মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কা: নিহত ১১ যাত্রীর মরদেহ হস্তান্তর

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০১:০৭:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ জুলাই ২০২২
  • / ২৫১ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ট্রেনের ধাক্কায় পর্যটকবাহী মাইক্রোবাসের নিহত ১১ যাত্রীর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শুক্রবার (২৯ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার পর মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হয়।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দীন।

তিনি জানিয়েছেন, পরিবারের লোকজনের আবেদনের প্রেক্ষিতে এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনায় নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়েছে।

এর আগে দুপুর ১টার দিকে উপজেলার খৈয়াছড়া এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় পর্যটকবাহী মাইক্রোবাসের ১১ যাত্রী নিহত হন। এ ঘটনায় আহত সাতজনের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। আহতরা সবাই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হতাহতরা সবাই মাইক্রোবাসের যাত্রী এবং তাদের বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার আমান বাজারে।

No description available.

এ ঘটনায় ওই লেভেলক্রসিংয়ের গেটম্যান সাদ্দামকে বিকেল ৬টার দিকে আটক করে রেলওয়ে পুলিশ। দুর্ঘটনার কারণ জানতে চট্টগ্রাম রেলওয়ের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) মো. আনছার আলীকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, বিভাগীয় নির্বাহী প্রকৌশলী-১ আব্দুল হামিদ, বিভাগীয় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার জাহিদ হাসান, রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর কমানডেন্ট রেজানুর রহমান ও রেলওয়ের বিভাগীয় মেডিকেল অফিসার আনোয়ার হোসেন। কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, একটি মাইক্রোবাসে ১৮ জন তরুণ-যুবক খৈয়াছড়া ঝরনা দেখে ফিরছিলেন। এসময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতী ট্রেনটি মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দেয়। হতাহতরা সবাই ‘আরএনজে কোচিং সেন্টার’ নামে একটি কোচিং সেন্টারের ছাত্র-শিক্ষক।

প্রাথমিকভাবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দাবি, ট্রেন আসার সিগন্যাল পেয়ে ওই ক্রসিংয়ের গেটম্যান সাদ্দাম বাঁশ ফেলে ব্যারিকেড দিয়েছিলেন। সেই বাঁশ ঠেলে মাইক্রোবাসটি রেললাইনের ওপর উঠে যায়। এমনকি গেটম্যান লাল পতাকা উড়িয়ে মাইক্রোবাসচালককে থামার নির্দেশনাও দিয়েছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার সময় গেটম্যান সাদ্দাম ওই লেভেলক্রসিংয়ে ছিলেন না। তিনি জুমার নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন। বাঁশ ফেলে ক্রসিংয়ে ব্যারিকেড দেওয়া হয়নি।

এদিকে কমিটি গঠনের পরই ঘটনার মূল সত্যতা খুঁজে বের করতে তদন্ত কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন কমিটি প্রধান মো. আনছার আলী।

Please Share This Post in Your Social Media

মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কা: নিহত ১১ যাত্রীর মরদেহ হস্তান্তর

Update Time : ০১:০৭:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ জুলাই ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ট্রেনের ধাক্কায় পর্যটকবাহী মাইক্রোবাসের নিহত ১১ যাত্রীর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শুক্রবার (২৯ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার পর মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হয়।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দীন।

তিনি জানিয়েছেন, পরিবারের লোকজনের আবেদনের প্রেক্ষিতে এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনায় নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়েছে।

এর আগে দুপুর ১টার দিকে উপজেলার খৈয়াছড়া এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় পর্যটকবাহী মাইক্রোবাসের ১১ যাত্রী নিহত হন। এ ঘটনায় আহত সাতজনের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। আহতরা সবাই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হতাহতরা সবাই মাইক্রোবাসের যাত্রী এবং তাদের বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার আমান বাজারে।

No description available.

এ ঘটনায় ওই লেভেলক্রসিংয়ের গেটম্যান সাদ্দামকে বিকেল ৬টার দিকে আটক করে রেলওয়ে পুলিশ। দুর্ঘটনার কারণ জানতে চট্টগ্রাম রেলওয়ের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) মো. আনছার আলীকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, বিভাগীয় নির্বাহী প্রকৌশলী-১ আব্দুল হামিদ, বিভাগীয় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার জাহিদ হাসান, রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর কমানডেন্ট রেজানুর রহমান ও রেলওয়ের বিভাগীয় মেডিকেল অফিসার আনোয়ার হোসেন। কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, একটি মাইক্রোবাসে ১৮ জন তরুণ-যুবক খৈয়াছড়া ঝরনা দেখে ফিরছিলেন। এসময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতী ট্রেনটি মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দেয়। হতাহতরা সবাই ‘আরএনজে কোচিং সেন্টার’ নামে একটি কোচিং সেন্টারের ছাত্র-শিক্ষক।

প্রাথমিকভাবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দাবি, ট্রেন আসার সিগন্যাল পেয়ে ওই ক্রসিংয়ের গেটম্যান সাদ্দাম বাঁশ ফেলে ব্যারিকেড দিয়েছিলেন। সেই বাঁশ ঠেলে মাইক্রোবাসটি রেললাইনের ওপর উঠে যায়। এমনকি গেটম্যান লাল পতাকা উড়িয়ে মাইক্রোবাসচালককে থামার নির্দেশনাও দিয়েছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার সময় গেটম্যান সাদ্দাম ওই লেভেলক্রসিংয়ে ছিলেন না। তিনি জুমার নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন। বাঁশ ফেলে ক্রসিংয়ে ব্যারিকেড দেওয়া হয়নি।

এদিকে কমিটি গঠনের পরই ঘটনার মূল সত্যতা খুঁজে বের করতে তদন্ত কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন কমিটি প্রধান মো. আনছার আলী।