বিশ্বজুড়ে খাদ্য সংকটের সতর্কতা জাতিসংঘের

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৯:৩১:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ মে ২০২২
  • / ১৩৫ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের কারণে আগামী কয়েক মাসে বিশ্বজুড়ে খাদ্য ঘাটতি তৈরি হতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস বলেছেন, এই যুদ্ধে মূল্য বৃদ্ধির কারণে দরিদ্র দেশগুলোতে খাদ্য নিরাপত্তা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ইউক্রেন যদি যুদ্ধ শুরুর আগের মাত্রায় রফতানি শুরু করতে না পারে তাহলে বিশ্বে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে আর সেই দুর্ভিক্ষ কয়েক বছর চলতে পারে।

এই যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনের বন্দর থেকে রফতানি বন্ধ হয়ে গেছে। এসব বন্দর থেকে এক সময়ে বিপুল পরিমাণ সূর্যমূখী তেল, ভুট্টা এবং গমের মতো খাদ্য শস্য রফতানি হয়েছে। সেটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বৈশ্বিক সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে এবং এর বিকল্পগুলোর দাম বেড়ে গেছে।

জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এই বছর বিশ্বে খাদ্যের দাম ৩০ শতাংশ বেড়েছে।

বুধবার নিউ ইয়র্কে অ্যান্তনিও গুতেরেস বলেন এই সংঘাত লাখ লাখ মানুষকে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার কিনারায় নিয়ে গেছে, এর জেরে অপুষ্টি, গণ ক্ষুধা এবং দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, আমরা যদি যৌথভাবে এগিয়ে আসি তাহলে পৃথিবীতে যথেষ্ট খাবার আছে। কিন্তু এই সমস্যা যদি আজই সমাধান না করি, তাহলে আমরা সামনের মাসগুলোতে বিশ্বব্যাপী খাদ্য ঘাটতির মুখোমুখি হবো।’

তিনি সতর্ক করে বলেন, ইউক্রেনের খাদ্য উৎপাদন রাশিয়া ও বেলারুশের সার উৎপাদন আবার শুরু করা ছাড়া খাদ্য সংকটের আর কোনও কার্যকর সমাধান নেই।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

বিশ্বজুড়ে খাদ্য সংকটের সতর্কতা জাতিসংঘের

Update Time : ০৯:৩১:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ মে ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের কারণে আগামী কয়েক মাসে বিশ্বজুড়ে খাদ্য ঘাটতি তৈরি হতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস বলেছেন, এই যুদ্ধে মূল্য বৃদ্ধির কারণে দরিদ্র দেশগুলোতে খাদ্য নিরাপত্তা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ইউক্রেন যদি যুদ্ধ শুরুর আগের মাত্রায় রফতানি শুরু করতে না পারে তাহলে বিশ্বে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে আর সেই দুর্ভিক্ষ কয়েক বছর চলতে পারে।

এই যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনের বন্দর থেকে রফতানি বন্ধ হয়ে গেছে। এসব বন্দর থেকে এক সময়ে বিপুল পরিমাণ সূর্যমূখী তেল, ভুট্টা এবং গমের মতো খাদ্য শস্য রফতানি হয়েছে। সেটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বৈশ্বিক সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে এবং এর বিকল্পগুলোর দাম বেড়ে গেছে।

জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এই বছর বিশ্বে খাদ্যের দাম ৩০ শতাংশ বেড়েছে।

বুধবার নিউ ইয়র্কে অ্যান্তনিও গুতেরেস বলেন এই সংঘাত লাখ লাখ মানুষকে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার কিনারায় নিয়ে গেছে, এর জেরে অপুষ্টি, গণ ক্ষুধা এবং দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, আমরা যদি যৌথভাবে এগিয়ে আসি তাহলে পৃথিবীতে যথেষ্ট খাবার আছে। কিন্তু এই সমস্যা যদি আজই সমাধান না করি, তাহলে আমরা সামনের মাসগুলোতে বিশ্বব্যাপী খাদ্য ঘাটতির মুখোমুখি হবো।’

তিনি সতর্ক করে বলেন, ইউক্রেনের খাদ্য উৎপাদন রাশিয়া ও বেলারুশের সার উৎপাদন আবার শুরু করা ছাড়া খাদ্য সংকটের আর কোনও কার্যকর সমাধান নেই।