বিরোধীরাও যদি সহিংসতা করে মার্কিন ভিসা পাবে না: ডোনাল্ড লু

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৩:২১:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩
  • / ৯৬ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি নিয়ে ঢাকার একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে বৃহস্পতিবার (২৫ মে) কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু।

তিনি টকশোয় স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে কোনো দল বা প্রার্থীর সমর্থন করছে না। দেশটি একমাত্র সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকাকেই সমর্থন করবে।

ডোনাল্ড লু আরও নিশ্চিত করেছেন, এই নতুন ভিসা নীতিতে সরকার বা সরকারি সংস্থাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি। যে বা যারা সরকারি লোক হতে পারে বা বিরোধী পক্ষের লোক হতে পারে, যারাই ভোট কারচুপি, সংঘাত ও বাকস্বাধীনতার প্রতি হস্তক্ষেপ করবে, তারাই এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন। ডোনাল্ড লু পরিবারের সদস্য বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে, তা-ও স্পষ্ট করেছেন। ব্যক্তি, তার সহধর্মিণী ও সন্তানদের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হবে।

ভিসা বিধিনিষেধের তালিকায় যুক্ত হতে পারেন সরকারি দলের লোক, বিচার বিভাগের লোক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, এমনকি বিরোধী দলের নেতাও। যুক্তরাষ্ট্র সরকার এ নীতি প্রয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার পরিচয় দেবে বলেও জানিয়েছেন লু।

একই সঙ্গে সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ভোট বিশৃঙ্খলায় যুক্ত ব্যক্তি ও তার পরিবারের সদস্যের যদি যুক্তরাষ্ট্রের ভিসাও থাকে, তা বাতিল করা হবে। সে ক্ষেত্রে যার বা যাদের ভিসা বাতিল হবে, সঙ্গে সঙ্গেই তা জানিয়ে দেওয়া হবে।

ডোনাল্ড লু বলেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র। তাই নতুন ভিসানীতির মাধ্যমে দেশটির সরকার, সুশীলসমাজ, অন্য সংশ্লিষ্টদের সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সহায়তা করাই যুক্তরাষ্ট্রের মূল লক্ষ্য। তবে এখন পর্যন্ত কারও ওপর এ ভিসানীতি প্রয়োগ করা হয়নি। এ ছাড়া তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, এ সিদ্ধান্ত মোটেও কোনো নিষেধাজ্ঞা নয়।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ঘোষিত নতুন ভিসানীতি নিয়ে বাংলাদেশ সরকার মোটেও বিচলিত নয় বলে বুধবারই জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

তিনি বলেছিলেন, মার্কিন সরকার ঘোষিত নতুন ভিসানীতি বাংলাদেশ সরকারকে মোটেও বিচলিত করছে না, কারণ সরকার জনগণকে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও বলেছিলেন, ‘এটি কোনো ধরনের স্যাংশন নয়। এ ব্যাপারে বরং বিএনপির উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত। নির্বাচনের আগে বা পরে যেকোনো প্রকার সহিংসতা ঘটালে সেটা বরং তাদের ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।’

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

বিরোধীরাও যদি সহিংসতা করে মার্কিন ভিসা পাবে না: ডোনাল্ড লু

Update Time : ০৩:২১:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি নিয়ে ঢাকার একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে বৃহস্পতিবার (২৫ মে) কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু।

তিনি টকশোয় স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে কোনো দল বা প্রার্থীর সমর্থন করছে না। দেশটি একমাত্র সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকাকেই সমর্থন করবে।

ডোনাল্ড লু আরও নিশ্চিত করেছেন, এই নতুন ভিসা নীতিতে সরকার বা সরকারি সংস্থাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি। যে বা যারা সরকারি লোক হতে পারে বা বিরোধী পক্ষের লোক হতে পারে, যারাই ভোট কারচুপি, সংঘাত ও বাকস্বাধীনতার প্রতি হস্তক্ষেপ করবে, তারাই এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন। ডোনাল্ড লু পরিবারের সদস্য বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে, তা-ও স্পষ্ট করেছেন। ব্যক্তি, তার সহধর্মিণী ও সন্তানদের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হবে।

ভিসা বিধিনিষেধের তালিকায় যুক্ত হতে পারেন সরকারি দলের লোক, বিচার বিভাগের লোক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, এমনকি বিরোধী দলের নেতাও। যুক্তরাষ্ট্র সরকার এ নীতি প্রয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার পরিচয় দেবে বলেও জানিয়েছেন লু।

একই সঙ্গে সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ভোট বিশৃঙ্খলায় যুক্ত ব্যক্তি ও তার পরিবারের সদস্যের যদি যুক্তরাষ্ট্রের ভিসাও থাকে, তা বাতিল করা হবে। সে ক্ষেত্রে যার বা যাদের ভিসা বাতিল হবে, সঙ্গে সঙ্গেই তা জানিয়ে দেওয়া হবে।

ডোনাল্ড লু বলেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র। তাই নতুন ভিসানীতির মাধ্যমে দেশটির সরকার, সুশীলসমাজ, অন্য সংশ্লিষ্টদের সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সহায়তা করাই যুক্তরাষ্ট্রের মূল লক্ষ্য। তবে এখন পর্যন্ত কারও ওপর এ ভিসানীতি প্রয়োগ করা হয়নি। এ ছাড়া তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, এ সিদ্ধান্ত মোটেও কোনো নিষেধাজ্ঞা নয়।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ঘোষিত নতুন ভিসানীতি নিয়ে বাংলাদেশ সরকার মোটেও বিচলিত নয় বলে বুধবারই জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

তিনি বলেছিলেন, মার্কিন সরকার ঘোষিত নতুন ভিসানীতি বাংলাদেশ সরকারকে মোটেও বিচলিত করছে না, কারণ সরকার জনগণকে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও বলেছিলেন, ‘এটি কোনো ধরনের স্যাংশন নয়। এ ব্যাপারে বরং বিএনপির উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত। নির্বাচনের আগে বা পরে যেকোনো প্রকার সহিংসতা ঘটালে সেটা বরং তাদের ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।’