রাণীশংকৈলে পাক হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা ও পথসভা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৮:৫৬:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ১১১ Time View

হুমায়ুন কবির, রাণীশংকৈল, (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে শনিবার (৩ ডিসেম্বর) পাক হানাদার মুক্ত দিবস পালন করা হয়েছে। উপজেলা হানাদার মুক্ত দিবস উদযাপন কমিটি ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অংশগ্রহণে দিবসটি পালন উপলক্ষে এদিন বিকাল ৫ টায় উপজেলা আ.লীগ আফিস থেকে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের করে পৌরশহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করা হয়।

পরে সন্ধ্যায় বন্দর চৌররাস্তা মোড়ে উপজেলা হানাদার মুক্ত দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি ও
উপজেলা আ.লীগ সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাইদুল হকের সভাপতিত্বে এক পথসভা অনুষ্ঠিত হয়৷ সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা আ.লীগ সহ- সভাপতি ও সাবেক মহিলা সংরক্ষিত আসনের এমপি সেলিনা জাহান লিটা, ওয়ার্কার্স পার্টির সাবেক এমপি অধ্যাপক ইয়াসিন আলী, উপজেলা আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দিন আহম্মেদ, পৌরমেয়র ও উপঃ আ.লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান,
উপজেলা হানাদার মুক্ত দিবস উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তাজুল ইসলাম, আ.লীগ নেতা গোলাম সারওয়ার বিপ্লব, রেজাউল করিম, সহকারী অধ্যাপক প্রশান্ত বসাক,
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শেফালি বেগম, পৌর আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মহাদেব বসাক,
উপঃ কৃষকলীগ সাধারণ সম্পাদক দিগেন্দ্রনাথ রায়, উপঃ আ.লীগ সদস্য তসদিকা হক, উপঃ মহিলা আ.লীগ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান, কাউন্সিলর হালিমা আক্তার ডলি প্রমুখ। এছাড়াও আ.লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন নেতাকর্মি, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীসহ অনেকেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন৷ পাক হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে রাণীশংকৈলের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তানেরা সজ্জিত পোষাকে হাতে হাতে জাতীয় পতাকা, ব্যান্ডপার্টির দেশাত্মবোধক গানের সুরে আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পৌর আ.লীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম।
প্রসঙ্গত: ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলা পাক হানাদার বাহিনীর হাত থেকে ৩ ডিসেম্বর’৭১সালে মুক্ত হয়। পাক স্বৈরশ্বাসক গোষ্ঠির দাবানল থেকে মুক্তি পেতে বাঙালী ছাত্র-জনতা দাবি আদায়ের আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়ে।
উপজেলার খুনিয়াদিঘি এক হৃদয় বিদারক নাম। স্বাধীনতা যুদ্ধে পাক বাহিনীর বর্বরতার স্বাক্ষর বহন করে আসছে এটি। লোমহর্ষক কাহিনীর মাইল ফলক হিসেবে ধরা হয় এ ‘খুনিয়াদিঘি’ নামটিকে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

রাণীশংকৈলে পাক হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা ও পথসভা

Update Time : ০৮:৫৬:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২২

হুমায়ুন কবির, রাণীশংকৈল, (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে শনিবার (৩ ডিসেম্বর) পাক হানাদার মুক্ত দিবস পালন করা হয়েছে। উপজেলা হানাদার মুক্ত দিবস উদযাপন কমিটি ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অংশগ্রহণে দিবসটি পালন উপলক্ষে এদিন বিকাল ৫ টায় উপজেলা আ.লীগ আফিস থেকে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের করে পৌরশহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করা হয়।

পরে সন্ধ্যায় বন্দর চৌররাস্তা মোড়ে উপজেলা হানাদার মুক্ত দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি ও
উপজেলা আ.লীগ সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাইদুল হকের সভাপতিত্বে এক পথসভা অনুষ্ঠিত হয়৷ সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা আ.লীগ সহ- সভাপতি ও সাবেক মহিলা সংরক্ষিত আসনের এমপি সেলিনা জাহান লিটা, ওয়ার্কার্স পার্টির সাবেক এমপি অধ্যাপক ইয়াসিন আলী, উপজেলা আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দিন আহম্মেদ, পৌরমেয়র ও উপঃ আ.লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান,
উপজেলা হানাদার মুক্ত দিবস উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তাজুল ইসলাম, আ.লীগ নেতা গোলাম সারওয়ার বিপ্লব, রেজাউল করিম, সহকারী অধ্যাপক প্রশান্ত বসাক,
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শেফালি বেগম, পৌর আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মহাদেব বসাক,
উপঃ কৃষকলীগ সাধারণ সম্পাদক দিগেন্দ্রনাথ রায়, উপঃ আ.লীগ সদস্য তসদিকা হক, উপঃ মহিলা আ.লীগ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান, কাউন্সিলর হালিমা আক্তার ডলি প্রমুখ। এছাড়াও আ.লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন নেতাকর্মি, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীসহ অনেকেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন৷ পাক হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে রাণীশংকৈলের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তানেরা সজ্জিত পোষাকে হাতে হাতে জাতীয় পতাকা, ব্যান্ডপার্টির দেশাত্মবোধক গানের সুরে আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পৌর আ.লীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম।
প্রসঙ্গত: ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলা পাক হানাদার বাহিনীর হাত থেকে ৩ ডিসেম্বর’৭১সালে মুক্ত হয়। পাক স্বৈরশ্বাসক গোষ্ঠির দাবানল থেকে মুক্তি পেতে বাঙালী ছাত্র-জনতা দাবি আদায়ের আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়ে।
উপজেলার খুনিয়াদিঘি এক হৃদয় বিদারক নাম। স্বাধীনতা যুদ্ধে পাক বাহিনীর বর্বরতার স্বাক্ষর বহন করে আসছে এটি। লোমহর্ষক কাহিনীর মাইল ফলক হিসেবে ধরা হয় এ ‘খুনিয়াদিঘি’ নামটিকে।