপ। গেল করোনায় দু’বছর ঘরবন্দি থাকার পর এবারের ঈদে যেমন বেড়েছে ঘরমুখো মানুষের চাপ, তেমনি ঈদের আনন্দ উদযাপনে অসতর্কতার কারণে বেড়েছে সড়ক দুর্ঘটনা।

তিন মাসের ছুটি নিয়ে ওমান থেকে দেশে এসেছিলেন রাসেল মিয়া। ঈদের দুই দিন পরেই ফিরে যাবার কথা ছিলে কর্মস্থলে। কিন্তু ঈদের রাতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার কারণে হাসপাতালে ভোগ করছেন মৃত্যু যন্ত্রণা।

সিরাজগঞ্জের আজিম শেখ, ঘুরতে বের হয়েছিলেন ঈদের দিন। দুর্ঘটনার শিকার হয়ে শুয়ে কাতরাচ্ছেন হাসপাতালের বিছানায়। দুটি অস্ত্রপচারের পর এখন সিদ্ধান্ত হবে পা কেটে ফেলতে হবে কিনা।

শুধু রাসেল মিয়া, আজিম শেখ নন; এবারের ঈদে তাদের মতো অনেককে সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

Please Share This Post in Your Social Media

সড়ক দুর্ঘটনায় আহত রোগীর চাপ হাসপাতালে: হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা

Update Time : ০৭:৪৬:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ মে ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক:

এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালের চিকিৎসকরা। গত পাঁচ দিনে দুর্ঘটনার কারণে হাসপাতালটিতে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ৪৭ জন। প্রতিদিনই অস্ত্রোপচার হচ্ছে শ’খানেক রোগীদের। গুরুতর আহতদের ক্ষেত্রে হাত অথবা পা কেটে ফেলার মাধ্যমে প্রায় দশ জনের ঘটছে অঙ্গহানি।

চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এবারের ঈদে রোগী ভর্তির সব রেকর্ড ভেঙে গেছে। ভর্তি রোগীদের চল্লিশ শতাংশ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার।

অতিরিক্ত রোগীর চাপ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অধ্যাপক ডা. জাহাঙ্গীর আলম গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা যদি প্রতিটি রোগীকে মাত্র ৫ মিনিট করেও সময় দিতে যাই, তাহলে শত শত রোগীদের পেছনে চলে যাবে অনেক সময়। আমরা রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছি। এমন অনেক রোগী আসছেন, যাদের অস্ত্রোপচার করতে দেরি হলে তাদের এক হাত অথবা পা কেটে ফেলতে হতে পারে। তাই অনেক রোগীর সিরিয়াল আগে থাকলেও জরুরি ভিত্তিতে যাদের আগে চিকিৎসা দেয়া দরকার তাদের দিচ্ছেন।

পুরো পঙ্গু হাসপাতালজুড়ে গত এক সপ্তাহ ধরে রয়েছে অতিরিক্ত রোগীর চাপ। গেল করোনায় দু’বছর ঘরবন্দি থাকার পর এবারের ঈদে যেমন বেড়েছে ঘরমুখো মানুষের চাপ, তেমনি ঈদের আনন্দ উদযাপনে অসতর্কতার কারণে বেড়েছে সড়ক দুর্ঘটনা।

তিন মাসের ছুটি নিয়ে ওমান থেকে দেশে এসেছিলেন রাসেল মিয়া। ঈদের দুই দিন পরেই ফিরে যাবার কথা ছিলে কর্মস্থলে। কিন্তু ঈদের রাতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার কারণে হাসপাতালে ভোগ করছেন মৃত্যু যন্ত্রণা।

সিরাজগঞ্জের আজিম শেখ, ঘুরতে বের হয়েছিলেন ঈদের দিন। দুর্ঘটনার শিকার হয়ে শুয়ে কাতরাচ্ছেন হাসপাতালের বিছানায়। দুটি অস্ত্রপচারের পর এখন সিদ্ধান্ত হবে পা কেটে ফেলতে হবে কিনা।

শুধু রাসেল মিয়া, আজিম শেখ নন; এবারের ঈদে তাদের মতো অনেককে সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালের চিকিৎসকরা।