সেই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০১:৫০:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ এপ্রিল ২০২১
  • / ১৫১ Time View
নিজস্ব প্রতিনিধি:

‘কাল মামুনুল হক হুজুরের একটি ভিডিও দেখলাম। যে ভিডিওতে দেখা যায়, স্ত্রীকে নিয়ে একটা রিসোর্টে গেছেন তিনি। অধিকাংশ সাংবাদিক সেখানে চিল্লাপাল্লা করে তার কাবিননামা দেখতে চাচ্ছে। আমার প্রশ্ন- সাংবাদিককে এই অধিকার কে দিয়েছে। আপনি যে কাবিননামা দেখবেন, আপনাকে এই অধিকার কি রাষ্ট্র দিয়েছে? আমি তো পুলিশের চাকরি করি, আমার জানা নাই। ভণ্ডামির একটা সীমা আছে। যদি স্ত্রী ব্যতীত অন্য কাউকে নিয়ে যেত, তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হতো। মিডিয়ার মাধ্যমে এমন একটা আলেম মানুষকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এ ধরনের হেনস্তা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’

ফেসবুক লাইভে এসে হেফাজত নেতা মামুনুল হককে নিয়ে এমন গুণকীর্তন করেন একজন পুলিশ সদস্য। তার নাম গোলাম রাব্বানী। এএসআই পদবির এই পুলিশ সদস্য বর্তমানে কুষ্টিয়ার ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত। এমন অপেশাদার বক্তব্য ভাইরাল হওয়ার পর রোববারই তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন।

জানতে চাইলে পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি ড. মুহিদ উদ্দিন বলেন, গোলাম রাব্বানীর বিরুদ্ধে এরই মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রত্যাহার করে তাকে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। পেশার বাইরে গিয়ে কেন অপেশাদার আচরণ করেছে- এটা জানতে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার ও ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।

জানা যায়, এএসআই গোলাম রাব্বানীর গ্রামের বাড়ি দিনাজপুর। পার্বতীপুর আদর্শ ডিগ্রি কলেজে তিনি পড়াশোনা করেন। যখন মামুনুল হকের গুণকীর্তন করছিলেন, তখনও তিনি পুলিশের পোশাক পরিহিত ছিলেন। তিনি এ সময় মিডিয়া ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

সেই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ

Update Time : ০১:৫০:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ এপ্রিল ২০২১
নিজস্ব প্রতিনিধি:

‘কাল মামুনুল হক হুজুরের একটি ভিডিও দেখলাম। যে ভিডিওতে দেখা যায়, স্ত্রীকে নিয়ে একটা রিসোর্টে গেছেন তিনি। অধিকাংশ সাংবাদিক সেখানে চিল্লাপাল্লা করে তার কাবিননামা দেখতে চাচ্ছে। আমার প্রশ্ন- সাংবাদিককে এই অধিকার কে দিয়েছে। আপনি যে কাবিননামা দেখবেন, আপনাকে এই অধিকার কি রাষ্ট্র দিয়েছে? আমি তো পুলিশের চাকরি করি, আমার জানা নাই। ভণ্ডামির একটা সীমা আছে। যদি স্ত্রী ব্যতীত অন্য কাউকে নিয়ে যেত, তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হতো। মিডিয়ার মাধ্যমে এমন একটা আলেম মানুষকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এ ধরনের হেনস্তা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’

ফেসবুক লাইভে এসে হেফাজত নেতা মামুনুল হককে নিয়ে এমন গুণকীর্তন করেন একজন পুলিশ সদস্য। তার নাম গোলাম রাব্বানী। এএসআই পদবির এই পুলিশ সদস্য বর্তমানে কুষ্টিয়ার ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত। এমন অপেশাদার বক্তব্য ভাইরাল হওয়ার পর রোববারই তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন।

জানতে চাইলে পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি ড. মুহিদ উদ্দিন বলেন, গোলাম রাব্বানীর বিরুদ্ধে এরই মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রত্যাহার করে তাকে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। পেশার বাইরে গিয়ে কেন অপেশাদার আচরণ করেছে- এটা জানতে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার ও ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।

জানা যায়, এএসআই গোলাম রাব্বানীর গ্রামের বাড়ি দিনাজপুর। পার্বতীপুর আদর্শ ডিগ্রি কলেজে তিনি পড়াশোনা করেন। যখন মামুনুল হকের গুণকীর্তন করছিলেন, তখনও তিনি পুলিশের পোশাক পরিহিত ছিলেন। তিনি এ সময় মিডিয়া ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেন।