বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১০:৫২:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২২
  • / ১৯৮ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস আজ (১৭ এপ্রিল)। ১৯৮৯ সাল থেকে প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।

দিবসটি উপলক্ষে শনিবার (১৬ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) শহীদ ডা. মিল্টন হলে হেমাটোলজি বিভাগের আয়োজনে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। পরে এ উপলক্ষে র্যালিও করেন বিএসএমএমইউয়ের ডাক্তার, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

সেমিনারে বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে এ পর্যন্ত দুই হাজার দুইশ’র বেশি হিমোফিলিয়া রোগী নিবন্ধিত হয়েছে। আরও ১৪ হাজারের মতো রোগী নিবন্ধনের বাইরে রয়েছে। এসব রোগীদের আগামী এক বছরের মধ্যে নিবন্ধিত করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিবে বিএসএমএমইউয়ের হেমাটোলোজি বিভাগ।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ব হিমোফিলিয়া ফেডারেশনের বার্ষিক সার্ভে ২০২০ এর মতে বিশ্বে প্রতি লাখ নবজাতক পুরুষ শিশুর মধ্যে ২৪ দশমিক ৬ জন হিমোফিলিয়া এ ও পাঁচজন হিমোফিলিয়া বি রোগে আক্রান্ত। যার মধ্যে ৯ দশমিক ৫ জন হিমোফিলিয়া এ ও এক দশমিক ৫ জন হিমোফিলিয়া বি রোগে আক্রান্ত।

হিমোফিলিয়া রক্তক্ষরণজনিত একটি বংশানুক্রমিক জিনগত রোগ। জন্মগতভাবে রক্তে জমাট বাঁধার উপাদান বা ফ্যাক্টরের স্বল্পতার কারণে এ রোগটি হয়ে থাকে। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত তঞ্চনে সমস্যা হয়। তাই রোগীর রক্তনালী একবার কেটে গেলে রক্তপাত আর বন্ধ হয় না। সাধারণত পুরুষরা এই রোগে আক্রান্ত হয়। তবে নারীরা এই রোগের বাহক।

ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের রাণী ভিক্টোরিয়া হিমোফিলিয়ার বাহক ছিলেন। পরবর্তীতে তার বংশের অনেকেই এই রোগে আক্রান্ত হয়। তাই এ রোগকে রাজকীয় রোগ বলা হয়।

মাঝে মাঝে নাক বা দাঁত দিয়ে রক্ত বের পড়া, দাঁতের অপারেশনের পর প্রচুর রক্তপাত ও প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যাওয়া- এগুলো হিমোফিলিয়া রোগের লক্ষণ। বিশ্বে এখন পর্যন্ত দুই ধরনের হিমোফিলিয়া শনাক্ত হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রক্তে ফ্যাক্টর-৮ এর অভাবে হিমোফিলিয়া-এ এবং ফ্যাক্টর-৯ এর অভাবে হিমোফিলিয়া-বি ধরনে আক্রান্ত হয় মানুষ।

Please Share This Post in Your Social Media

বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস আজ

Update Time : ১০:৫২:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস আজ (১৭ এপ্রিল)। ১৯৮৯ সাল থেকে প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।

দিবসটি উপলক্ষে শনিবার (১৬ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) শহীদ ডা. মিল্টন হলে হেমাটোলজি বিভাগের আয়োজনে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। পরে এ উপলক্ষে র্যালিও করেন বিএসএমএমইউয়ের ডাক্তার, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

সেমিনারে বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে এ পর্যন্ত দুই হাজার দুইশ’র বেশি হিমোফিলিয়া রোগী নিবন্ধিত হয়েছে। আরও ১৪ হাজারের মতো রোগী নিবন্ধনের বাইরে রয়েছে। এসব রোগীদের আগামী এক বছরের মধ্যে নিবন্ধিত করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিবে বিএসএমএমইউয়ের হেমাটোলোজি বিভাগ।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ব হিমোফিলিয়া ফেডারেশনের বার্ষিক সার্ভে ২০২০ এর মতে বিশ্বে প্রতি লাখ নবজাতক পুরুষ শিশুর মধ্যে ২৪ দশমিক ৬ জন হিমোফিলিয়া এ ও পাঁচজন হিমোফিলিয়া বি রোগে আক্রান্ত। যার মধ্যে ৯ দশমিক ৫ জন হিমোফিলিয়া এ ও এক দশমিক ৫ জন হিমোফিলিয়া বি রোগে আক্রান্ত।

হিমোফিলিয়া রক্তক্ষরণজনিত একটি বংশানুক্রমিক জিনগত রোগ। জন্মগতভাবে রক্তে জমাট বাঁধার উপাদান বা ফ্যাক্টরের স্বল্পতার কারণে এ রোগটি হয়ে থাকে। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত তঞ্চনে সমস্যা হয়। তাই রোগীর রক্তনালী একবার কেটে গেলে রক্তপাত আর বন্ধ হয় না। সাধারণত পুরুষরা এই রোগে আক্রান্ত হয়। তবে নারীরা এই রোগের বাহক।

ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের রাণী ভিক্টোরিয়া হিমোফিলিয়ার বাহক ছিলেন। পরবর্তীতে তার বংশের অনেকেই এই রোগে আক্রান্ত হয়। তাই এ রোগকে রাজকীয় রোগ বলা হয়।

মাঝে মাঝে নাক বা দাঁত দিয়ে রক্ত বের পড়া, দাঁতের অপারেশনের পর প্রচুর রক্তপাত ও প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যাওয়া- এগুলো হিমোফিলিয়া রোগের লক্ষণ। বিশ্বে এখন পর্যন্ত দুই ধরনের হিমোফিলিয়া শনাক্ত হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রক্তে ফ্যাক্টর-৮ এর অভাবে হিমোফিলিয়া-এ এবং ফ্যাক্টর-৯ এর অভাবে হিমোফিলিয়া-বি ধরনে আক্রান্ত হয় মানুষ।