ভ্যাকসিন ছাড়া করোনা নির্মূল করা কঠিন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৫:০৯:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ১২৫ Time View

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা ছাড়া এই করোনাভাইরাস দেশ থেকে একেবারে নির্মূল করা দুরূহ কাজ। আগের ইতিহাসও একই কথা বলে। ভ্যাকসিন প্রয়োগের ফলেই এর আগে পৃথিবী থেকে পোলিও, প্লেগসহ অন্যান্য মহামারি বিদায় নিয়েছে।

মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর র‌্যাডিসন হোটেলে  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও অ্যাসেন্ড বাংলাদেশ আয়োজিত ‘বিশ্ব এনটিডি দিবস উদযাপন’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভ্যাকসিন প্রয়োগের বিষয়ে দেশে এখন কিছু মানুষ বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এই বিভ্রান্তির ফলে শুরুতে মানুষের মনে ভয়ের শঙ্কা থাকলেও এখন ধীরে ধীরে তা কেটে যাচ্ছে। কারণ, প্রথম ২ দিন ভ্যাকসিন প্রয়োগের ফলে দেখা যাচ্ছে, ভ্যাকসিন গ্রহণকারী কারও শরীরে এখনও  তেমন কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। সরকার আগে থেকেই বলেছে, এই ভ্যাকসিন নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত। তবে ব্যাপক মানুষের শরীরে প্রয়োগের পর দুই-একজনের দেহে সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যেতেও পারে। কারণ, পৃথিবীর সকল ভ্যাকসিনেরই এ রকম স্বল্পমাত্রায় মৃদু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।  কোনোভাবেই ভ্যাকসিন গ্রহণ করা থেকে মানুষকে বিরত থাকতে উৎসাহ দেওয়া যাবে না। এতে করোনাভাইরাস থেকে দেশকে মুক্ত করতে আরও বেশি সময় লাগবে।’

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান বলেন, ‘ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশে একযোগে করোনাভ্যাকসিন দেওয়া হবে। সরকারের টাকায় কেনা একটি ভ্যাকসিনও যেন অপচয় বা নষ্ট না হয়, সে ব্যাপারে কঠোর নজরদারি রাখা হচ্ছে।’

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, ‘এই করোনা মহামারিতেও এনটিডি রোধে সরকার যে ভূমিকা রেখে চলেছে, এতে আগামী ২০২৩ সালের মধ্যেই অন্তত ২টি এনটিডি রোগকে দেশ থেকে নির্মূল করা সম্ভব হবে।’

রোগ নিয়ন্ত্রণ ও সংক্রামণ রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার লাইন ডাইরেক্টর অধ্যাপক ডা. নাজমূল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন— বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাচিপ সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সেনাল, স্বাচিপ-এর মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি বারদান জং রানাসহ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এনসিডিসি’র লাইন ডাইরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমিন।

 

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

ভ্যাকসিন ছাড়া করোনা নির্মূল করা কঠিন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

Update Time : ০৫:০৯:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২১

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা ছাড়া এই করোনাভাইরাস দেশ থেকে একেবারে নির্মূল করা দুরূহ কাজ। আগের ইতিহাসও একই কথা বলে। ভ্যাকসিন প্রয়োগের ফলেই এর আগে পৃথিবী থেকে পোলিও, প্লেগসহ অন্যান্য মহামারি বিদায় নিয়েছে।

মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর র‌্যাডিসন হোটেলে  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও অ্যাসেন্ড বাংলাদেশ আয়োজিত ‘বিশ্ব এনটিডি দিবস উদযাপন’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভ্যাকসিন প্রয়োগের বিষয়ে দেশে এখন কিছু মানুষ বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এই বিভ্রান্তির ফলে শুরুতে মানুষের মনে ভয়ের শঙ্কা থাকলেও এখন ধীরে ধীরে তা কেটে যাচ্ছে। কারণ, প্রথম ২ দিন ভ্যাকসিন প্রয়োগের ফলে দেখা যাচ্ছে, ভ্যাকসিন গ্রহণকারী কারও শরীরে এখনও  তেমন কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। সরকার আগে থেকেই বলেছে, এই ভ্যাকসিন নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত। তবে ব্যাপক মানুষের শরীরে প্রয়োগের পর দুই-একজনের দেহে সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যেতেও পারে। কারণ, পৃথিবীর সকল ভ্যাকসিনেরই এ রকম স্বল্পমাত্রায় মৃদু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।  কোনোভাবেই ভ্যাকসিন গ্রহণ করা থেকে মানুষকে বিরত থাকতে উৎসাহ দেওয়া যাবে না। এতে করোনাভাইরাস থেকে দেশকে মুক্ত করতে আরও বেশি সময় লাগবে।’

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান বলেন, ‘ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশে একযোগে করোনাভ্যাকসিন দেওয়া হবে। সরকারের টাকায় কেনা একটি ভ্যাকসিনও যেন অপচয় বা নষ্ট না হয়, সে ব্যাপারে কঠোর নজরদারি রাখা হচ্ছে।’

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, ‘এই করোনা মহামারিতেও এনটিডি রোধে সরকার যে ভূমিকা রেখে চলেছে, এতে আগামী ২০২৩ সালের মধ্যেই অন্তত ২টি এনটিডি রোগকে দেশ থেকে নির্মূল করা সম্ভব হবে।’

রোগ নিয়ন্ত্রণ ও সংক্রামণ রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার লাইন ডাইরেক্টর অধ্যাপক ডা. নাজমূল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন— বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাচিপ সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সেনাল, স্বাচিপ-এর মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি বারদান জং রানাসহ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এনসিডিসি’র লাইন ডাইরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমিন।