বিজয়ের মাসে তারুণ্যের ভাবনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৫:২০:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ২৪৭ Time View
চলছে মহান বিজয়ের মাস। পুরো বাঙালি জাতির জন্য গর্বের মাস । নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্যদিয়ে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন দেশে লাল-সবুজের পতাকা উদিত হয়েছে। ১৯৫২ ভাষা আন্দোলন, ৬৯’র গণ আন্দোলন,  ৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ  থেকে শুরু করে দেশ ও জাতির সংকটে তারুণ্যের ভূমিকা সবসময়ই ছিল প্রশংসনীয়।  বিজয়ের ৪৯ তম বর্ষে কি ভাবছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা? তা নিয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থীদের ভাবনা তুলে ধরলেন – মোঃ আনিসুল ইসলাম 
.
রাজনীতি ও শিক্ষায় চাই যুগান্তকারী পদক্ষেপ:
.
পৃথিবীর মানচিত্রে ‘বাংলাদেশ’ নামক যে ভূখন্ড স্বাধীন দেশের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে সে স্বাধীনতার মহান নায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্ন দেখতেন একটি সোনার বাংলার। যে বাংলা হবে- দুর্নীতি ও রাজহানী মুক্ত, সুশাসনের কায়েম এবং বেকারত্ব ও দারিদ্র্য মুক্ত। স্বাধীন ও সভ্য সমাজের তালিকায় বাংলাদেশ স্থান করে নিলেও এখন এসব সমস্যা দেশে প্রকট। স্বাধীনতার ৪৯ বছরে পদার্পণের লক্ষ্যে দেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমারও প্রত্যাশা একটি দুর্নীতি ও রাজহানী মুক্ত দেশের, একটি সুস্থ ধারার রাজনীতি ও সুশাসনের কায়েম এবং বেকারত্ব ও দারিদ্র্য মুক্ত দেশের। আর এসব সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে অবশ্যই রাজনীতি ও শিক্ষাক্ষেত্রে আনতে হবে যুগান্তকারী পদক্ষেপ। সুস্থ ধারার রাজনীতির বিকাশে আগামীর কর্ণধার তরুণ প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ। যার মাধ্যমে রাজহানী ও দুর্নীতি রুখে স্বমহিমায় এগিয়ে যাবে দেশ, অপরদিকে শিক্ষাক্ষেত্রে বাস্তব ও কর্মমুখী শিক্ষার প্রয়োগে দেশ থাকবে বেকারত্ব ও দারিদ্র্য মুক্ত।
.
মোহম্মদ শাহিন
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
.
বিশ্বের মানচিত্রে একটি আর্দশ দেশরুপে দেখতে চাই:
.
গুটি গুটি পায়ে বাংলাদেশ পেরিয়ে গেছে স্বাধীনতার ৪৯ বছর।স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর লগ্নেও আমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ অধরাই রয়ে গেলো। সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা আর অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি প্রিয় বাংলাদেশে। প্রকৃতিকে কাজে লাগিয়ে আর সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার এবং সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা ও নীতি গ্রহণ করে বঙ্গবন্ধু তথা আমাদের সকলের সোনার বাংলা গড়ে তোলাই আমাদের এই বিজয় দিবসের অঙ্গীকার। কারন যে আশা, আকাঙ্ক্ষা, স্বপ্ন আর চেতনা নিয়ে বাংলার মানুষ একাত্তরে জীবন দিয়েছিলো স্বাধীনতার ৪৯ বছর পরেও তা বাস্তবায়ন হয় নি। সোনার বাঙ্গলায় নারীরা আজ নিরাপদ নয়। আমাদের দামাল ছেলেরা চেয়েছিলো এমন একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশ যার সর্বত্র আইনের শাসন থাকবে, অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা আসবে, স্বাস্থ্যসেবা বৃদ্ধি পাবে, শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি হবে এবং মানুষের আর্থ সামাজিক অব্স্থার পরিবর্তন হবে। একাত্তরের আত্নোৎসর্গকারীদের সাথে একাত্ম হয়ে আমরাও একটা স্বনির্ভর সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখি। সর্বোপরি এই বিজয় দিবসে ৫৬ হাজার বর্গমাইলের বাংলাদেশকে ভবিষ্যতে বিশ্বের মানচিত্রে একটি আদর্শ দেশরূপে দেখতে চাই।
.
