যৌনপেশা নিষিদ্ধের অঙ্গীকার স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রোর

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১১:৫১:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর ২০২১
  • / ১২৯ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ আইন করে যৌন পেশা বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। স্থানীয় সময় রবিবার ভ্যালেন্সিয়ায় তার দল সোশ্যালিস্ট পার্টির তিন দিনের কংগ্রেস শেষে সমর্থকদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন। যৌন পেশা নারীদের ‘দাসে’ পরিণত করে বলে মন্তব্য করেছেন সানচেজ। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

স্পেনে ১৯৯৫ সালে যৌন পেশার ওপর থেকে বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়। ২০১৬ সালে জাতিসংঘের এক হিসাবে বলা হয়, দেশটির যৌন খাত ৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন ইউরোর শিল্পে পরিণত হয়েছে। ২০০৯ সালে করা এক জরিপে দেখা যায়, প্রতি তিন জন স্পেনীয় পুরুষের মধ্যে একজন যৌনতার জন্য অর্থ খরচ করেন।

এরপর ওই একই সালে প্রকাশিত আরেকটি প্রতিবেদনে যৌনতার জন্য অর্থ খরচ করা পুরুষের সংখ্যা ৩৯ শতাংশ বলে ধারণা দেওয়া হয়েছিল। ২০১১ সালে জাতিসংঘের এক সমীক্ষায় বিশ্বে পুয়ের্তো রিকো ও থাইল্যান্ডের পর স্পেনকে যৌন পেশার তৃতীয় বৃহত্তম কেন্দ্র বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।

বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর থেকে দেশটিতে এই খাতের ব্যাপক প্রসার ঘটে। স্পেনে প্রায় ৩ লাখ নারী যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করেন বলে সাধারণভাবে ধারণা করা হয়। ২০১৯ সালে সানচেজের পার্টি নির্বাচনি ইশতাহারে যৌন পেশাকে বেআইনি ঘোষণার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।

নারী ভোটারদের আকৃষ্ট করতে এ প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে বলে তখন ধারণা করা হয়েছিল। ঐ ইশতাহারে যৌন পেশাকে ‘দারিদ্রের নারীত্বকরণের অন্যতম নিষ্ঠুর দিক এবং নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার অন্যতম খারাপ রূপ’ বলে অভিহিত করা হয়েছিল; কিন্তু নির্বাচনের পর দুই বছর পার হয়ে গেলেও ঐ প্রতিশ্রুতি পালনে কোনো আইন করা হয়নি।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

যৌনপেশা নিষিদ্ধের অঙ্গীকার স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রোর

Update Time : ১১:৫১:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ আইন করে যৌন পেশা বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। স্থানীয় সময় রবিবার ভ্যালেন্সিয়ায় তার দল সোশ্যালিস্ট পার্টির তিন দিনের কংগ্রেস শেষে সমর্থকদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন। যৌন পেশা নারীদের ‘দাসে’ পরিণত করে বলে মন্তব্য করেছেন সানচেজ। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

স্পেনে ১৯৯৫ সালে যৌন পেশার ওপর থেকে বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়। ২০১৬ সালে জাতিসংঘের এক হিসাবে বলা হয়, দেশটির যৌন খাত ৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন ইউরোর শিল্পে পরিণত হয়েছে। ২০০৯ সালে করা এক জরিপে দেখা যায়, প্রতি তিন জন স্পেনীয় পুরুষের মধ্যে একজন যৌনতার জন্য অর্থ খরচ করেন।

এরপর ওই একই সালে প্রকাশিত আরেকটি প্রতিবেদনে যৌনতার জন্য অর্থ খরচ করা পুরুষের সংখ্যা ৩৯ শতাংশ বলে ধারণা দেওয়া হয়েছিল। ২০১১ সালে জাতিসংঘের এক সমীক্ষায় বিশ্বে পুয়ের্তো রিকো ও থাইল্যান্ডের পর স্পেনকে যৌন পেশার তৃতীয় বৃহত্তম কেন্দ্র বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।

বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর থেকে দেশটিতে এই খাতের ব্যাপক প্রসার ঘটে। স্পেনে প্রায় ৩ লাখ নারী যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করেন বলে সাধারণভাবে ধারণা করা হয়। ২০১৯ সালে সানচেজের পার্টি নির্বাচনি ইশতাহারে যৌন পেশাকে বেআইনি ঘোষণার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।

নারী ভোটারদের আকৃষ্ট করতে এ প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে বলে তখন ধারণা করা হয়েছিল। ঐ ইশতাহারে যৌন পেশাকে ‘দারিদ্রের নারীত্বকরণের অন্যতম নিষ্ঠুর দিক এবং নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার অন্যতম খারাপ রূপ’ বলে অভিহিত করা হয়েছিল; কিন্তু নির্বাচনের পর দুই বছর পার হয়ে গেলেও ঐ প্রতিশ্রুতি পালনে কোনো আইন করা হয়নি।