শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিনে পথ শিশুদের শিক্ষা উপকরণ দিল ছাত্রলীগ

  • Update Time : ০১:২৭:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২০
  • / 225
নিজস্ব প্রতিবেদক:
.
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের ৫৭ তম জন্মদিন উপলক্ষে পথশিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
.
রবিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি চত্বরে পথশিশুদের মাঝে এই শিশু উপকরণ বিতরণ করা হয়।
.
এর আগে সকাল ৯ টায় ছাত্রলীগ সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
.
১৯৬৪ সালের এই দিনে ধানমণ্ডির ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবনে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ড থেকে সেদিনের অবুঝ শিশু রাসেলও রেহাই পাননি। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিরা সেদিন বঙ্গবন্ধুর উত্তরাধিকার নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। তাই নরপশুরা নিষ্পাপ শিশু ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শেখ রাসেলকেও রেহাই দেয়নি। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়- তাদের সেই অপচেষ্টা শতভাগ ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে।
.শহীদ শেখ রাসেল আজ বাংলাদেশের শিশু-কিশোর, তরুণ, শুভবুদ্ধিবোধ সম্পন্ন মানুষদের কাছে ভালোবাসার নাম। অবহেলিত, পশ্চাৎপদ, অধিকার বঞ্চিত শিশুদের আলোকিত জীবন গড়ার প্রতীক হয়ে গ্রাম-গঞ্জ-শহর তথা বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ জনপদ-লোকালয়ে শেখ রাসেল আজ এক মানবিক সত্ত্বায় পরিণত হয়েছেন।

মানবিক চেতনা সম্পন্ন সকল মানুষ শেখ রাসেলের মর্মান্তিক বিয়োগ বেদনাকে হৃদয়ে ধারণ করে বাংলার প্রতিটি শিশু-কিশোর তরুণের মুখে হাসি ফোটাতে আজ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

বঙ্গবন্ধু ও তার শিশুপুত্র শেখ রাসেলের হত্যায় জড়িত দণ্ডপ্রাপ্ত খুনিরা এখনও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পলাতক আছে। দণ্ডপ্রাপ্ত এসব পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করা বর্তমানে সময়ের দাবি।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিনে পথ শিশুদের শিক্ষা উপকরণ দিল ছাত্রলীগ

Update Time : ০১:২৭:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২০
নিজস্ব প্রতিবেদক:
.
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের ৫৭ তম জন্মদিন উপলক্ষে পথশিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
.
রবিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি চত্বরে পথশিশুদের মাঝে এই শিশু উপকরণ বিতরণ করা হয়।
.
এর আগে সকাল ৯ টায় ছাত্রলীগ সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
.
১৯৬৪ সালের এই দিনে ধানমণ্ডির ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবনে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ড থেকে সেদিনের অবুঝ শিশু রাসেলও রেহাই পাননি। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিরা সেদিন বঙ্গবন্ধুর উত্তরাধিকার নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। তাই নরপশুরা নিষ্পাপ শিশু ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শেখ রাসেলকেও রেহাই দেয়নি। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়- তাদের সেই অপচেষ্টা শতভাগ ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে।
.শহীদ শেখ রাসেল আজ বাংলাদেশের শিশু-কিশোর, তরুণ, শুভবুদ্ধিবোধ সম্পন্ন মানুষদের কাছে ভালোবাসার নাম। অবহেলিত, পশ্চাৎপদ, অধিকার বঞ্চিত শিশুদের আলোকিত জীবন গড়ার প্রতীক হয়ে গ্রাম-গঞ্জ-শহর তথা বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ জনপদ-লোকালয়ে শেখ রাসেল আজ এক মানবিক সত্ত্বায় পরিণত হয়েছেন।

মানবিক চেতনা সম্পন্ন সকল মানুষ শেখ রাসেলের মর্মান্তিক বিয়োগ বেদনাকে হৃদয়ে ধারণ করে বাংলার প্রতিটি শিশু-কিশোর তরুণের মুখে হাসি ফোটাতে আজ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

বঙ্গবন্ধু ও তার শিশুপুত্র শেখ রাসেলের হত্যায় জড়িত দণ্ডপ্রাপ্ত খুনিরা এখনও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পলাতক আছে। দণ্ডপ্রাপ্ত এসব পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করা বর্তমানে সময়ের দাবি।