মারিয়া অনি,
শির্ক্ষাথী,জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
.
তরুণদের কর্মসংস্থানের সুযোগ চাই:
.
ঊনিশো একাত্তর থেকে দুহাজার বিশ। আমরা একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছি প্রায় অর্ধশত বছর হলো। বাংলাদেশ তার শৈশব, কৈশোর পেরিয়ে আজ একটা অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে।
তরুণরাই জাতির ভবিষ্যৎ কর্ণধার। আমরা চাই সরকার আমাদের তরুণদের স্কিল ডেভেলপিং-এ আরো বেশি মনযোগ  এবং তরুণ প্রজন্মকে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিক। শিক্ষা ও নিরাপত্তা খাতে সরকার বরাদ্দ বাড়ানো উচিত। তাছাড়া ব্যাঙের ছাতার মতন বিশ্ববিদ্যালয় না বাড়িয়ে বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণার মান বাড়ানাে দরকার। সেই সাথে আমরা ধর্ষণ,নারী নির্যাতন ও দূ্র্নীতিবিহীন একটা নিরাপদ বাংলাদেশ চাই। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই যেখানে মানুষের বাক স্বাধীনতা থাকবে। মানুষ ন্যায়ের পক্ষে এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারবে। যেখানে মানুষ বুদ্ধির চাষ করবে এবং নৈতিকতা ও মূল্যবোধের জায়গায় ঠিক থেকে এই দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাবে।
.
শাহরিয়ার জামান সৈকত
শিক্ষার্থী, নোয়াখালি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
.
নারী নিরাপত্তা, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ চাই:
.
১৯৭১ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর বাঙালি জাতি অর্জন করেছিল তার শ্রেষ্ঠ বিজয়। ৩০ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে বাঙালি জাতি পেয়েছে লাল সবুজের পতকা।জাতি হিসেবে আমরা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি আমরা বাঙালিরা দুর্বল নয়। স্বাধীনতার ৪৯ তম বছর প্রাপ্তি – অপ্রাপ্তির খাতায় অনেক কিছু যোগ হয়েছে। বাংলাদেশে দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থাৎ, উন্নত দেশে বাংলাদেশ পরিণত হচ্ছে। তবে কিছু সমস্যা থেকেই গিয়েছে। যেসব সমস্যা হতে দ্রুত উত্তরণের পথ খুঁজতে হবে। স্বাধীনতার ৪৯ বছর পরও দূর হয় নি বেকার সমস্যা, আজও নারীরা রাস্তাঘাটে নিরাপদ নয়, দূর্নীতিমুক্ত নয় বাংলাদেশ,অরাজকতা,  সন্ত্রাসবাদ ইত্যাদি থেকে বাংলাদেশ মুক্তি নয়। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা হয়ে উঠতে পারি নি বাংলাদেশ। স্বাধীন দেশ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে তবে নাগরিকদের ব্যক্তি স্বাধীনতা নেই। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমি চাই, আমার দেশে প্রতিটি নারী থাকুক নিরাপদে, ধর্ম -বর্ণ নির্বিশেষে সবাই একই ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ থাকুক। বেকার সমস্যার অবসান হোক আর দেশে কোন সন্ত্রাসবাদ না থাকুক সবাই নিরাপদে, নির্ভয়ে স্বাধীন দেশে চলাফেরা করবে।
.
খন্দকার নাঈমা আক্তার নুন

শিক্ষার্থী, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। 

.
Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

বিজয়ের মাসে তারুণ্যের ভাবনা

Update Time : ০৫:২০:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২০
চলছে মহান বিজয়ের মাস। পুরো বাঙালি জাতির জন্য গর্বের মাস । নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্যদিয়ে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন দেশে লাল-সবুজের পতাকা উদিত হয়েছে। ১৯৫২ ভাষা আন্দোলন, ৬৯’র গণ আন্দোলন,  ৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ  থেকে শুরু করে দেশ ও জাতির সংকটে তারুণ্যের ভূমিকা সবসময়ই ছিল প্রশংসনীয়।  বিজয়ের ৪৯ তম বর্ষে কি ভাবছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা? তা নিয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থীদের ভাবনা তুলে ধরলেন – মোঃ আনিসুল ইসলাম 
.
রাজনীতি ও শিক্ষায় চাই যুগান্তকারী পদক্ষেপ:
.
পৃথিবীর মানচিত্রে ‘বাংলাদেশ’ নামক যে ভূখন্ড স্বাধীন দেশের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে সে স্বাধীনতার মহান নায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্ন দেখতেন একটি সোনার বাংলার। যে বাংলা হবে- দুর্নীতি ও রাজহানী মুক্ত, সুশাসনের কায়েম এবং বেকারত্ব ও দারিদ্র্য মুক্ত। স্বাধীন ও সভ্য সমাজের তালিকায় বাংলাদেশ স্থান করে নিলেও এখন এসব সমস্যা দেশে প্রকট। স্বাধীনতার ৪৯ বছরে পদার্পণের লক্ষ্যে দেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমারও প্রত্যাশা একটি দুর্নীতি ও রাজহানী মুক্ত দেশের, একটি সুস্থ ধারার রাজনীতি ও সুশাসনের কায়েম এবং বেকারত্ব ও দারিদ্র্য মুক্ত দেশের। আর এসব সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে অবশ্যই রাজনীতি ও শিক্ষাক্ষেত্রে আনতে হবে যুগান্তকারী পদক্ষেপ। সুস্থ ধারার রাজনীতির বিকাশে আগামীর কর্ণধার তরুণ প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ। যার মাধ্যমে রাজহানী ও দুর্নীতি রুখে স্বমহিমায় এগিয়ে যাবে দেশ, অপরদিকে শিক্ষাক্ষেত্রে বাস্তব ও কর্মমুখী শিক্ষার প্রয়োগে দেশ থাকবে বেকারত্ব ও দারিদ্র্য মুক্ত।
.
মোহম্মদ শাহিন
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
.
বিশ্বের মানচিত্রে একটি আর্দশ দেশরুপে দেখতে চাই:
.
গুটি গুটি পায়ে বাংলাদেশ পেরিয়ে গেছে স্বাধীনতার ৪৯ বছর।স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর লগ্নেও আমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ অধরাই রয়ে গেলো। সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা আর অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি প্রিয় বাংলাদেশে। প্রকৃতিকে কাজে লাগিয়ে আর সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার এবং সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা ও নীতি গ্রহণ করে বঙ্গবন্ধু তথা আমাদের সকলের সোনার বাংলা গড়ে তোলাই আমাদের এই বিজয় দিবসের অঙ্গীকার। কারন যে আশা, আকাঙ্ক্ষা, স্বপ্ন আর চেতনা নিয়ে বাংলার মানুষ একাত্তরে জীবন দিয়েছিলো স্বাধীনতার ৪৯ বছর পরেও তা বাস্তবায়ন হয় নি। সোনার বাঙ্গলায় নারীরা আজ নিরাপদ নয়। আমাদের দামাল ছেলেরা চেয়েছিলো এমন একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশ যার সর্বত্র আইনের শাসন থাকবে, অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা আসবে, স্বাস্থ্যসেবা বৃদ্ধি পাবে, শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি হবে এবং মানুষের আর্থ সামাজিক অব্স্থার পরিবর্তন হবে। একাত্তরের আত্নোৎসর্গকারীদের সাথে একাত্ম হয়ে আমরাও একটা স্বনির্ভর সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখি। সর্বোপরি এই বিজয় দিবসে ৫৬ হাজার বর্গমাইলের বাংলাদেশকে ভবিষ্যতে বিশ্বের মানচিত্রে একটি আদর্শ দেশরূপে দেখতে চাই।
.
মারিয়া অনি,
শির্ক্ষাথী,জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
.
তরুণদের কর্মসংস্থানের সুযোগ চাই:
.
ঊনিশো একাত্তর থেকে দুহাজার বিশ। আমরা একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছি প্রায় অর্ধশত বছর হলো। বাংলাদেশ তার শৈশব, কৈশোর পেরিয়ে আজ একটা অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে।
তরুণরাই জাতির ভবিষ্যৎ কর্ণধার। আমরা চাই সরকার আমাদের তরুণদের স্কিল ডেভেলপিং-এ আরো বেশি মনযোগ  এবং তরুণ প্রজন্মকে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিক। শিক্ষা ও নিরাপত্তা খাতে সরকার বরাদ্দ বাড়ানো উচিত। তাছাড়া ব্যাঙের ছাতার মতন বিশ্ববিদ্যালয় না বাড়িয়ে বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণার মান বাড়ানাে দরকার। সেই সাথে আমরা ধর্ষণ,নারী নির্যাতন ও দূ্র্নীতিবিহীন একটা নিরাপদ বাংলাদেশ চাই। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই যেখানে মানুষের বাক স্বাধীনতা থাকবে। মানুষ ন্যায়ের পক্ষে এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারবে। যেখানে মানুষ বুদ্ধির চাষ করবে এবং নৈতিকতা ও মূল্যবোধের জায়গায় ঠিক থেকে এই দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাবে।
.
শাহরিয়ার জামান সৈকত
শিক্ষার্থী, নোয়াখালি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
.
নারী নিরাপত্তা, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ চাই:
.
১৯৭১ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর বাঙালি জাতি অর্জন করেছিল তার শ্রেষ্ঠ বিজয়। ৩০ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে বাঙালি জাতি পেয়েছে লাল সবুজের পতকা।জাতি হিসেবে আমরা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি আমরা বাঙালিরা দুর্বল নয়। স্বাধীনতার ৪৯ তম বছর প্রাপ্তি – অপ্রাপ্তির খাতায় অনেক কিছু যোগ হয়েছে। বাংলাদেশে দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থাৎ, উন্নত দেশে বাংলাদেশ পরিণত হচ্ছে। তবে কিছু সমস্যা থেকেই গিয়েছে। যেসব সমস্যা হতে দ্রুত উত্তরণের পথ খুঁজতে হবে। স্বাধীনতার ৪৯ বছর পরও দূর হয় নি বেকার সমস্যা, আজও নারীরা রাস্তাঘাটে নিরাপদ নয়, দূর্নীতিমুক্ত নয় বাংলাদেশ,অরাজকতা,  সন্ত্রাসবাদ ইত্যাদি থেকে বাংলাদেশ মুক্তি নয়। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা হয়ে উঠতে পারি নি বাংলাদেশ। স্বাধীন দেশ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে তবে নাগরিকদের ব্যক্তি স্বাধীনতা নেই। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমি চাই, আমার দেশে প্রতিটি নারী থাকুক নিরাপদে, ধর্ম -বর্ণ নির্বিশেষে সবাই একই ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ থাকুক। বেকার সমস্যার অবসান হোক আর দেশে কোন সন্ত্রাসবাদ না থাকুক সবাই নিরাপদে, নির্ভয়ে স্বাধীন দেশে চলাফেরা করবে।
.
খন্দকার নাঈমা আক্তার নুন

শিক্ষার্থী, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। 

.