মতলব উত্তরে দেড় মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ১০ জনের প্রাণহানি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৭:০০:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ১৬৯ Time View

আল-আমিন ভূঁইয়া,মতলব প্রতিনিধি:

গত ২৫ নভেম্বর ২০২২ থেকে ৬ জানুয়ারি ২০২৩ পর্যন্ত মতলব উত্তর উপজেলার বিভিন্ন সড়কে ১০ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে একজন শিশু ও একজন স্কুলছাত্রী রয়েছে। এ উপজেলায় দিন দিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে অপ্রাপ্তবয়স্ক বেপরোয়া মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, ট্রাক্টর ও ট্রলিগাড়ি চালকদের দৌরাত্ম্য। সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা মোটরসাইকেলে। যার ফলে একের পর এক ঘটছে দুর্ঘটনা। সড়কে মৃত্যু থামছে না। এ উপজেলার সড়ক দুর্ঘটনা রোধ ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে অবরোধ ও মানববন্ধন করা হয়েছে। কিন্তু কিছুতেই সড়ক দুর্ঘটনা রোধ হচ্ছে না। দিন দিন তা বেড়েই চলেছে।

২৫ নভেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে মতলব উত্তর উপজেলার ভাটি রসুলপুর নামক স্থানে মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেল আরোহী ২ যুবক নিহত হন। নিহতরা সুলতানাবাদ ইউনিয়নের টরকী গ্রামের মহসিন বেপারীর ছেলে সালাউদ্দিন (২২) ও রুস্তম বেপারীর ছোট ছেলে মহাম্মদ (২১)।

২৬ নভেম্বর বাগানবাড়ি ইউনিয়নের হাফানিয়া বেড়িবাঁধের ওপর ট্রলিগাড়ি আর মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই ৩ জন নিহত হন ও তানভীর নামে একজন গুরুতর আহত হন। আহত তানভীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় ২ ডিসেম্বর সকাল নয়টা চল্লিশ মিনিটে মৃত্যুবরণ করেন। এ সংঘর্ষের ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন : চান্দ্রাকান্দি গ্রামের আবিদ আলীর ছেলে মোঃ সেলিম মিয়া (৩০), খাগুরিয়া গ্রামের আঃ রশিদ মিয়াজীর ছেলে শান্ত (২৫), সরজান বকাউলের ছেলে মোঃ রাশেদ (২২) ও ঘটনার ৬ দিন পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা মোঃ নাছির উদ্দীন বেপারীর ছেলে তানভীর।

৫ ডিসেম্বর সোমবার সকাল সাড়ে ৬টায় প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার পথে মতলব উত্তরে লেগুনা গাড়ি থেকে ছিটকে পড়ে দশম শ্রেণির ছাত্রী মুক্তা আক্তার নিহত হয়। মুক্তা আক্তার শরীফ উল্লাহ স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিলো। সকালে লালপুর গ্রামের মিজান স্যারের বাড়িতে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় লালপুর বেড়িবাঁধে লেগুনা গাড়ি থেকে নামার সময় মুক্তা আক্তার ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত মুক্তা আক্তার ষাটনল ইউনিয়নের রঙ্গুখারকান্দির আয়েত আলীর মেয়ে।

১৮ ডিসেম্বর দুপুর ১টায় উপজেলার ফরাজিকান্দি ইউনিয়নের চরমাছুয়ায় মোটরসাইকেল-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী মোঃ মমিন (২০) নিহত হন। মমিন উপজেলার চরকালিয়া তফাদার পাড়ার মোঃ সুজন মিয়ার ছেলে।

২৮ ডিসেম্বর বুধবার মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত আক্তার হোসেন প্রধান ২৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় বাংলাদেশ স্পেশালাইজ্ড হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। বুধবার দুপুর সোয়া ১টায় মোটরসাইকেলের যাত্রী হিসেবে চলার সময় মেঘনা-ধনাগোদা বেড়িবাঁধের সটাকি অংশে পেছনের চাকা পাংচার হওয়ায় মারাত্মকভাবে আহত হয়ে বাংলাদেশ স্পেশালাইজ্ড হাসপাতালের ভর্তি করা হয় তাকে। চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় বৃহস্পতিবার তিনি মারা যান। তিনি ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের আমিনপুর গ্রামের মোঃ খোকন মেম্বারের ছোট ভাই।

৬ জানুয়ারি শুক্রবার দুপুরে উপজেলার হানিরপাড় গ্রামের ফকির বাড়ির মসজিদের কাছে সিমেন্ট বহনকারী অবৈধ ট্রলিগাড়ির ধাক্কায় আট বছর বয়সী শিশুশিক্ষার্থী রাকিব নিহত হয়। শিশুটি জুমার নামাজ আদায়ের জন্যে রাস্তার পাশ দিয়ে মসজিদে যাচ্ছিলো। হঠাৎ বিপরীত দিক থেকে বেপরোয়া গতিতে ছুটে আসা ট্রলি গাড়ির ধাক্কায় শিশুটি মাথায় ও হাতে আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়দের সহায়তায় আহত রাকিবের পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে শিশুটিকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। রাকিব উপজেলার হানিরপাড় গ্রামের ইটভাটা শ্রমিক নাজির ঢালীর ছেলে। সে হানিরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র।

স্থানীয়রা মনে করছেন, লাইসেন্সবিহীন চালকরা বেপয়ারা ট্রলি গাড়ি ও মোটরসাইকেল চালানোর কারণে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে। উভয়পক্ষের কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহকে দাফনের অনুমতি দেয়া হয়। মামলা না হওয়ায় দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার ঘটনাটি ধামাচাপা পড়ে যায়। ঘটনা ঘটনাই থাকে, অন্যায় অন্যায়ই থেকে যায়, কে দোষী, কে নির্দোষ এগুলো আর শনাক্ত করা যায় না। এ সমস্ত দুর্ঘটনার ব্যাপারে দোষী ব্যক্তিদের শনাক্ত না করা হলে এমনিভাবেই অনেক মায়ের বুক খালি হতে থাকবে। আইনশৃঙ্খলা ও পুলিশ বাহিনী যদি কোনো ব্যবস্থা না নেয় তাহলে অন্যায়কারীরা পার পেয়ে যায়।

মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, পরিবারের অভিযোগ থাকলে তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যায়। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে পুলিশ নিয়মিত দায়িত্ব পালন করছে। কিন্তু বেপরোয়া চালকেরা গতিবিধি না মানার কারণে অধিকাংশ দুর্ঘটনা ঘটছে।

সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণগুলো হলো : ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা, তরুণ ও যুবকদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা।

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনাগুলো মূলত ঘটে বেপরোয়া গতি, ওভারটেকিংয়ের চেষ্টা, বারবার লেন পরিবর্তন, ট্রাফিক আইন না মানা ও চলন্ত অবস্থায় মুঠোফোনে কথা বলার কারণে। হেলমেট ব্যবহার না করার কারণে দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বাড়ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

মতলব উত্তরে দেড় মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ১০ জনের প্রাণহানি

Update Time : ০৭:০০:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৩

আল-আমিন ভূঁইয়া,মতলব প্রতিনিধি:

গত ২৫ নভেম্বর ২০২২ থেকে ৬ জানুয়ারি ২০২৩ পর্যন্ত মতলব উত্তর উপজেলার বিভিন্ন সড়কে ১০ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে একজন শিশু ও একজন স্কুলছাত্রী রয়েছে। এ উপজেলায় দিন দিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে অপ্রাপ্তবয়স্ক বেপরোয়া মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, ট্রাক্টর ও ট্রলিগাড়ি চালকদের দৌরাত্ম্য। সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা মোটরসাইকেলে। যার ফলে একের পর এক ঘটছে দুর্ঘটনা। সড়কে মৃত্যু থামছে না। এ উপজেলার সড়ক দুর্ঘটনা রোধ ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে অবরোধ ও মানববন্ধন করা হয়েছে। কিন্তু কিছুতেই সড়ক দুর্ঘটনা রোধ হচ্ছে না। দিন দিন তা বেড়েই চলেছে।

২৫ নভেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে মতলব উত্তর উপজেলার ভাটি রসুলপুর নামক স্থানে মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেল আরোহী ২ যুবক নিহত হন। নিহতরা সুলতানাবাদ ইউনিয়নের টরকী গ্রামের মহসিন বেপারীর ছেলে সালাউদ্দিন (২২) ও রুস্তম বেপারীর ছোট ছেলে মহাম্মদ (২১)।

২৬ নভেম্বর বাগানবাড়ি ইউনিয়নের হাফানিয়া বেড়িবাঁধের ওপর ট্রলিগাড়ি আর মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই ৩ জন নিহত হন ও তানভীর নামে একজন গুরুতর আহত হন। আহত তানভীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় ২ ডিসেম্বর সকাল নয়টা চল্লিশ মিনিটে মৃত্যুবরণ করেন। এ সংঘর্ষের ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন : চান্দ্রাকান্দি গ্রামের আবিদ আলীর ছেলে মোঃ সেলিম মিয়া (৩০), খাগুরিয়া গ্রামের আঃ রশিদ মিয়াজীর ছেলে শান্ত (২৫), সরজান বকাউলের ছেলে মোঃ রাশেদ (২২) ও ঘটনার ৬ দিন পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা মোঃ নাছির উদ্দীন বেপারীর ছেলে তানভীর।

