মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ কমপ্লায়েন্স মেনে কাজ না করায় শর্ত ভঙ্গ করেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১১:৪৩:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুন ২০২১
  • / ১৫৩ Time View
নিজস্ব প্রতিবেদক:

ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ কমপ্লায়েন্স মেনে কাজ না করায় চুক্তির শর্ত ভঙ্গ এবং জলাবদ্ধতাসহ বিভিন্ন ধরণের জনভোগান্তির সৃষ্টি করেছে।

আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর মিরপুর কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া ও রোকেয়া সরণিতে মেট্রোরেল প্রকল্প এলাকায় সরেজমিনে পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ যেসব শর্তে সরকারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় আর্থিক বরাদ্দসহ প্রকল্পের দায়িত্ব নিয়েছে তারা সেসব শর্ত যথাযথভাবে প্রতিপালন করে নাই। কমপ্লায়েন্স মেনে কাজ করার কথা থাকলেও মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ তা না করার কারণেই আশপাশের লোকজনকে জলাবদ্ধতা ও পরিবেশ দূষণসহ নানাবিধ সমস্যায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে রাস্তা ও ড্রেনে জমে থাকা বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রীর ২৩৭ বস্তা উচ্ছিষ্ঠাংশ ডিএনসিসির পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে অপসারণ করা হয়েছে এবং অত্যাধুনিক জেট এন্ড সাকার মেশিন দিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, মিরপুর-১০ থেকে শেওড়াপাড়া পর্যন্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার ওয়াসার অসমাপ্ত কাজ সম্পাদনের জন্য ডিএনসিসির নিজস্ব অর্থায়নে ৩৬ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে এবং এর টেন্ডারও শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ডিএনসিসির আওতাভূক্ত এলাকায় মেট্রোরেল কিংবা এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে কর্তৃপক্ষের প্রত্যেককেই ডিএনসিসির সাথে সমন্বয় করে কমপ্লায়েন্স মেনে যথাযথভাবে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, রাস্তা, ড্রেন ও ফুটপাথ সচল রেখে মেট্রোরেলের কাজ চলমান রাখার কথা কিন্তু বিদ্যমান অপর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা মেট্রোরেলের কাজের কারণেই নানাভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তাই রাস্তা, ড্রেন ও ফুটপাথ সচল রাখার ব্যবস্থা মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষকেই নিশ্চিত করতে হবে।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন কাজ করে যাচ্ছে। পহেলা জুন ঢাকায় দীর্ঘ সময় ধরে রেকর্ড ৮৫ মিলিমিটার পরিমাণ বৃষ্টিপাত হলেও দ্রুততম সময়ের মধ্যেই নগরবাসীকে জলজট থেকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে।

উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের প্রজেক্টগুলোর অন্যতম মেট্রোরেল নগরবাসীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষকে শুধু সড়কের উপরের রেলের দিকে নজর দিলেই চলবেনা নিচের রাস্তা, ফুটপাথ ও ড্রেনের দিকেও নজর দিতে হবে, এগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।

তিনি নিজেদের ঘরবাড়ি ও আশপাশের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার লক্ষ্যে ময়লা-আবর্জনা যেখানে সেখানে না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহবান জানান।

Please Share This Post in Your Social Media

মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ কমপ্লায়েন্স মেনে কাজ না করায় শর্ত ভঙ্গ করেছে

Update Time : ১১:৪৩:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুন ২০২১
নিজস্ব প্রতিবেদক:

ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ কমপ্লায়েন্স মেনে কাজ না করায় চুক্তির শর্ত ভঙ্গ এবং জলাবদ্ধতাসহ বিভিন্ন ধরণের জনভোগান্তির সৃষ্টি করেছে।

আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর মিরপুর কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া ও রোকেয়া সরণিতে মেট্রোরেল প্রকল্প এলাকায় সরেজমিনে পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ যেসব শর্তে সরকারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় আর্থিক বরাদ্দসহ প্রকল্পের দায়িত্ব নিয়েছে তারা সেসব শর্ত যথাযথভাবে প্রতিপালন করে নাই। কমপ্লায়েন্স মেনে কাজ করার কথা থাকলেও মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ তা না করার কারণেই আশপাশের লোকজনকে জলাবদ্ধতা ও পরিবেশ দূষণসহ নানাবিধ সমস্যায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে রাস্তা ও ড্রেনে জমে থাকা বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রীর ২৩৭ বস্তা উচ্ছিষ্ঠাংশ ডিএনসিসির পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে অপসারণ করা হয়েছে এবং অত্যাধুনিক জেট এন্ড সাকার মেশিন দিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, মিরপুর-১০ থেকে শেওড়াপাড়া পর্যন্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার ওয়াসার অসমাপ্ত কাজ সম্পাদনের জন্য ডিএনসিসির নিজস্ব অর্থায়নে ৩৬ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে এবং এর টেন্ডারও শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ডিএনসিসির আওতাভূক্ত এলাকায় মেট্রোরেল কিংবা এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে কর্তৃপক্ষের প্রত্যেককেই ডিএনসিসির সাথে সমন্বয় করে কমপ্লায়েন্স মেনে যথাযথভাবে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, রাস্তা, ড্রেন ও ফুটপাথ সচল রেখে মেট্রোরেলের কাজ চলমান রাখার কথা কিন্তু বিদ্যমান অপর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা মেট্রোরেলের কাজের কারণেই নানাভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তাই রাস্তা, ড্রেন ও ফুটপাথ সচল রাখার ব্যবস্থা মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষকেই নিশ্চিত করতে হবে।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন কাজ করে যাচ্ছে। পহেলা জুন ঢাকায় দীর্ঘ সময় ধরে রেকর্ড ৮৫ মিলিমিটার পরিমাণ বৃষ্টিপাত হলেও দ্রুততম সময়ের মধ্যেই নগরবাসীকে জলজট থেকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে।

উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের প্রজেক্টগুলোর অন্যতম মেট্রোরেল নগরবাসীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষকে শুধু সড়কের উপরের রেলের দিকে নজর দিলেই চলবেনা নিচের রাস্তা, ফুটপাথ ও ড্রেনের দিকেও নজর দিতে হবে, এগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।

তিনি নিজেদের ঘরবাড়ি ও আশপাশের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার লক্ষ্যে ময়লা-আবর্জনা যেখানে সেখানে না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহবান জানান।