রাণীশংকৈলে বিতর্কিত ল্যাব সহকারি ধর্ষক শিক্ষককে গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ

  • Update Time : ০৪:২০:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ মার্চ ২০২২
  • / 153

রাণীশংকৈল ( ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি: 

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে ল্যাব সহাকারি শিক্ষক তহিদুল ইসলামের দ্রুত গ্রেফতার, বিচার, ও চাকুরী, থেকে বহিষ্কারের দাবিতে স্থানীয় সম্মিলিত ছাত্রজোট( ৭ মার্চ সোমবার) সকালে পৌর শহরের শিবদিঘি মোড়ে প্রায় ২ ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে। অবরোধ চলাকালে সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) তোফাজ্জল হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি)ইন্দ্রজিত সাহা, ওসি
তদন্ত আব্দুল লতিফ শেখ ও শিক্ষা কর্মকর্তা
আলী শাহরিয়ার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উত্তেজিত ছাত্র-জনতাকে শান্ত করেন ও যথারীতি সময়ে দ্রুত আসামি তহিদুলকে গ্রেফতারের আশ্বাস দেন।

প্রসঙ্গত, রাণীশংকৈল উপজেলার সহোদর গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ল্যাব সহকারি শিক্ষক তহিদুল ইসলাম পৌর শহরের ভান্ডারা মহল্লার গফুর আলীর ১০ম শ্রেণিতে পড়া মেয়ে সুমাইয়া আফরোজ বৃষ্টিকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে গভীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন।

ঘটনা জানাজানি হলে বৃষ্টির বাবা তহিদুলের কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেন।তহিদুল ১৫ লক্ষ টাকার যৌতুক চেয়ে বিয়ে করতে চান। বৃষ্টির বাবা এত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ লোকজন গত ৩ মার্চ বৃষ্টিকে তহিদুলের বাড়িতে রেখে আসে। বৃষ্টি
বিযের দাবিতে সে বাড়িতে অবস্থান নিলে তহিদুল বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে পরদিন ৪ মার্চ তড়িঘড়ি করে অন্যত্র বিয়ে করেন।

এতে ওই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা ৫ মার্চ তহিদুলের বিচার চেয়ে পৌর শহরে মানববন্ধন করে। ওই দিনেই বৃষ্টির বাবা গফুর বাদি হয়ে রাণীশংকৈল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এইসাথে ইউএনও এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি দেন।
এ ব্যাপারে ওসি তদন্ত আব্দুল লতিফ শেখ বলেন, মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশের তদন্ত অব্যাহত আছে। আসামি বর্তমানে পলাতক আছে। ভিকটিম মেয়েটিকে মেডিকেল টেস্টের জন্য জেলায় পাঠানো হয়েছে মর্মেও তিনি জানান।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

রাণীশংকৈলে বিতর্কিত ল্যাব সহকারি ধর্ষক শিক্ষককে গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ

Update Time : ০৪:২০:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ মার্চ ২০২২

রাণীশংকৈল ( ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি: 

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে ল্যাব সহাকারি শিক্ষক তহিদুল ইসলামের দ্রুত গ্রেফতার, বিচার, ও চাকুরী, থেকে বহিষ্কারের দাবিতে স্থানীয় সম্মিলিত ছাত্রজোট( ৭ মার্চ সোমবার) সকালে পৌর শহরের শিবদিঘি মোড়ে প্রায় ২ ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে। অবরোধ চলাকালে সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) তোফাজ্জল হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি)ইন্দ্রজিত সাহা, ওসি
তদন্ত আব্দুল লতিফ শেখ ও শিক্ষা কর্মকর্তা
আলী শাহরিয়ার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উত্তেজিত ছাত্র-জনতাকে শান্ত করেন ও যথারীতি সময়ে দ্রুত আসামি তহিদুলকে গ্রেফতারের আশ্বাস দেন।

প্রসঙ্গত, রাণীশংকৈল উপজেলার সহোদর গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ল্যাব সহকারি শিক্ষক তহিদুল ইসলাম পৌর শহরের ভান্ডারা মহল্লার গফুর আলীর ১০ম শ্রেণিতে পড়া মেয়ে সুমাইয়া আফরোজ বৃষ্টিকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে গভীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন।

ঘটনা জানাজানি হলে বৃষ্টির বাবা তহিদুলের কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেন।তহিদুল ১৫ লক্ষ টাকার যৌতুক চেয়ে বিয়ে করতে চান। বৃষ্টির বাবা এত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ লোকজন গত ৩ মার্চ বৃষ্টিকে তহিদুলের বাড়িতে রেখে আসে। বৃষ্টি
বিযের দাবিতে সে বাড়িতে অবস্থান নিলে তহিদুল বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে পরদিন ৪ মার্চ তড়িঘড়ি করে অন্যত্র বিয়ে করেন।

এতে ওই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা ৫ মার্চ তহিদুলের বিচার চেয়ে পৌর শহরে মানববন্ধন করে। ওই দিনেই বৃষ্টির বাবা গফুর বাদি হয়ে রাণীশংকৈল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এইসাথে ইউএনও এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি দেন।
এ ব্যাপারে ওসি তদন্ত আব্দুল লতিফ শেখ বলেন, মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশের তদন্ত অব্যাহত আছে। আসামি বর্তমানে পলাতক আছে। ভিকটিম মেয়েটিকে মেডিকেল টেস্টের জন্য জেলায় পাঠানো হয়েছে মর্মেও তিনি জানান।