মজিবর স্যারের মতো শিক্ষক কালেভদ্রে আসে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০১:৪০:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর ২০২২
  • / ৩০২ Time View

ভালো কাজ করলে তার রিটার্ন কিছুটা হলেও দুনিয়ায় থাকতেই ফেরত পাওয়া যায়।

নাহলে ২০১২ সালে অবসরে যাওয়া একজন সাবেক শিক্ষকের ২০২২ সালে হওয়া ফেয়ারওয়েল ( যেহেতু সেই সময়ে হয়নি) অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের যে ঢল নেমেছিল, সেটা সত্যিই উপস্থিত সকলের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

কারা ছিল না সেই অনুষ্ঠানে? মজিবর স্যার ১৯৮০ সালে স্কুলে যোগদান করার সময় যে শিক্ষার্থী ক্লাস সিক্সে বা নাইনে পড়ত, তারা সবাই এসেছিল প্রিয় শিক্ষককে একনজর দেখতে, পা ছুঁয়ে সালাম করতে, একটু দোআ নিতে, কিছু গল্প করতে।

দেশের প্রায় প্রতিটি জেলায় ছড়িয়ে রয়েছে স্যারের ছাত্ররা। একজন শিক্ষক, যে কিনা ত্রিশ/চল্লিশ বছর আগে যাদের পড়িয়েছেন, যারা জীবন ও জীবিকার তাগিদে দেশের বিভিন্ন জেলায় অবস্থান করছেন, তারা এসেছিল স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে। খোলা মঞ্চে দাঁড়িয়ে তারা প্রিয় স্যারের প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করেছেন, যারা শিক্ষাগুরুর আদর্শকে নিজেদের মধ্যে ধারণ করে জীবনের এত দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে চলছেন।

মজিবর স্যারের মতো শিক্ষক কালেভদ্রে আসে, যারা দেশকে অগাধ ভালোবাসেন, দেশের প্রতি টান প্রতিটা নিঃশ্বাসে অনুভব করেন। আর দেশের প্রতি অগাধ ভালোবাসার কারণে নিজের কাজকে হৃদয়ে ধারণ করে থাকেন। যে কারণে প্রতিটি ছাত্র মজিবর স্যারের মতো শিক্ষকদের কাছে হয়ে যায় এক একটি সন্তান। কোনো প্রতিদান পাবার আশায় নয়, ছাত্রদের নৈতিক আদর্শ সম্পন্ন প্রকৃত মানুষ করে গড়ে তোলার মাঝেই তারা অন্তরে প্রশান্তি অনুভব করেন।

লেখকঃ রিয়াজুল হক, যুগ্ম পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

মজিবর স্যারের মতো শিক্ষক কালেভদ্রে আসে

Update Time : ০১:৪০:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর ২০২২

ভালো কাজ করলে তার রিটার্ন কিছুটা হলেও দুনিয়ায় থাকতেই ফেরত পাওয়া যায়।

নাহলে ২০১২ সালে অবসরে যাওয়া একজন সাবেক শিক্ষকের ২০২২ সালে হওয়া ফেয়ারওয়েল ( যেহেতু সেই সময়ে হয়নি) অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের যে ঢল নেমেছিল, সেটা সত্যিই উপস্থিত সকলের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

কারা ছিল না সেই অনুষ্ঠানে? মজিবর স্যার ১৯৮০ সালে স্কুলে যোগদান করার সময় যে শিক্ষার্থী ক্লাস সিক্সে বা নাইনে পড়ত, তারা সবাই এসেছিল প্রিয় শিক্ষককে একনজর দেখতে, পা ছুঁয়ে সালাম করতে, একটু দোআ নিতে, কিছু গল্প করতে।

দেশের প্রায় প্রতিটি জেলায় ছড়িয়ে রয়েছে স্যারের ছাত্ররা। একজন শিক্ষক, যে কিনা ত্রিশ/চল্লিশ বছর আগে যাদের পড়িয়েছেন, যারা জীবন ও জীবিকার তাগিদে দেশের বিভিন্ন জেলায় অবস্থান করছেন, তারা এসেছিল স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে। খোলা মঞ্চে দাঁড়িয়ে তারা প্রিয় স্যারের প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করেছেন, যারা শিক্ষাগুরুর আদর্শকে নিজেদের মধ্যে ধারণ করে জীবনের এত দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে চলছেন।

মজিবর স্যারের মতো শিক্ষক কালেভদ্রে আসে, যারা দেশকে অগাধ ভালোবাসেন, দেশের প্রতি টান প্রতিটা নিঃশ্বাসে অনুভব করেন। আর দেশের প্রতি অগাধ ভালোবাসার কারণে নিজের কাজকে হৃদয়ে ধারণ করে থাকেন। যে কারণে প্রতিটি ছাত্র মজিবর স্যারের মতো শিক্ষকদের কাছে হয়ে যায় এক একটি সন্তান। কোনো প্রতিদান পাবার আশায় নয়, ছাত্রদের নৈতিক আদর্শ সম্পন্ন প্রকৃত মানুষ করে গড়ে তোলার মাঝেই তারা অন্তরে প্রশান্তি অনুভব করেন।

লেখকঃ রিয়াজুল হক, যুগ্ম পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক।