রিজার্ভের এমন সংকট গত ৩৫ বছর দেখেনি ব্যাংক: এবিবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০২:৩৯:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ মে ২০২৩
  • / ৮৮ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

২০২২ সালে বহির্বিশ্বের কারণে দেশে যে অর্থনৈতিক মন্দা, সামষ্টিক অর্থনীতির যে চাপ, রিজার্ভের যে সংকট গেছে তা গেল ৩৫ বছরে দেখেনি দেশের ব্যাংক খাত।

গেল বছরের জুন-জুলাইয়ে দেশ ভয়াবহ মন্দাতে গেছে বলে জানিয়েছেন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেডের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন।

সোমবার (২২ মে) ব্র্যাক ব্যাংকের হেড অফিসে এবিবি আয়োজিত ‘ব্যাংকিং সেক্টর আউটলুক-২০২৩’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

এ বছরেই টাকার মান কমেছে ২৫ শতাংশ যা অকল্পনীয়। ডলার সংকট কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার বিক্রি শুরু করায় মূলত তারল্য সংকট দেখা দেয়।

সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ একটি বড় সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এছাড়া এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব না। রেমিট্যান্সের ডলারের শুধু দাম নির্ধারণ করলেই হবে না। আমাদের রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের জন্য কি ধরনের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে তাও দেখতে। এসব প্রবাসীরা এয়ারপোর্টে কোনো ধরনের ভালো সুবিধা পান না। তাদের কোনো ধরনের কাজ সম্পর্কে শেখানো হয় না। অন্যান্য দেশে বিভিন্ন ধরনের ট্রেনিং দেওয়া হয়। যা আমাদের দেশে দেওয়া হয় না। এতে প্রবাসীরা অনেক পিছিয়ে পড়ছে।

এবিবি চেয়ারম্যান বলেন, সুদের হার বাজারভিত্তিক হওয়া কতটুকু প্রয়োজন তা নিয়ে চিন্তা করা উচিত। ৬ ও ৯ শতাংশ হারে যে সুদহার বেধে দেওয়া হয়েছিল তা অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সহায়তা করেছে। এখন আসছে মুদ্রানীতিতে যদি সুদহারে ক্যাপ তুলে দেওয়া হয় তারপরও তা বাজারভিত্তিক হবে না বলে মনে করে এবিবি। তবে এটিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখা হচ্ছে।

তিনি বলেন, গেল বছরের থেকে এখন স্বস্তিতে ফিরছে দেশের ব্যাংক খাত। ২ কিংবা ১টা ব্যাংক ছাড়া কোন ব্যাংকে ডেফার পেমেন্ট বাকি নেই। তবে ২০১৮ বা ২০১৯ সালের মতো অবস্থায় আসতে এখনও বেশ সময় লাগবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

রিজার্ভের এমন সংকট গত ৩৫ বছর দেখেনি ব্যাংক: এবিবি

Update Time : ০২:৩৯:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

২০২২ সালে বহির্বিশ্বের কারণে দেশে যে অর্থনৈতিক মন্দা, সামষ্টিক অর্থনীতির যে চাপ, রিজার্ভের যে সংকট গেছে তা গেল ৩৫ বছরে দেখেনি দেশের ব্যাংক খাত।

গেল বছরের জুন-জুলাইয়ে দেশ ভয়াবহ মন্দাতে গেছে বলে জানিয়েছেন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেডের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন।

সোমবার (২২ মে) ব্র্যাক ব্যাংকের হেড অফিসে এবিবি আয়োজিত ‘ব্যাংকিং সেক্টর আউটলুক-২০২৩’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

এ বছরেই টাকার মান কমেছে ২৫ শতাংশ যা অকল্পনীয়। ডলার সংকট কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার বিক্রি শুরু করায় মূলত তারল্য সংকট দেখা দেয়।

সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ একটি বড় সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এছাড়া এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব না। রেমিট্যান্সের ডলারের শুধু দাম নির্ধারণ করলেই হবে না। আমাদের রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের জন্য কি ধরনের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে তাও দেখতে। এসব প্রবাসীরা এয়ারপোর্টে কোনো ধরনের ভালো সুবিধা পান না। তাদের কোনো ধরনের কাজ সম্পর্কে শেখানো হয় না। অন্যান্য দেশে বিভিন্ন ধরনের ট্রেনিং দেওয়া হয়। যা আমাদের দেশে দেওয়া হয় না। এতে প্রবাসীরা অনেক পিছিয়ে পড়ছে।

এবিবি চেয়ারম্যান বলেন, সুদের হার বাজারভিত্তিক হওয়া কতটুকু প্রয়োজন তা নিয়ে চিন্তা করা উচিত। ৬ ও ৯ শতাংশ হারে যে সুদহার বেধে দেওয়া হয়েছিল তা অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সহায়তা করেছে। এখন আসছে মুদ্রানীতিতে যদি সুদহারে ক্যাপ তুলে দেওয়া হয় তারপরও তা বাজারভিত্তিক হবে না বলে মনে করে এবিবি। তবে এটিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখা হচ্ছে।

তিনি বলেন, গেল বছরের থেকে এখন স্বস্তিতে ফিরছে দেশের ব্যাংক খাত। ২ কিংবা ১টা ব্যাংক ছাড়া কোন ব্যাংকে ডেফার পেমেন্ট বাকি নেই। তবে ২০১৮ বা ২০১৯ সালের মতো অবস্থায় আসতে এখনও বেশ সময় লাগবে।