মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রচেষ্টার প্রশংসা করলেন জাতিসংঘ মহাসচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৪:০৩:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ৬৪১ Time View

নিজস্ব প্রতিনিধি:

কোভিড-১৯ এর কারণে সৃষ্ট স্বাস্থ্যগত ও আর্থ-সামাজিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ গৃহীত ব্যাপকভিত্তিক পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করলেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজ।
.
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে মোমেন এর সাথে গতকাল অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এ প্রশংসা করেন তিনি।
.
দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশের অভূতপূর্ব সাফল্যের অতীত রেকর্ডের উদাহরণ টেনে মহাসচিব গুতেরেজ বলেন, যে কোনো ঝুঁকি নিরসণের বৈশ্বিক নেতৃত্বে বাংলাদেশ সর্বদাই শীর্ষস্থানীয়। তাই কোভিড-১৯ এর মোকাবিলায় বাংলাদেশের সাফল্য দেখে আমি মোটেও অবাক হইনি।
.
আলোচনাকালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাতিসংঘ মহাসচিব কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিনকে ‘বৈশ্বিক সম্পদ’ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত বলে একমত হন।
.
জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানে বাংলাদেশের উদারতার প্রশংসা করে মহাসচিব বলেন, আমাদের লক্ষ্য অভিন্ন, আর তা হলো রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো। সমস্যাটির সমাধানে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে জাতিসংঘ সদাপ্রস্তুত রয়েছে। ভাষাণচরে বাংলাদেশ সরকার গৃহীত পদক্ষেপগুলো সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মহাসচিবকে অবহিত করেন এবং সেখানে রোহিঙ্গাদের জন্য জাতিসংঘের মানবিক সহায়তার অনুরোধ জানান।
.
জলবায়ু কর্মসূচিতে জাতিসংঘ মহাসচিবের সুদৃঢ় প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলবায়ু-অর্থায়নকে সচল করতে মহাসচিবের আহ্বানকে স্বাগত জানান। জলবায়ু-পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করা তাঁর জীবনের যুদ্ধ বলে অভিহিত করে মহাসচিব বলেন, অভিযোজন কৌশল বাস্তবায়নে প্রস্তাবিত জলবায়ু তহবিলের ৫০ভাগ বরাদ্দ পেতে দাতাদের বোঝানোর চেষ্টা করবেন তিনি। উপকূলবর্তী অঞ্চলে ব্যাপক অভিযোজন কর্মসূচি এবং নদীব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের গৃহীত পদক্ষেপসমূহকে অসাধারণ হিসেবে উল্লেখ করেন গুতেরেজ।
.
উন্নয়ন অংশীদার ও আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ উত্তরণপরবর্তী সময়েও যেন নতুন সহায়তা-ব্যবস্থার আওতায় সদ্য উত্তরিত দেশগুলোকে বিবেচনা করে সেজন্য তাদের উদ্বুদ্ধ করতে মহাসচিবের দপ্তরের পূর্ণ সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
.
এলডিসি ক্যাটাগরি থেকে উত্তরণ কেবল জিডিপিদ্বারা পরিমাপকৃত কোনো কারিগরি বিষয় নয়, এটি বিবেচনার ক্ষেত্রে বহুমাত্রিক নাজুক সূচকসমূহেরও ব্যবহার করা যেতে পারে মর্মে মতপ্রকাশ করেন জাতিসংঘ মহাসচিব। তিনি বলেন, উত্তরণ কোনো শাস্তি হতে পারে না এটি হতে পারে পুরস্কার।
Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রচেষ্টার প্রশংসা করলেন জাতিসংঘ মহাসচিব

Update Time : ০৪:০৩:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১

নিজস্ব প্রতিনিধি:

কোভিড-১৯ এর কারণে সৃষ্ট স্বাস্থ্যগত ও আর্থ-সামাজিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ গৃহীত ব্যাপকভিত্তিক পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করলেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজ।
.
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে মোমেন এর সাথে গতকাল অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এ প্রশংসা করেন তিনি।
.
দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশের অভূতপূর্ব সাফল্যের অতীত রেকর্ডের উদাহরণ টেনে মহাসচিব গুতেরেজ বলেন, যে কোনো ঝুঁকি নিরসণের বৈশ্বিক নেতৃত্বে বাংলাদেশ সর্বদাই শীর্ষস্থানীয়। তাই কোভিড-১৯ এর মোকাবিলায় বাংলাদেশের সাফল্য দেখে আমি মোটেও অবাক হইনি।
.
আলোচনাকালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাতিসংঘ মহাসচিব কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিনকে ‘বৈশ্বিক সম্পদ’ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত বলে একমত হন।
.
জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানে বাংলাদেশের উদারতার প্রশংসা করে মহাসচিব বলেন, আমাদের লক্ষ্য অভিন্ন, আর তা হলো রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো। সমস্যাটির সমাধানে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে জাতিসংঘ সদাপ্রস্তুত রয়েছে। ভাষাণচরে বাংলাদেশ সরকার গৃহীত পদক্ষেপগুলো সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মহাসচিবকে অবহিত করেন এবং সেখানে রোহিঙ্গাদের জন্য জাতিসংঘের মানবিক সহায়তার অনুরোধ জানান।
.
জলবায়ু কর্মসূচিতে জাতিসংঘ মহাসচিবের সুদৃঢ় প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলবায়ু-অর্থায়নকে সচল করতে মহাসচিবের আহ্বানকে স্বাগত জানান। জলবায়ু-পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করা তাঁর জীবনের যুদ্ধ বলে অভিহিত করে মহাসচিব বলেন, অভিযোজন কৌশল বাস্তবায়নে প্রস্তাবিত জলবায়ু তহবিলের ৫০ভাগ বরাদ্দ পেতে দাতাদের বোঝানোর চেষ্টা করবেন তিনি। উপকূলবর্তী অঞ্চলে ব্যাপক অভিযোজন কর্মসূচি এবং নদীব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের গৃহীত পদক্ষেপসমূহকে অসাধারণ হিসেবে উল্লেখ করেন গুতেরেজ।
.
উন্নয়ন অংশীদার ও আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ উত্তরণপরবর্তী সময়েও যেন নতুন সহায়তা-ব্যবস্থার আওতায় সদ্য উত্তরিত দেশগুলোকে বিবেচনা করে সেজন্য তাদের উদ্বুদ্ধ করতে মহাসচিবের দপ্তরের পূর্ণ সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
.
এলডিসি ক্যাটাগরি থেকে উত্তরণ কেবল জিডিপিদ্বারা পরিমাপকৃত কোনো কারিগরি বিষয় নয়, এটি বিবেচনার ক্ষেত্রে বহুমাত্রিক নাজুক সূচকসমূহেরও ব্যবহার করা যেতে পারে মর্মে মতপ্রকাশ করেন জাতিসংঘ মহাসচিব। তিনি বলেন, উত্তরণ কোনো শাস্তি হতে পারে না এটি হতে পারে পুরস্কার।