রাবি পুকুর থেকে উদ্ধার হওয়া মর্টার শেল নিষ্ক্রিয় করলো সেনাবাহিনী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১১:০৬:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ এপ্রিল ২০২১
  • / ১৭৪ Time View

 

ইউসুফ আলী চৌধুরী-রাজশাহী প্রতিনিধি:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) পুকুর থেকে উদ্ধার হওয়া মর্টারশেলটি নিষ্ক্রিয় করেছে সেনাবাহিনীর একটি টিম।

বুধবার (২৮ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বধ্যভূমি সংলগ্ন ফাঁকা জায়গায় এটির বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। দুপুরে বগুড়া সেনানিবাস থেকে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী একটি দল ঘটনাস্থলে এসে নিরাপদ দুরত্বে নিয়ে শেলটি বিষ্ফোরণ ঘটায়। এসময় প্রচন্ড শব্দে চারপাশ কম্পিত হয়ে ওঠে।

বিস্ফোরণে বিষয়টি নিশ্চিত করে মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিদ্দিকুর রহমান বলেন, যেহেতু মর্টারশেল মিলিটারি অস্ত্র। এটি নিষ্ক্রিয় করণে আমাদের সক্ষমতা না থাকায় আমরা সেনাবাহিনীকে খবর দিই। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের উপস্থিতিতে সেনাবাহিনীর একটি টিম উদ্ধার হওয়ার মর্টারশেলটি বিস্ফোরণ ঘটায়।

No description available.

মর্টারশেলটি পুরোনো উল্লেখ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, উদ্ধার হওয়া মর্টারশেলটি বেশ পুরোনো। শেলটি যেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে। পাশেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ক্যাম্পাস ছিল। ধারণা করা হচ্ছে এটি মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের।

এর আগে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্জোহা হল সংলগ্ন একটি পুকুরে মাছের খাবার দেওয়ার সময় মর্টারশেলটি লক্ষ্য করেন মেহেরচন্ডী এলাকার মাছচাষি শরীফ। পরে পুলিশ ও র্যা ব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। কিন্তু মর্টারশেল নিষ্ক্রিয় করণে সক্ষমতা না থাকায় র্যা ব ফিরে যায়। পরবর্তীতে বুধবার বগুড়া থেকে সেনাবাহিনীর বোমা নিষ্ক্রিয়করণ টিম এসে এটি বিস্ফোরণ ঘটায়।

Please Share This Post in Your Social Media

রাবি পুকুর থেকে উদ্ধার হওয়া মর্টার শেল নিষ্ক্রিয় করলো সেনাবাহিনী

Update Time : ১১:০৬:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ এপ্রিল ২০২১

 

ইউসুফ আলী চৌধুরী-রাজশাহী প্রতিনিধি:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) পুকুর থেকে উদ্ধার হওয়া মর্টারশেলটি নিষ্ক্রিয় করেছে সেনাবাহিনীর একটি টিম।

বুধবার (২৮ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বধ্যভূমি সংলগ্ন ফাঁকা জায়গায় এটির বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। দুপুরে বগুড়া সেনানিবাস থেকে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী একটি দল ঘটনাস্থলে এসে নিরাপদ দুরত্বে নিয়ে শেলটি বিষ্ফোরণ ঘটায়। এসময় প্রচন্ড শব্দে চারপাশ কম্পিত হয়ে ওঠে।

বিস্ফোরণে বিষয়টি নিশ্চিত করে মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিদ্দিকুর রহমান বলেন, যেহেতু মর্টারশেল মিলিটারি অস্ত্র। এটি নিষ্ক্রিয় করণে আমাদের সক্ষমতা না থাকায় আমরা সেনাবাহিনীকে খবর দিই। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের উপস্থিতিতে সেনাবাহিনীর একটি টিম উদ্ধার হওয়ার মর্টারশেলটি বিস্ফোরণ ঘটায়।

No description available.

মর্টারশেলটি পুরোনো উল্লেখ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, উদ্ধার হওয়া মর্টারশেলটি বেশ পুরোনো। শেলটি যেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে। পাশেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ক্যাম্পাস ছিল। ধারণা করা হচ্ছে এটি মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের।

এর আগে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্জোহা হল সংলগ্ন একটি পুকুরে মাছের খাবার দেওয়ার সময় মর্টারশেলটি লক্ষ্য করেন মেহেরচন্ডী এলাকার মাছচাষি শরীফ। পরে পুলিশ ও র্যা ব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। কিন্তু মর্টারশেল নিষ্ক্রিয় করণে সক্ষমতা না থাকায় র্যা ব ফিরে যায়। পরবর্তীতে বুধবার বগুড়া থেকে সেনাবাহিনীর বোমা নিষ্ক্রিয়করণ টিম এসে এটি বিস্ফোরণ ঘটায়।