শেখ রাসেলের জন্মদিনে ‘ম্যুরাল’ উদ্বোধন

  • Update Time : ০৬:৪৯:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২০
  • / 190
স্টাফ রিপোর্টার ॥
.

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৭তম জন্মদিন উপলক্ষে আগামীকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) পরিচালিত ২০তলা আবাসিক ভবন ও শেখ রাসেলের ‘ম্যুরাল’ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ আই.ই.আর. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভবনটির নামকরণ করা হয়েছে, ‘শহীদ শেখ রাসেল ভবন’। আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে এ ম্যুরাল তৈরি করা হয়েছে।

শেখ রাসেলের শিক্ষাজীবন শুরু ল্যাবরেটরি স্কুলে। যা বর্তমানে ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ নামে পরিচিত। চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র থাকাকালীন সপরিবার তাকে হত্যার করে ঘাতকরা। শেখ রাসেলের স্মৃতিকে জাগ্রত রাখতে এই ম্যুরাল তৈরি করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দি।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের শিক্ষাজীবন স্মরণীয় করে রাখতে ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে ম্যুরাল তৈরি করা হয়েছে। নতুন প্রজম্ম ও এই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা অনেকেই জানে না শেখ রাসেল এই স্কুলের ছাত্র ছিলো। যারা জানে তারাও ভুলে যাচ্ছে। তাই রাসেলের স্মৃতি স্মরণীয় করতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ উপ-কমিটির সদস্য মাল্টিভার্স কর্পোরেশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর খায়রুল আলম সাগর  বলেন, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে ম্যুরালের কাজ শুরু হলেও করোনার কারণে প্রায় ৫মাস কাজ বন্ধ ছিলো। ম্যুরাল তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে বিদেশি গ্রানাইট পাথর। যা খুবই সুন্দর ও আকর্ষণীয়। ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে নিজেদের অর্থায়নে করা হয়েছে শেখ রাসেল ম্যুরাল। চারুকলার শিল্পী শেখ আসমান ম্যুরালটা তৈরি করেছেন। ম্যুরালটির স্থপতি সিহেবে কাজ করেছেন ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ উপ-কমিটির নিজস্ব আর্কিটেক্ট খায়রুল আলম সাগর ও নেয়ামুল খালিদ। আমরা গত কমিটিতে থাকার সময় এই কাজ হাতে নিয়েছিলাম। এটা তৈরি করতে সর্বমোট পঁচিশ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।

শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর ঢাকার ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট  মানবতার শত্রু ঘৃণ্য ঘাতকদের নির্মম বুলেটের হাত থেকে রক্ষা পায়নি রাসেল। সেদিন শিশু রাসেল ও শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে ঘাতকরা।

পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে শেখ রাসেল সর্বকনিষ্ঠ। ভাই-বোনের মধ্যে অন্যরা হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর অন্যতম সংগঠক শেখ কামাল, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা শেখ জামাল ও শেখ রেহানা।

 

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

শেখ রাসেলের জন্মদিনে ‘ম্যুরাল’ উদ্বোধন

Update Time : ০৬:৪৯:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২০
স্টাফ রিপোর্টার ॥
.

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৭তম জন্মদিন উপলক্ষে আগামীকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) পরিচালিত ২০তলা আবাসিক ভবন ও শেখ রাসেলের ‘ম্যুরাল’ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ আই.ই.আর. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভবনটির নামকরণ করা হয়েছে, ‘শহীদ শেখ রাসেল ভবন’। আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে এ ম্যুরাল তৈরি করা হয়েছে।

শেখ রাসেলের শিক্ষাজীবন শুরু ল্যাবরেটরি স্কুলে। যা বর্তমানে ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ নামে পরিচিত। চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র থাকাকালীন সপরিবার তাকে হত্যার করে ঘাতকরা। শেখ রাসেলের স্মৃতিকে জাগ্রত রাখতে এই ম্যুরাল তৈরি করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দি।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের শিক্ষাজীবন স্মরণীয় করে রাখতে ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে ম্যুরাল তৈরি করা হয়েছে। নতুন প্রজম্ম ও এই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা অনেকেই জানে না শেখ রাসেল এই স্কুলের ছাত্র ছিলো। যারা জানে তারাও ভুলে যাচ্ছে। তাই রাসেলের স্মৃতি স্মরণীয় করতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ উপ-কমিটির সদস্য মাল্টিভার্স কর্পোরেশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর খায়রুল আলম সাগর  বলেন, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে ম্যুরালের কাজ শুরু হলেও করোনার কারণে প্রায় ৫মাস কাজ বন্ধ ছিলো। ম্যুরাল তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে বিদেশি গ্রানাইট পাথর। যা খুবই সুন্দর ও আকর্ষণীয়। ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে নিজেদের অর্থায়নে করা হয়েছে শেখ রাসেল ম্যুরাল। চারুকলার শিল্পী শেখ আসমান ম্যুরালটা তৈরি করেছেন। ম্যুরালটির স্থপতি সিহেবে কাজ করেছেন ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ উপ-কমিটির নিজস্ব আর্কিটেক্ট খায়রুল আলম সাগর ও নেয়ামুল খালিদ। আমরা গত কমিটিতে থাকার সময় এই কাজ হাতে নিয়েছিলাম। এটা তৈরি করতে সর্বমোট পঁচিশ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।

শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর ঢাকার ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট  মানবতার শত্রু ঘৃণ্য ঘাতকদের নির্মম বুলেটের হাত থেকে রক্ষা পায়নি রাসেল। সেদিন শিশু রাসেল ও শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে ঘাতকরা।

পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে শেখ রাসেল সর্বকনিষ্ঠ। ভাই-বোনের মধ্যে অন্যরা হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর অন্যতম সংগঠক শেখ কামাল, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা শেখ জামাল ও শেখ রেহানা।