বালিয়াতলীর ফেরি পারাপার নয় বছর ধরে বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১১:০৩:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ মে ২০২২
  • / ২৬৩ Time View

পটুয়াখালী প্রতিনিধি:

কলাপাড়া-কুয়াকাটা বিকল্প সড়কের বালিয়াতলীর ফেরি পারাপার নয় বছর ধরে বন্ধ হয়ে আছে। ফেরিটি এখন পন্টুনের সঙ্গে বেধে রাখা হয়েছে। তবে পানিতে ডুবে আছে। কাদামাটি ভিতরে ঢুকে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ফেরিটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকায় যন্ত্রপাতি পর্যন্ত চুরি হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া ফেরি ঘাটের পন্টুন, গ্যাংওয়ে পর্যন্ত গায়েব হয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। উপজেলা পরিষদ নিয়ন্ত্রিত এ ফেরিটি ২০০৮ সালে চালু করলেও ২০১২ সালের দিকে বন্ধ হয়ে গেছে। এখন এখান থেকে কুয়াকাটাগামী বিকল্প সড়কে নতুন সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু চালু হওয়ায় ফেরির আর প্রয়োজনীয়তা নেই।

জানা গেছে, এলজিইডির পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প-২৫ এর আওতায় দেশীয় কারিগরি সহযোগিতায় তৈরি মেকানাইজড ফেরিটি বালিয়াতলী পয়েন্টে আন্ধারমানিক নদীর শেষপ্রান্তে স্থাপন করা হয়। ফেরিটি ২০০৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর উপজেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর ব্যবস্থাপনাও তাদের হাতে ন্যাস্ত করা হয়। উপজেলা পরিষদ বাংলা ১৪১৬ সালের জন্য ২৬ হাজার টাকায় ইজারা প্রদান করে। ফেরিটি চালু হওয়ার পরে পর্যটকরা স্বাচ্ছন্দে বিকল্প এ সড়কে গাড়ি নিয়ে পর্যটন সমৃদ্ধ কুয়াকাটা ছাড়াও গঙ্গামতি কাউয়ারচরসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্পট দেখার সুযোগ পেত। এছাড়া এপথে চলাচলকারী বালিয়াতলী, ধুলাসার, লালুয়া, মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর হয়। লাঘব হয় দুর্ভোগ। কিন্তু কিছুদিন যেতেই ফেরিটির ইঞ্জিন গ্যাংওয়ে, পন্টুন বিকল হতে থাকে। ইঞ্জিনের একটি পাখা ভেঙ্গে তিন বছর পারাপার বন্ধ থাকে। এরপর কয়েকদিনের জন্য চালু হয়ে ফের বন্ধ হয়ে গেছে। এরপর আর পুর্নাঙ্গভাবে চালু হয়নি। এখন ফেরিটি চরে কাদার উপরে পড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বহু লোহা-লক্কর থেকে যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে গেছে। কিন্তু ২০১২ সালে ফেরিটি একদম বিকল হয়ে যায়। এরপর থেকে এভাবে পড়ে আছে।

নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে এক ব্যক্তি জানান, অনেক আগেই ফেরির টন পাইপ ও পাখার সঙ্গে রড বেঁধে দেয়ায় পাখা ভেঙ্গে গেছে। বহু মালামাল চুরি হয়ে গেছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম রাকিবুল আহসান জানান, এ বিষয় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য উপজেলা প্রকৌশলীকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এলজিইডির উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

বালিয়াতলীর ফেরি পারাপার নয় বছর ধরে বন্ধ

Update Time : ১১:০৩:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ মে ২০২২

পটুয়াখালী প্রতিনিধি:

কলাপাড়া-কুয়াকাটা বিকল্প সড়কের বালিয়াতলীর ফেরি পারাপার নয় বছর ধরে বন্ধ হয়ে আছে। ফেরিটি এখন পন্টুনের সঙ্গে বেধে রাখা হয়েছে। তবে পানিতে ডুবে আছে। কাদামাটি ভিতরে ঢুকে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ফেরিটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকায় যন্ত্রপাতি পর্যন্ত চুরি হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া ফেরি ঘাটের পন্টুন, গ্যাংওয়ে পর্যন্ত গায়েব হয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। উপজেলা পরিষদ নিয়ন্ত্রিত এ ফেরিটি ২০০৮ সালে চালু করলেও ২০১২ সালের দিকে বন্ধ হয়ে গেছে। এখন এখান থেকে কুয়াকাটাগামী বিকল্প সড়কে নতুন সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু চালু হওয়ায় ফেরির আর প্রয়োজনীয়তা নেই।

জানা গেছে, এলজিইডির পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প-২৫ এর আওতায় দেশীয় কারিগরি সহযোগিতায় তৈরি মেকানাইজড ফেরিটি বালিয়াতলী পয়েন্টে আন্ধারমানিক নদীর শেষপ্রান্তে স্থাপন করা হয়। ফেরিটি ২০০৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর উপজেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর ব্যবস্থাপনাও তাদের হাতে ন্যাস্ত করা হয়। উপজেলা পরিষদ বাংলা ১৪১৬ সালের জন্য ২৬ হাজার টাকায় ইজারা প্রদান করে। ফেরিটি চালু হওয়ার পরে পর্যটকরা স্বাচ্ছন্দে বিকল্প এ সড়কে গাড়ি নিয়ে পর্যটন সমৃদ্ধ কুয়াকাটা ছাড়াও গঙ্গামতি কাউয়ারচরসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্পট দেখার সুযোগ পেত। এছাড়া এপথে চলাচলকারী বালিয়াতলী, ধুলাসার, লালুয়া, মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর হয়। লাঘব হয় দুর্ভোগ। কিন্তু কিছুদিন যেতেই ফেরিটির ইঞ্জিন গ্যাংওয়ে, পন্টুন বিকল হতে থাকে। ইঞ্জিনের একটি পাখা ভেঙ্গে তিন বছর পারাপার বন্ধ থাকে। এরপর কয়েকদিনের জন্য চালু হয়ে ফের বন্ধ হয়ে গেছে। এরপর আর পুর্নাঙ্গভাবে চালু হয়নি। এখন ফেরিটি চরে কাদার উপরে পড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বহু লোহা-লক্কর থেকে যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে গেছে। কিন্তু ২০১২ সালে ফেরিটি একদম বিকল হয়ে যায়। এরপর থেকে এভাবে পড়ে আছে।

নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে এক ব্যক্তি জানান, অনেক আগেই ফেরির টন পাইপ ও পাখার সঙ্গে রড বেঁধে দেয়ায় পাখা ভেঙ্গে গেছে। বহু মালামাল চুরি হয়ে গেছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম রাকিবুল আহসান জানান, এ বিষয় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য উপজেলা প্রকৌশলীকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এলজিইডির উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।