শপথ নিচ্ছেন ইতালির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী মেলোনি
- Update Time : ০১:২০:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ অক্টোবর ২০২২
- / ১৫৫ Time View
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
অতি-ডানপন্থী ‘ব্রাদার্স অব ইতালি’ পার্টির নেতা জর্জিয়া মেলোনিকে সরকার গড়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইতালির প্রেসিডেন্ট সেরজিও মাতারেলা। ইতালির দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন নেতা বেনিতো মুসোলিনির পর এই মেলোনিই হতে যাচ্ছেন দেশটির প্রথম অতি-ডানপন্থী। একইসঙ্গে তিনি ইতালির ইতিহাসের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
তিনি দুই দিনের অফিসিয়াল পরামর্শের পর শুক্রবার বিকালে ইতালির প্রেসিডেন্ট সার্জিও মাত্তারেলার কাছ থেকে সরকার গঠনের আদেশ পেয়েছেন। শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় তার শপথ নেওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে জর্জিয়া মেলোনি তার মিত্র দলগুলোকে নিয়ে সেদেশের প্রেসিডেন্ট মাতারেলার সাথে দেখা করেন এবং বলেন, তারা যত দ্রুত সম্ভব সরকার গঠনের জন্য প্রস্তুত।
গত মাসে ইতালির নির্বাচনে সর্বাধিক প্রায় এক-চতুর্থাংশ ভোট পায় মিজ মেলোনির দল ব্রাদার্স অব ইতালি- যে দলটির প্রতিষ্ঠার সাথে ফ্যাসিস্ট আন্দোলনের যোগসূত্র আছে।
মিজ মেলোনি জোট বেঁধেছেন মাত্তিও সালভিনির অতি-ডানপন্থী লীগ দল, এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বার্লুসকোনির মধ্য-ডান ফর্জা ইতালিয়ার সাথে।
ইতালির প্রেসিডেন্টের সাথে মিজ মেলোনির ১১ মিনিটব্যাপি বৈঠকের সময় বার্লুসকোনি এবং সালভিনিও উপস্থিত ছিলেন। অবশ্য সম্প্রতি বার্লুসকোনির কিছু মন্তব্যে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সাথে তার ঘনিষ্ঠতার কথা প্রকাশ পাবার পর জোটের ঐক্যে একটা ধাক্কা লেগেছিল। জর্জা মেলোনি অবশ্য ইতালির পশ্চিমা মিত্রদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছেন ইউক্রেন প্রশ্নে তার অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হবে না।
সম্প্রতি ফাঁস হওয়া একটি টেপে বার্লুসকোনিকে বলতে শোনা যায় যে, তার জন্মদিনে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন ২৯ বোতল ভদকা পাঠিয়েছিলেন। আরেকটি টেপে শোনা যায় তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এবং পশ্চিমা দেশগুলোকে ক্রেমলিনের ইউক্রেনে অভিযান চালানোর জন্য দায়ী করছেন। লীগ দলের নেতা মাত্তিও সালভিনিকেও অনেক দিন ধরেই ভ্লাদিমির পুতিনের একজন অনুরাগী হিসেবে দেখা হয়। এসব কারণে মেলোনির ওপর খানিকটা চাপ তৈরি হয়, জোটের ঐক্য একটা ধাক্কা খায়। তবে ইতালির পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য তার এই দুই দলের সমর্থন প্রয়োজন। মেলোনিকে রাজনৈতিকভাবে একজন মধ্যপন্থী হিসেবে দেখা হয়। তবে তার দল ব্রাদার্স অব ইতালির জন্মের সাথে দেশটির দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তীকালের নব্য ফ্যাসিস্ট আন্দোলনের যোগসূত্র আছে।
সূত্র: বিবিসি, সিএনএন