সরকারি-বেসরকারি ও একাডেমিয়ার সম্মিলিত প্রয়াসে ডিজিটাল অর্থনীতি গড়ে তোলা হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৬:৫০:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন ২০২১
  • / ১৪৭ Time View

বিশেষ সংবাদদাতা:

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সরকারি- বেসরকারি ও একাডেমিয়ার সম্মিলিত প্রয়াসে ডিজিটাল অর্থনীতি গড়ে তোলা হচ্ছে। ইতোমধ্যে আইসিটি রপ্তানী ১ বিলিয়ন ডলার অর্জিত হয়েছে। ২০২৫ সালে তা ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা হবে।

তিনি আজ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের এলআইসিটি প্রকল্প ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত আইটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের (সিইও) জন্য তিন মাস ব্যাপী প্রশিক্ষণের সমাপনী অবিশেনে ডিজিটাল প্লাটফর্মে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে সরকার আইটি শিল্পের জন্য ‘মিশন ৫ বিলিয়ন ডলার’ শীর্ষক প্রবৃদ্ধি কৌশল প্রনয়ন করেছে। সরকার বেসরকারি খাত এবং একাডেমিয়াকে সঙ্গে নিয়েই এই লক্ষ্য অর্জন চায়। এজন্য তিনি আইটি প্রতিষ্ঠানের সিইওদের যথাযথ ভুমিকা পালনের আহবান জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার চতুর্থ শিল্প বিপ্লব সামনে রেখে বেসরকারি খাতকে সহযোগিতা প্রদানের জন্য সরকার প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা ও প্রণোদনা দিচ্ছে। দেশেই ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদনে মেইড ইন বাংলাদেশ-আইসিটি ইন্ডাস্ট্রি স্ট্রাটেজির খসড়া প্রনয়ন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সরকারি-বেসরকারি সম্মিলিত প্রয়াস এবং সহযোগিতার কারণেই করোনাকালেও দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকে। ২০২০ সালে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয় ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ এবং ২০২১ সালে মাথাপিছু আয় ২২২৭ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়।

পলক বলেন, সরকার ক্যাশলেস সোসাইটি গড়ে তোলার জন্য পেমেন্ট সিস্টেমের ডিজিটাইজেশন করেছে, যা মোবাইল আর্থিক সেবা ও ই-কমার্সের দ্রুত প্রবৃদ্ধি ঘটায়। ২০২১ সালের এপ্রিলে মোবাইলে লেনদেন হয় ৬৩ হাজার ৪শ ৭৯ কোটি টাকা। ই-কমার্সের প্রবৃদ্ধি হয় প্রায় ১৬৬ শতাংশ।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে সরকারের সকল সেবা ডিজিটালাইজেশন করা হবে। ইতোমধ্যে ৭ হাজারেরও বেশি ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে ৬০ লক্ষ মানুষকে সরকারের বিভিন্ন ধরনের সেবা অনলাইনে প্রদান করা হচ্ছে।

এলআইসিটি প্রকল্পের আইটি-আইটিইএস পলিসি এডভাইজার সামি আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব, অধ্যাপক শেখ মোরশেদ জাহান, বাক্কোর পরিচালক রাশেদ নোমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) পরিচালক অধ্যাপক ড. ফরহাত আনোয়ার।

দেশের আইটি প্রতিষ্ঠানের ৫০ জন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ৩ মাস ব্যাপী প্রশিক্ষণে অংশ নেয়। পরে প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ফরহাত আনোয়ার সফলভাবে প্রশিক্ষণ সম্পন্নকারীদের মাঝে সার্টিফিকেট প্রদান করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

সরকারি-বেসরকারি ও একাডেমিয়ার সম্মিলিত প্রয়াসে ডিজিটাল অর্থনীতি গড়ে তোলা হচ্ছে

Update Time : ০৬:৫০:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন ২০২১

বিশেষ সংবাদদাতা:

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সরকারি- বেসরকারি ও একাডেমিয়ার সম্মিলিত প্রয়াসে ডিজিটাল অর্থনীতি গড়ে তোলা হচ্ছে। ইতোমধ্যে আইসিটি রপ্তানী ১ বিলিয়ন ডলার অর্জিত হয়েছে। ২০২৫ সালে তা ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা হবে।

তিনি আজ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের এলআইসিটি প্রকল্প ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত আইটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের (সিইও) জন্য তিন মাস ব্যাপী প্রশিক্ষণের সমাপনী অবিশেনে ডিজিটাল প্লাটফর্মে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে সরকার আইটি শিল্পের জন্য ‘মিশন ৫ বিলিয়ন ডলার’ শীর্ষক প্রবৃদ্ধি কৌশল প্রনয়ন করেছে। সরকার বেসরকারি খাত এবং একাডেমিয়াকে সঙ্গে নিয়েই এই লক্ষ্য অর্জন চায়। এজন্য তিনি আইটি প্রতিষ্ঠানের সিইওদের যথাযথ ভুমিকা পালনের আহবান জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার চতুর্থ শিল্প বিপ্লব সামনে রেখে বেসরকারি খাতকে সহযোগিতা প্রদানের জন্য সরকার প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা ও প্রণোদনা দিচ্ছে। দেশেই ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদনে মেইড ইন বাংলাদেশ-আইসিটি ইন্ডাস্ট্রি স্ট্রাটেজির খসড়া প্রনয়ন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সরকারি-বেসরকারি সম্মিলিত প্রয়াস এবং সহযোগিতার কারণেই করোনাকালেও দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকে। ২০২০ সালে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয় ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ এবং ২০২১ সালে মাথাপিছু আয় ২২২৭ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়।

পলক বলেন, সরকার ক্যাশলেস সোসাইটি গড়ে তোলার জন্য পেমেন্ট সিস্টেমের ডিজিটাইজেশন করেছে, যা মোবাইল আর্থিক সেবা ও ই-কমার্সের দ্রুত প্রবৃদ্ধি ঘটায়। ২০২১ সালের এপ্রিলে মোবাইলে লেনদেন হয় ৬৩ হাজার ৪শ ৭৯ কোটি টাকা। ই-কমার্সের প্রবৃদ্ধি হয় প্রায় ১৬৬ শতাংশ।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে সরকারের সকল সেবা ডিজিটালাইজেশন করা হবে। ইতোমধ্যে ৭ হাজারেরও বেশি ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে ৬০ লক্ষ মানুষকে সরকারের বিভিন্ন ধরনের সেবা অনলাইনে প্রদান করা হচ্ছে।

এলআইসিটি প্রকল্পের আইটি-আইটিইএস পলিসি এডভাইজার সামি আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব, অধ্যাপক শেখ মোরশেদ জাহান, বাক্কোর পরিচালক রাশেদ নোমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) পরিচালক অধ্যাপক ড. ফরহাত আনোয়ার।

দেশের আইটি প্রতিষ্ঠানের ৫০ জন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ৩ মাস ব্যাপী প্রশিক্ষণে অংশ নেয়। পরে প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ফরহাত আনোয়ার সফলভাবে প্রশিক্ষণ সম্পন্নকারীদের মাঝে সার্টিফিকেট প্রদান করেন।