রাশিয়ার সঙ্গে বৈঠকে বসতে চায় ইউক্রেন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৪:৫১:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / ১৫৬ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

সীমান্তে সেনা মোতায়েনের মাধ্যমে রাশিয়া আসলে কোন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চায়— তা স্পষ্টভাবে জানতে রাশিয়া ও ইউরোপের নিরাপত্তা সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের সঙ্গে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বৈঠকে বসতে চায় ইউক্রেন।

ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা বিবিসিকে এই তথ্য জানিয়ে বলেছেন, এর আগে সীমান্তে সেনা মোতায়েনের ব্যাখ্যা জানতে মস্কোকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ করেছিল কিয়েভ; কিন্তু মস্কো থেকে সেই অনুরোধেল কোনো জবাব আসেনি।

‘তাই পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে এই বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আমরা রাশিয়ার পরিকল্পনা সম্পর্কে স্পষ্টভাবে জানতে চাই।’

গত দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেন-রাশিয়া সীমান্তে প্রায় ১ লাখ রুশ সেনা মোতায়েন রেখেছে রাশিয়া। সীমান্তের পাশাপাশি ২০১৫ সালে ইউক্রেনের কাছে থেকে দখল নেওয়া দ্বীপ ক্রিমিয়াতেও সম্প্রতি বাড়ানো হয়েছে সেনা উপস্থিতি; এছাড়া গত সপ্তাহে কৃষ্ণ সাগরে সামরিক মহড়া শুরু করেছে রাশিয়া।

এই পরিস্থিতিতে খুবি স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে ইউক্রেন ও পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো। পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট নর্থ আটলাটিন্টক ট্রিটি অর্গানাইজেশেন (ন্যাটো), যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোর আশঙ্কা, ইউক্রেনে যে কোনো সময় হামলা চালাতে পারে রাশিয়া। তবে এই আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে মস্কো জানিয়েছে, ইউক্রেনে হামলার কোনো পরিকল্পনা রাশিয়ার নেই।

সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অঙ্গরাজ্য ও রাশিয়ার প্রতিবেশীরাষ্ট্র ইউক্রেন কয়েক বছর আগে ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন করার পর থেকেই উত্তেজনা শুরু হয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে। সম্প্রতি ন্যাটো ইউক্রেনকে সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করার পর আরও বেড়েছে এই উত্তেজনা।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

রাশিয়ার সঙ্গে বৈঠকে বসতে চায় ইউক্রেন

Update Time : ০৪:৫১:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

সীমান্তে সেনা মোতায়েনের মাধ্যমে রাশিয়া আসলে কোন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চায়— তা স্পষ্টভাবে জানতে রাশিয়া ও ইউরোপের নিরাপত্তা সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের সঙ্গে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বৈঠকে বসতে চায় ইউক্রেন।

ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা বিবিসিকে এই তথ্য জানিয়ে বলেছেন, এর আগে সীমান্তে সেনা মোতায়েনের ব্যাখ্যা জানতে মস্কোকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ করেছিল কিয়েভ; কিন্তু মস্কো থেকে সেই অনুরোধেল কোনো জবাব আসেনি।

‘তাই পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে এই বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আমরা রাশিয়ার পরিকল্পনা সম্পর্কে স্পষ্টভাবে জানতে চাই।’

গত দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেন-রাশিয়া সীমান্তে প্রায় ১ লাখ রুশ সেনা মোতায়েন রেখেছে রাশিয়া। সীমান্তের পাশাপাশি ২০১৫ সালে ইউক্রেনের কাছে থেকে দখল নেওয়া দ্বীপ ক্রিমিয়াতেও সম্প্রতি বাড়ানো হয়েছে সেনা উপস্থিতি; এছাড়া গত সপ্তাহে কৃষ্ণ সাগরে সামরিক মহড়া শুরু করেছে রাশিয়া।

এই পরিস্থিতিতে খুবি স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে ইউক্রেন ও পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো। পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট নর্থ আটলাটিন্টক ট্রিটি অর্গানাইজেশেন (ন্যাটো), যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোর আশঙ্কা, ইউক্রেনে যে কোনো সময় হামলা চালাতে পারে রাশিয়া। তবে এই আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে মস্কো জানিয়েছে, ইউক্রেনে হামলার কোনো পরিকল্পনা রাশিয়ার নেই।

সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অঙ্গরাজ্য ও রাশিয়ার প্রতিবেশীরাষ্ট্র ইউক্রেন কয়েক বছর আগে ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন করার পর থেকেই উত্তেজনা শুরু হয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে। সম্প্রতি ন্যাটো ইউক্রেনকে সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করার পর আরও বেড়েছে এই উত্তেজনা।