বিজয়ের কৃতিত্ব ভোটারদের দিলেন কাজী সালাউদ্দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১২:৩১:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ অক্টোবর ২০২০
  • / ১৮২ Time View

স্পোর্টস ডেস্কঃ টানা চার বার নির্বাচন করে তিনবারই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি সভাপতি পদে জিতেছেন কাজী মো. সালাউদ্দিন। একবার বিজয়ী হয়েছিলেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।

২০০৮, ২০১৬ ও সর্বশেষ ২০২০ সালের ভোটের পরিসংখ্যান বলছে, কাজী সালাউদ্দিনের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। প্রতিবারই তিনি আগের বারের চেয়ে ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।

শনিবার (৩ অক্টোবর) চতুর্থবারের মতো তিনি বাফুফে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ৯৪ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাদল রায়ের সঙ্গে তার ভোটের ব্যবধান ৫৪। নিজে বিপুল ভোটে জিতেছেন, তার পরিষদের বেশিরভাগ প্রার্থী জিতিয়েছেন। ভোটের পূর্ণাঙ্গ ফলাফল ঘোষণার পর কাজী মো. সালাউদ্দিন বিজয়ী সবাইকে পাশে দাঁড় করিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। যে প্রতিক্রিয়ায় তিনি বিজয়ের পুরো কৃতিত্ব দিয়েছেন ভোটারদের।

প্রতিক্রিয়ার শুরুতেই কাজী মো. সালাউদ্দিন বলেন, ‘আমাদের বিজয়টা ভোটারদের। ভোটের আগে অনেকে অনেক কথা বলেছেন। সব কথার জবাব দেয়ার ছিল ভোটারদের। তারা সেটা দিয়েছেন। আমার প্যানেলের পক্ষ থেকে ভোটারদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’

বিশাল এ বিজয়ের পেছনে রহস্য কী? কাজী সালাউদ্দিনের জবাব, ‘সিম্পল। আমরা ফুটবল মাঠে রেখেছি। ১২ বছরে কোনো লিগ, কোনো খেলা মিস হয়নি। ফুটবল আয়োজন করেছি বলেই ফুটবলের সঙ্গে জড়িত খেলোয়াড় এবং কাউন্সিলররা আমাকে সাপোর্ট করেন। আজকে বর্তমান খেলোয়াড়রা আমাকে অভিনন্দন জানাতে আসছেন। বর্তমান খেলোয়াড়রা যখন আমাকে উইশ করতে এসেছে, তখনই বুঝেছি আমি ঠিক কাজ করেছি। এজন্যই তারা আসছে।’

ভোটের আগে তো অনেক কথা শোনা গিয়েছিল উল্লেখ করে কাজী সালাউদ্দিন বলেছেন, ‘মিডিয়াতে অনেক কথা শুনেছি। অনেকে বলেছেন আমার ১০ ভোটও নেই। আমি প্রতি বছর বেশি ভোটেই পাস করছি। ২০০৮ সালের চেয়ে ২০১৬ সালে বেশি ভোট পেয়েছি। এবার পেয়েছি আরো বেশি ৯৪ ভোট। আমার ভোট বাড়ছে। ফুটবলের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের কাছে তো আমি জনপ্রিয়।’

প্রতিপক্ষ প্যানেল থেকে বেশ কয়েকজন সদস্য জয়ী হয়েছেন। তাদের নিয়ে ফুটবল উন্নয়নে কাজ করবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যারা নির্বাচিত হয়ে এসেছেন তারা যে প্যানেল থেকেই আসুক তাদেরকে তো ভোটাররাই এনেছেন। অবশ্যই আমি তাদের সঙ্গে কাজ করবো। কারণ আমি তো ফুটবল পরিচালনা করতে এসেছি। এটা রাজনীতি না যে এক দলের সঙ্গে এক দলের মিলবে না।’

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

বিজয়ের কৃতিত্ব ভোটারদের দিলেন কাজী সালাউদ্দিন

Update Time : ১২:৩১:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ অক্টোবর ২০২০

স্পোর্টস ডেস্কঃ টানা চার বার নির্বাচন করে তিনবারই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি সভাপতি পদে জিতেছেন কাজী মো. সালাউদ্দিন। একবার বিজয়ী হয়েছিলেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।

২০০৮, ২০১৬ ও সর্বশেষ ২০২০ সালের ভোটের পরিসংখ্যান বলছে, কাজী সালাউদ্দিনের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। প্রতিবারই তিনি আগের বারের চেয়ে ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।

শনিবার (৩ অক্টোবর) চতুর্থবারের মতো তিনি বাফুফে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ৯৪ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাদল রায়ের সঙ্গে তার ভোটের ব্যবধান ৫৪। নিজে বিপুল ভোটে জিতেছেন, তার পরিষদের বেশিরভাগ প্রার্থী জিতিয়েছেন। ভোটের পূর্ণাঙ্গ ফলাফল ঘোষণার পর কাজী মো. সালাউদ্দিন বিজয়ী সবাইকে পাশে দাঁড় করিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। যে প্রতিক্রিয়ায় তিনি বিজয়ের পুরো কৃতিত্ব দিয়েছেন ভোটারদের।

প্রতিক্রিয়ার শুরুতেই কাজী মো. সালাউদ্দিন বলেন, ‘আমাদের বিজয়টা ভোটারদের। ভোটের আগে অনেকে অনেক কথা বলেছেন। সব কথার জবাব দেয়ার ছিল ভোটারদের। তারা সেটা দিয়েছেন। আমার প্যানেলের পক্ষ থেকে ভোটারদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’

বিশাল এ বিজয়ের পেছনে রহস্য কী? কাজী সালাউদ্দিনের জবাব, ‘সিম্পল। আমরা ফুটবল মাঠে রেখেছি। ১২ বছরে কোনো লিগ, কোনো খেলা মিস হয়নি। ফুটবল আয়োজন করেছি বলেই ফুটবলের সঙ্গে জড়িত খেলোয়াড় এবং কাউন্সিলররা আমাকে সাপোর্ট করেন। আজকে বর্তমান খেলোয়াড়রা আমাকে অভিনন্দন জানাতে আসছেন। বর্তমান খেলোয়াড়রা যখন আমাকে উইশ করতে এসেছে, তখনই বুঝেছি আমি ঠিক কাজ করেছি। এজন্যই তারা আসছে।’

ভোটের আগে তো অনেক কথা শোনা গিয়েছিল উল্লেখ করে কাজী সালাউদ্দিন বলেছেন, ‘মিডিয়াতে অনেক কথা শুনেছি। অনেকে বলেছেন আমার ১০ ভোটও নেই। আমি প্রতি বছর বেশি ভোটেই পাস করছি। ২০০৮ সালের চেয়ে ২০১৬ সালে বেশি ভোট পেয়েছি। এবার পেয়েছি আরো বেশি ৯৪ ভোট। আমার ভোট বাড়ছে। ফুটবলের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের কাছে তো আমি জনপ্রিয়।’

প্রতিপক্ষ প্যানেল থেকে বেশ কয়েকজন সদস্য জয়ী হয়েছেন। তাদের নিয়ে ফুটবল উন্নয়নে কাজ করবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যারা নির্বাচিত হয়ে এসেছেন তারা যে প্যানেল থেকেই আসুক তাদেরকে তো ভোটাররাই এনেছেন। অবশ্যই আমি তাদের সঙ্গে কাজ করবো। কারণ আমি তো ফুটবল পরিচালনা করতে এসেছি। এটা রাজনীতি না যে এক দলের সঙ্গে এক দলের মিলবে না।’