৫ ডিসেম্বর সোমবার সকাল সাড়ে ৬টায় প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার পথে মতলব উত্তরে লেগুনা গাড়ি থেকে ছিটকে পড়ে দশম শ্রেণির ছাত্রী মুক্তা আক্তার নিহত হয়। মুক্তা আক্তার শরীফ উল্লাহ স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিলো। সকালে লালপুর গ্রামের মিজান স্যারের বাড়িতে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় লালপুর বেড়িবাঁধে লেগুনা গাড়ি থেকে নামার সময় মুক্তা আক্তার ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত মুক্তা আক্তার ষাটনল ইউনিয়নের রঙ্গুখারকান্দির আয়েত আলীর মেয়ে।

১৮ ডিসেম্বর দুপুর ১টায় উপজেলার ফরাজিকান্দি ইউনিয়নের চরমাছুয়ায় মোটরসাইকেল-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী মোঃ মমিন (২০) নিহত হন। মমিন উপজেলার চরকালিয়া তফাদার পাড়ার মোঃ সুজন মিয়ার ছেলে।

২৮ ডিসেম্বর বুধবার মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত আক্তার হোসেন প্রধান ২৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় বাংলাদেশ স্পেশালাইজ্ড হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। বুধবার দুপুর সোয়া ১টায় মোটরসাইকেলের যাত্রী হিসেবে চলার সময় মেঘনা-ধনাগোদা বেড়িবাঁধের সটাকি অংশে পেছনের চাকা পাংচার হওয়ায় মারাত্মকভাবে আহত হয়ে বাংলাদেশ স্পেশালাইজ্ড হাসপাতালের ভর্তি করা হয় তাকে। চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় বৃহস্পতিবার তিনি মারা যান। তিনি ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের আমিনপুর গ্রামের মোঃ খোকন মেম্বারের ছোট ভাই।

৬ জানুয়ারি শুক্রবার দুপুরে উপজেলার হানিরপাড় গ্রামের ফকির বাড়ির মসজিদের কাছে সিমেন্ট বহনকারী অবৈধ ট্রলিগাড়ির ধাক্কায় আট বছর বয়সী শিশুশিক্ষার্থী রাকিব নিহত হয়। শিশুটি জুমার নামাজ আদায়ের জন্যে রাস্তার পাশ দিয়ে মসজিদে যাচ্ছিলো। হঠাৎ বিপরীত দিক থেকে বেপরোয়া গতিতে ছুটে আসা ট্রলি গাড়ির ধাক্কায় শিশুটি মাথায় ও হাতে আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়দের সহায়তায় আহত রাকিবের পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে শিশুটিকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। রাকিব উপজেলার হানিরপাড় গ্রামের ইটভাটা শ্রমিক নাজির ঢালীর ছেলে। সে হানিরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র।

স্থানীয়রা মনে করছেন, লাইসেন্সবিহীন চালকরা বেপয়ারা ট্রলি গাড়ি ও মোটরসাইকেল চালানোর কারণে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে। উভয়পক্ষের কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহকে দাফনের অনুমতি দেয়া হয়। মামলা না হওয়ায় দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার ঘটনাটি ধামাচাপা পড়ে যায়। ঘটনা ঘটনাই থাকে, অন্যায় অন্যায়ই থেকে যায়, কে দোষী, কে নির্দোষ এগুলো আর শনাক্ত করা যায় না। এ সমস্ত দুর্ঘটনার ব্যাপারে দোষী ব্যক্তিদের শনাক্ত না করা হলে এমনিভাবেই অনেক মায়ের বুক খালি হতে থাকবে। আইনশৃঙ্খলা ও পুলিশ বাহিনী যদি কোনো ব্যবস্থা না নেয় তাহলে অন্যায়কারীরা পার পেয়ে যায়।

মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, পরিবারের অভিযোগ থাকলে তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যায়। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে পুলিশ নিয়মিত দায়িত্ব পালন করছে। কিন্তু বেপরোয়া চালকেরা গতিবিধি না মানার কারণে অধিকাংশ দুর্ঘটনা ঘটছে।

সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণগুলো হলো : ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা, তরুণ ও যুবকদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা।

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনাগুলো মূলত ঘটে বেপরোয়া গতি, ওভারটেকিংয়ের চেষ্টা, বারবার লেন পরিবর্তন, ট্রাফিক আইন না মানা ও চলন্ত অবস্থায় মুঠোফোনে কথা বলার কারণে। হেলমেট ব্যবহার না করার কারণে দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বাড়ছে।