রং নাম্বারে পরিচয়, তুলে নিয়ে তরুণীকে ধর্ষণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০২:৪৭:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ এপ্রিল ২০২৩
  • / ১০৬ Time View

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

নোয়াখালীল সুবর্ণচর উপজেলায় মুঠোফোনে রং নাম্বারে পরিচয়ের এক তরুণীকে (১৯) তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে কথিত প্রেমিকের বিরুদ্ধে।

গতকাল রোববার (৯ এপ্রিল) এ ঘটনায় চরজব্বার থানায় নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে প্রেমিক সহ ৩জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলো, উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের চরওয়াপদা গ্রামের মুকিদ মিয়ার সমাজের করিম হুজুরের ছেলে আব্দুল আলী (২৯) একই সমাজের আবুল হাসেমের ছেলে মো.রাসেদ (২৭) ও একই ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের চরকাজী মোখলেছ গ্রামের মো.রফিকুল ইসলামের ছেলে মো.আজগর (২৬)।

মামলা ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী তরুণী জেলার সদর উপজেলার বাসিন্দা। তিন মাস পূর্বে তার সাথে মোবাইল ফোনে রং নাম্বারে কলে পরিচয় হয় জেলার সুবর্ণচর উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের আব্দুল আলীর সাথে। একপর্যায়ে প্রেমিক আলী বিয়ের আশ্বাসে তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। গত ৯ মার্চ আলী তার প্রেমিকাকে মুঠোফোনে কল করে জানায় তাকে বিয়ে করে চট্রগ্রাম নিয়ে যাবে। এতে ১০ মার্চ রাত পৌনে ৯টার দিকে সরল বিশ্বাসে প্রেমিকা বাড়ি থেকে বের হলে সেখান থেকে প্রেমিক তাকে নিজে সিএনজি চালিয়ে উঠিয়ে নিয়ে যায়। এরপর কাজী অফিসে না নিয়ে প্রেমিক তার বন্ধু রাসেদ ও আজগরের সহায়তায় তরুণীর গায়ের ওড়না দিয়ে মুখ বেধে আশ্রাফ ডাক্তারের প্রজেক্টের পাশের একটি সয়াবিন ক্ষেতে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।

চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেব প্রিয় দেব দাশ বলেন, গতকাল রোববার এ ঘটনায় ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় একটি মামলা করেন। আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। তরুণীকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা জন্য পাঠানো হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

রং নাম্বারে পরিচয়, তুলে নিয়ে তরুণীকে ধর্ষণ

Update Time : ০২:৪৭:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ এপ্রিল ২০২৩

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

নোয়াখালীল সুবর্ণচর উপজেলায় মুঠোফোনে রং নাম্বারে পরিচয়ের এক তরুণীকে (১৯) তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে কথিত প্রেমিকের বিরুদ্ধে।

গতকাল রোববার (৯ এপ্রিল) এ ঘটনায় চরজব্বার থানায় নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে প্রেমিক সহ ৩জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলো, উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের চরওয়াপদা গ্রামের মুকিদ মিয়ার সমাজের করিম হুজুরের ছেলে আব্দুল আলী (২৯) একই সমাজের আবুল হাসেমের ছেলে মো.রাসেদ (২৭) ও একই ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের চরকাজী মোখলেছ গ্রামের মো.রফিকুল ইসলামের ছেলে মো.আজগর (২৬)।

মামলা ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী তরুণী জেলার সদর উপজেলার বাসিন্দা। তিন মাস পূর্বে তার সাথে মোবাইল ফোনে রং নাম্বারে কলে পরিচয় হয় জেলার সুবর্ণচর উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের আব্দুল আলীর সাথে। একপর্যায়ে প্রেমিক আলী বিয়ের আশ্বাসে তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। গত ৯ মার্চ আলী তার প্রেমিকাকে মুঠোফোনে কল করে জানায় তাকে বিয়ে করে চট্রগ্রাম নিয়ে যাবে। এতে ১০ মার্চ রাত পৌনে ৯টার দিকে সরল বিশ্বাসে প্রেমিকা বাড়ি থেকে বের হলে সেখান থেকে প্রেমিক তাকে নিজে সিএনজি চালিয়ে উঠিয়ে নিয়ে যায়। এরপর কাজী অফিসে না নিয়ে প্রেমিক তার বন্ধু রাসেদ ও আজগরের সহায়তায় তরুণীর গায়ের ওড়না দিয়ে মুখ বেধে আশ্রাফ ডাক্তারের প্রজেক্টের পাশের একটি সয়াবিন ক্ষেতে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।

চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেব প্রিয় দেব দাশ বলেন, গতকাল রোববার এ ঘটনায় ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় একটি মামলা করেন। আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। তরুণীকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা জন্য পাঠানো হয়েছে।