লাদাখে ২৬টি টহল পয়েন্ট হাতছাড়া ভারতের!

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৩:৪৯:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ১০৮ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ 

পূর্ব লাদাখে ৬৫টি নজরদারি কেন্দ্র (পেট্রোলিং পয়েন্ট বা পিপি)-এর মধ্যে ২৬টি ভারতের হাতছাড়া হয়েছে। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য।

দ্য হিন্দু জানিয়েছে, গত সপ্তাহে দিল্লির বার্ষিক পুলিশ বৈঠকে জমা ওই গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, সেনাদের ‘অনিয়মিত’ টহলদারির কারণেই এই নজরদারি কেন্দ্রগুলি ভারতের হাতছাড়া হয়েছে।

গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, “বর্তমানে, কারাকোরাম পাস থেকে চুমুর পর্যন্ত ৬৫টি পিপি রয়েছে যেগুলোতে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর টহলদারি চলার কথা। কিন্তুে এসব পিপির ২৬টিতে নিরাপত্তা বাহিনীর কোনও নজরদারি না থাকার কারণে সেগুলো ভারতের হাতছাড়া হয়েছে। এই কেন্দ্রগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় জওয়ান বা সাধারণ মানুষের উপস্থিতি দেখা যায়নি, তাই এই অঞ্চলগুলো পিএলএ দখল নিয়েছে।’’

চীন এভাবে ইঞ্চি ইঞ্চি করে ভারতের জমি দখল করছে এবং পিএলএর এই কৌশল ‘সালামি স্লাইসিং’ নামে পরিচিত বলেও গবেষণাপত্রে উল্লেখ রয়েছে।

গত বছরের ২২ ডিসেম্বরের রিপোর্ট অনুযায়ী, পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) বরাবর কমপক্ষে ৩০টি পিপিতে ভারতীয় জওয়ানরা আর টহল দিচ্ছে না। এই পয়েন্টগুলোতে নাকি ২০২০ সালের এপ্রিল-মে পর্যন্ত নিয়মিত টহল দেওয়া হত। সেই সময় পূর্ব লাদাখের এলএসির কাছাকাছি সেনা জমায়েত শুরু করেছিল চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)।

২০২০ সালের ১৫ জুন পূর্ব লাদাখে পিএলএর সঙ্গে ভারতীয় সেনাদের সংঘাতের পর ওই কেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতের হাতছাড়া হওয়া কেন্দ্রগুলোতে অত্যাধুনিক ক্যামেরা লাগিয়ে নজরদারি চালানো শুরু করেছিল পিএলএ। ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও এলাকাগুলোতে চেকপোস্ট তৈরি করে এবং ছদ্মবেশে জওয়ানদের মোতায়েন করা হয়। কিন্তু পিএলএ যাতে কোনও রকম আঙুল তুলতে না পারে বা অশান্তি না সৃষ্টি হয় সেই উদ্দেশ্যেই নজরদারি কমিয়েছিলেন ভারতীয় জওয়ানরা। আর সেই সুযোগেই এই কেন্দ্রগুলোর দখল নিয়েছে পিএলএ।

যদিও ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, পূর্ব লাদাখে এলএসি বরাবর জওয়ানদের শারীরিক বা প্রযুক্তিগত উপায়ে নজরদারি রয়েছে। তাই ভারতের কোনও এলাকা হাতছাড়া হয়নি।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

লাদাখে ২৬টি টহল পয়েন্ট হাতছাড়া ভারতের!

Update Time : ০৩:৪৯:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ 

পূর্ব লাদাখে ৬৫টি নজরদারি কেন্দ্র (পেট্রোলিং পয়েন্ট বা পিপি)-এর মধ্যে ২৬টি ভারতের হাতছাড়া হয়েছে। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য।

দ্য হিন্দু জানিয়েছে, গত সপ্তাহে দিল্লির বার্ষিক পুলিশ বৈঠকে জমা ওই গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, সেনাদের ‘অনিয়মিত’ টহলদারির কারণেই এই নজরদারি কেন্দ্রগুলি ভারতের হাতছাড়া হয়েছে।

গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, “বর্তমানে, কারাকোরাম পাস থেকে চুমুর পর্যন্ত ৬৫টি পিপি রয়েছে যেগুলোতে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর টহলদারি চলার কথা। কিন্তুে এসব পিপির ২৬টিতে নিরাপত্তা বাহিনীর কোনও নজরদারি না থাকার কারণে সেগুলো ভারতের হাতছাড়া হয়েছে। এই কেন্দ্রগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় জওয়ান বা সাধারণ মানুষের উপস্থিতি দেখা যায়নি, তাই এই অঞ্চলগুলো পিএলএ দখল নিয়েছে।’’

চীন এভাবে ইঞ্চি ইঞ্চি করে ভারতের জমি দখল করছে এবং পিএলএর এই কৌশল ‘সালামি স্লাইসিং’ নামে পরিচিত বলেও গবেষণাপত্রে উল্লেখ রয়েছে।

গত বছরের ২২ ডিসেম্বরের রিপোর্ট অনুযায়ী, পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) বরাবর কমপক্ষে ৩০টি পিপিতে ভারতীয় জওয়ানরা আর টহল দিচ্ছে না। এই পয়েন্টগুলোতে নাকি ২০২০ সালের এপ্রিল-মে পর্যন্ত নিয়মিত টহল দেওয়া হত। সেই সময় পূর্ব লাদাখের এলএসির কাছাকাছি সেনা জমায়েত শুরু করেছিল চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)।

২০২০ সালের ১৫ জুন পূর্ব লাদাখে পিএলএর সঙ্গে ভারতীয় সেনাদের সংঘাতের পর ওই কেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতের হাতছাড়া হওয়া কেন্দ্রগুলোতে অত্যাধুনিক ক্যামেরা লাগিয়ে নজরদারি চালানো শুরু করেছিল পিএলএ। ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও এলাকাগুলোতে চেকপোস্ট তৈরি করে এবং ছদ্মবেশে জওয়ানদের মোতায়েন করা হয়। কিন্তু পিএলএ যাতে কোনও রকম আঙুল তুলতে না পারে বা অশান্তি না সৃষ্টি হয় সেই উদ্দেশ্যেই নজরদারি কমিয়েছিলেন ভারতীয় জওয়ানরা। আর সেই সুযোগেই এই কেন্দ্রগুলোর দখল নিয়েছে পিএলএ।

যদিও ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, পূর্ব লাদাখে এলএসি বরাবর জওয়ানদের শারীরিক বা প্রযুক্তিগত উপায়ে নজরদারি রয়েছে। তাই ভারতের কোনও এলাকা হাতছাড়া হয়নি।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা