রেমা-কালেঙ্গায় কমেছে অন্তত ১৬টি শকুন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১২:৪৯:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ১৬০ Time View

হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ 

হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে রেমা-কালেঙ্গা অভয়ারণ্যের ময়না বিলে কমপক্ষে ১৬টি শকুন কমে গেছে। খাদ্য সংকট, আশ্রয়স্থল বিনষ্ট, প্রাণীর ওষুধে ডাইক্লোফেনাক ও কিটোপ্রোফেন ব্যবহারকে শকুন কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক শকুন সচেতনতা দিবসে রেমা কালেঙ্গায় শকুনের জন্য একটি গরু দেওয়া হয়েছে বলেও তারা জানিয়েছে।

আইইউসিএনের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার সীমান্ত দীপু জানান, সারাদেশে থাকা মহাবিপন্ন ২৬০টি বাংলা শকুনের ৭০ থেকে ৮০টিই সিলেট বিভাগে। এর মধ্যে চুনারুঘাটে রেমা-কালেঙ্গার ময়না বিলে ৩৮টি পরিবারে ৭৬টি শকুর ছিল। তবে ইদানিং শকুনের সংখ্যা কমে গেছে। এখন সেখানে ৫২ থেকে ৬০টি শকুন দেখা যায়।

তিনি আরো জানান, শকুনের প্রজনন সময় সেপ্টেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত। এ সময়ে মাসে অন্তত দুইটি গরু দেওয়া হয় শকুনের খাবার হিসেবে। একটি শকুন বছরে একটি ডিম দেয়। মোট ডিমের ৪০ শতাংশ থেকে বাচ্চা হয়। এতে শকুন বাড়ার কথা থাকলেও তা কমে যাচ্ছে।

শকুন রক্ষার জন্য ময়না বিলে ২০০ ফুট উঁচু গাছকে সংরক্ষণ করা হয়েছে। এজন্য গত ৭ বছরে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বন বিভাগ ও আইইউসিএন। শকুনের জন্য ক্ষতিকর কিটোপ্রোফেন উৎপাদন নিষিদ্ধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এদিকে গত শনিবার হবিগঞ্জের উপজেলার বামৈ হাওর থেকে একটি শকুনটি উদ্ধার করেছে হবিগঞ্জ বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ। পুরোপুরি সুস্থ হলে শকুনটিকে চুনারুঘাটের রেমা-কালেঙ্গায় অবমুক্ত করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

রেমা-কালেঙ্গায় কমেছে অন্তত ১৬টি শকুন

Update Time : ১২:৪৯:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ 

হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে রেমা-কালেঙ্গা অভয়ারণ্যের ময়না বিলে কমপক্ষে ১৬টি শকুন কমে গেছে। খাদ্য সংকট, আশ্রয়স্থল বিনষ্ট, প্রাণীর ওষুধে ডাইক্লোফেনাক ও কিটোপ্রোফেন ব্যবহারকে শকুন কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক শকুন সচেতনতা দিবসে রেমা কালেঙ্গায় শকুনের জন্য একটি গরু দেওয়া হয়েছে বলেও তারা জানিয়েছে।

আইইউসিএনের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার সীমান্ত দীপু জানান, সারাদেশে থাকা মহাবিপন্ন ২৬০টি বাংলা শকুনের ৭০ থেকে ৮০টিই সিলেট বিভাগে। এর মধ্যে চুনারুঘাটে রেমা-কালেঙ্গার ময়না বিলে ৩৮টি পরিবারে ৭৬টি শকুর ছিল। তবে ইদানিং শকুনের সংখ্যা কমে গেছে। এখন সেখানে ৫২ থেকে ৬০টি শকুন দেখা যায়।

তিনি আরো জানান, শকুনের প্রজনন সময় সেপ্টেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত। এ সময়ে মাসে অন্তত দুইটি গরু দেওয়া হয় শকুনের খাবার হিসেবে। একটি শকুন বছরে একটি ডিম দেয়। মোট ডিমের ৪০ শতাংশ থেকে বাচ্চা হয়। এতে শকুন বাড়ার কথা থাকলেও তা কমে যাচ্ছে।

শকুন রক্ষার জন্য ময়না বিলে ২০০ ফুট উঁচু গাছকে সংরক্ষণ করা হয়েছে। এজন্য গত ৭ বছরে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বন বিভাগ ও আইইউসিএন। শকুনের জন্য ক্ষতিকর কিটোপ্রোফেন উৎপাদন নিষিদ্ধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এদিকে গত শনিবার হবিগঞ্জের উপজেলার বামৈ হাওর থেকে একটি শকুনটি উদ্ধার করেছে হবিগঞ্জ বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ। পুরোপুরি সুস্থ হলে শকুনটিকে চুনারুঘাটের রেমা-কালেঙ্গায় অবমুক্ত করা হবে।