মেলান্দহে মা-মেয়ের গলাকাটা লাশ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৭:৪৩:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জানুয়ারী ২০২২
  • / ১৫৭ Time View

এমরান হোসেন, জামালপুর:

জামালপুরের মেলান্দহে মা-মেয়ের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহতরা হলেন- মা জয়ফল বেগম (৫৫) ও মেয়ে স্বপ্না বেগম (২৫)। মা- মেয়ের গলা কেটে হত্যার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

শনিবার (০১ জানুয়ারি) রাত ৮ টায় পৌরসভার গোবিন্দপুর গাড়োয়ালপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত জয়ফল বেগমের স্বামী ও স্বপ্নার পিতা মৃত আকমল চৌধুরী।

প্রতিবেশি ও স্থানীয়রা জানান, আকমল চৌধুরীর দুই ছেলে মিলন চৌধুরী ও মিস্টার চৌধুরী ওমান প্রবাসী। আরেক ছেলে জহুরুল ইসলাম বাড়িতেই থাকেন। বোন স্বপ্নার বিয়ে হয়েছিল যশোরে। স্বপ্না এখন স্বামী পরিত্যক্তা। জহুরুল ইসলামের সাথে মা-বোনের কলহ হয়।

এ নিয়ে একই বাড়ির আঙ্গিনায় বেড়া দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দেয়। দুইদিন আগে জহুরুল ইসলাম সস্ত্রীক বাড়ি থেকে চলে যায়। এরপর থেকেই দু’দিন যাবৎ ঘরের দরজা জানালা বন্ধ ছিল। ওদিকে দু’দিন যাবৎ ওমান থেকে ছেলেরা জয়ফল কে ফোনে না পেয়ে বিচলিত হয়ে পড়েন।

একপর্যায়ে ওমান থেকে দুই ছেলে জয়ফলের আত্মীয়দের কাছে ফোন দেন। খবর পেয়ে জয়ফলের ভাই মানিকসহ অন্যান্য স্বজনরা গোবিন্দপুরে এসে দরজা জানালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করলে তার মা- মেয়ের গলাকাটা লাশ দেখতে পান। মুহুর্তেই খবরটি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।সংবাদ পেয়ে মেলান্দহ থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এম ময়নুল ইসলাম জানান, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। কী কারণে তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। তদন্ত শেষে মৃত্যুর সঠিক রহস্য উদঘাটিত হবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

মেলান্দহে মা-মেয়ের গলাকাটা লাশ উদ্ধার

Update Time : ০৭:৪৩:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জানুয়ারী ২০২২

এমরান হোসেন, জামালপুর:

জামালপুরের মেলান্দহে মা-মেয়ের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহতরা হলেন- মা জয়ফল বেগম (৫৫) ও মেয়ে স্বপ্না বেগম (২৫)। মা- মেয়ের গলা কেটে হত্যার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

শনিবার (০১ জানুয়ারি) রাত ৮ টায় পৌরসভার গোবিন্দপুর গাড়োয়ালপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত জয়ফল বেগমের স্বামী ও স্বপ্নার পিতা মৃত আকমল চৌধুরী।

প্রতিবেশি ও স্থানীয়রা জানান, আকমল চৌধুরীর দুই ছেলে মিলন চৌধুরী ও মিস্টার চৌধুরী ওমান প্রবাসী। আরেক ছেলে জহুরুল ইসলাম বাড়িতেই থাকেন। বোন স্বপ্নার বিয়ে হয়েছিল যশোরে। স্বপ্না এখন স্বামী পরিত্যক্তা। জহুরুল ইসলামের সাথে মা-বোনের কলহ হয়।

এ নিয়ে একই বাড়ির আঙ্গিনায় বেড়া দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দেয়। দুইদিন আগে জহুরুল ইসলাম সস্ত্রীক বাড়ি থেকে চলে যায়। এরপর থেকেই দু’দিন যাবৎ ঘরের দরজা জানালা বন্ধ ছিল। ওদিকে দু’দিন যাবৎ ওমান থেকে ছেলেরা জয়ফল কে ফোনে না পেয়ে বিচলিত হয়ে পড়েন।

একপর্যায়ে ওমান থেকে দুই ছেলে জয়ফলের আত্মীয়দের কাছে ফোন দেন। খবর পেয়ে জয়ফলের ভাই মানিকসহ অন্যান্য স্বজনরা গোবিন্দপুরে এসে দরজা জানালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করলে তার মা- মেয়ের গলাকাটা লাশ দেখতে পান। মুহুর্তেই খবরটি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।সংবাদ পেয়ে মেলান্দহ থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এম ময়নুল ইসলাম জানান, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। কী কারণে তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। তদন্ত শেষে মৃত্যুর সঠিক রহস্য উদঘাটিত হবে।