মামুনুলের ৩য় স্ত্রীর সন্ধান ও নিরাপত্তা চেয়ে জিডি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১১:১০:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ এপ্রিল ২০২১
  • / ১৩৪ Time View
কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাতের বিতর্কের শেষ হতে না হতেই এবার হেফাজত নেতা মামনুল হকের তৃতীয় স্ত্রী নিয়ে আলোচনা। যার সঙ্গে বিয়ের কথা স্বীকার করেছেন মামনুল। কথিত তৃতীয় স্ত্রীর ভাই তার বোনের কোন সন্ধান না পেয়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় জিডি করেছেন।

রিসোর্ট কাণ্ডের পর একের পর এক তথ্য জানা যাচ্ছে। দ্বিতীয় স্ত্রী নিয়ে বিতর্ক শেষ না হতেই এবার তৃতীয় স্ত্রী বিতর্ক।

জান্নাতুল ফেরদৌস নামে আরো এক নারীর সঙ্গে কথাবার্তা আদান প্রদানসহ নানা তথ্য উঠে আসে। তাদের দুজনের সম্পর্কও ছিলো বেশ গভীর। মাঝে মাঝে মামনুল মোটা অংকের টাকাও দিতেন সেই নারীকে।

তথ্য বলছে, ২০১৩ সালে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অবস্থায় মামুনুলের সাথে পরিচয় জান্নাতুলের। আড়াই বছর আগে তার বিবাহ বিচ্ছেদ হলে একটি মহিলা মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে চাকরি দেন মামুনুল হক। ওই মাদ্রাসাটির প্রধান উপদেষ্টাও মামুনুল। এরপর থেকে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। যদিও রিসোর্ট কাণ্ডের আগে জান্নাতুলেরও কোন খোঁজ মেলেনি।

এদিকে, নিজের বোনের সন্ধান চেয়ে থানায় ঘুরছেন জান্নাতের ভাই শাহজাহান সাজু। রবিবার (১১ এপ্রিল) রাতে মোহাম্মদপুর থানায় একটি জিডিও করেন তিনি। যেখানে তিনি দাবি করেন মামুনুল হক তাকে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় ডেকে নিয়ে তার বোনের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি অবহিত করেন। তবে, বোনের কোন খোঁজ না পাওয়ায় তার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন সে। যদিও এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করেননি সাজু।

উল্লেখ্য, গত ৩ এপ্রিল এক নারীকে (জান্নাত আরা ঝর্ণা) নিয়ে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়্যাল রিসোর্টে অবকাশ যাপনের সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন হেফাজতে ইসলাম নেতা মামুনুল হক। তিনি দাবি করেন, ওই নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী। তবে ঘটনার পর প্রায় এক ডজন অডিও-ভিডিও ফাঁস হওয়ার কারণে প্রকাশ্যে এসেছে হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হকের নানা কর্ম। তার ‘মানবিক বিয়ে’ গল্পের অসারতাও প্রমাণিত হয়েছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

মামুনুলের ৩য় স্ত্রীর সন্ধান ও নিরাপত্তা চেয়ে জিডি

Update Time : ১১:১০:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ এপ্রিল ২০২১
কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাতের বিতর্কের শেষ হতে না হতেই এবার হেফাজত নেতা মামনুল হকের তৃতীয় স্ত্রী নিয়ে আলোচনা। যার সঙ্গে বিয়ের কথা স্বীকার করেছেন মামনুল। কথিত তৃতীয় স্ত্রীর ভাই তার বোনের কোন সন্ধান না পেয়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় জিডি করেছেন।

রিসোর্ট কাণ্ডের পর একের পর এক তথ্য জানা যাচ্ছে। দ্বিতীয় স্ত্রী নিয়ে বিতর্ক শেষ না হতেই এবার তৃতীয় স্ত্রী বিতর্ক।

জান্নাতুল ফেরদৌস নামে আরো এক নারীর সঙ্গে কথাবার্তা আদান প্রদানসহ নানা তথ্য উঠে আসে। তাদের দুজনের সম্পর্কও ছিলো বেশ গভীর। মাঝে মাঝে মামনুল মোটা অংকের টাকাও দিতেন সেই নারীকে।

তথ্য বলছে, ২০১৩ সালে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অবস্থায় মামুনুলের সাথে পরিচয় জান্নাতুলের। আড়াই বছর আগে তার বিবাহ বিচ্ছেদ হলে একটি মহিলা মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে চাকরি দেন মামুনুল হক। ওই মাদ্রাসাটির প্রধান উপদেষ্টাও মামুনুল। এরপর থেকে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। যদিও রিসোর্ট কাণ্ডের আগে জান্নাতুলেরও কোন খোঁজ মেলেনি।

এদিকে, নিজের বোনের সন্ধান চেয়ে থানায় ঘুরছেন জান্নাতের ভাই শাহজাহান সাজু। রবিবার (১১ এপ্রিল) রাতে মোহাম্মদপুর থানায় একটি জিডিও করেন তিনি। যেখানে তিনি দাবি করেন মামুনুল হক তাকে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় ডেকে নিয়ে তার বোনের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি অবহিত করেন। তবে, বোনের কোন খোঁজ না পাওয়ায় তার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন সে। যদিও এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করেননি সাজু।

উল্লেখ্য, গত ৩ এপ্রিল এক নারীকে (জান্নাত আরা ঝর্ণা) নিয়ে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়্যাল রিসোর্টে অবকাশ যাপনের সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন হেফাজতে ইসলাম নেতা মামুনুল হক। তিনি দাবি করেন, ওই নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী। তবে ঘটনার পর প্রায় এক ডজন অডিও-ভিডিও ফাঁস হওয়ার কারণে প্রকাশ্যে এসেছে হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হকের নানা কর্ম। তার ‘মানবিক বিয়ে’ গল্পের অসারতাও প্রমাণিত হয়েছে।