বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যে ষড়যন্ত্রকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হোক

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১২:১২:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ অগাস্ট ২০২২
  • / ৬২০ Time View

বাঙালির রাখাল রাজা, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হারানোর ৪৭ বছরেও আমরা এই নৃশংস ঘটনার নির্দেশদাতা ও ষড়যন্ত্রকারীদের আইনের আওতায় আনতে পারিনি। এটা খুবই কষ্টের, তবে আশার সংবাদ ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ষড়যন্ত্রের তদন্ত এবং জড়িতদের বিচারের দাবি জোরালো হচ্ছে দিন দিন। বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার নেপথ্য ষড়যন্ত্রকারীদের দ্রুত চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা হোক।

আগস্ট বাঙালি জাতির নিকট বেদনাদায়ক একটি মাস। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ইতিহাসে নির্মমতার এক কালো অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত। ১৯৭৫ সালের এই দিনে মানবসভ্যতার ইতিহাসে সবেচেয়ে নিকৃষ্ট ও ঘৃণ্যতম হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। বুলেটের আঘাতে স্তব্ধ করে দেওয়া হয় বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠা ও মুক্তি সংগ্রামের দ্ব্যর্থহীন বজ্রকণ্ঠ। দেশের ইতিহাসের এই কলঙ্কজনক অধ্যায় মুছতে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করতে হবে।

পলাতক ৭ দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির মধ্যে অন্যতম ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আব্দুল মাজেদকে ২০২০ সালের ১২ এপ্রিল দিবাগত রাতে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যদণ্ড কার্যকর করা হয়। তবে এখনও বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বেশ কয়েকজন ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বিদেশে পলাতক থাকার কারণে তাদের ফাঁসি কার্যকর না হওয়ায় বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা যায়নি। সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সরকারকে ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতা চালাতে হবে। এই রায় যেদিন পুরোপুরি কার্যকর হবে, সেদিন বাংলার মানুষ সপরিবারে জাতির পিতার হত্যার দায় থেকে মুক্তি পাবে।

ঘাতকেরা এদিন শুধু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকেই সপরিবারে হত্যা করেনি, হত্যা করেছিল বাঙালি জাতির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, অগ্রযাত্রা, সমৃদ্ধি ও সুন্দর আগামীর স্বপ্ন।

জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান কোনো দলের নয়, তিনি বাঙালি জাতির সম্পদ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু একটি নাম নয়। বঙ্গবন্ধু একটি প্রতিষ্ঠান, একটি সত্তা, একটি ইতিহাস। জীবিত বঙ্গবন্ধুর মতোই অন্তরালের বঙ্গবন্ধু শক্তিশালী।

বঙ্গবন্ধুকে যারা অস্বীকার করে তাদের বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই। বঙ্গবন্ধু জন্ম না হলে বাঙালি স্বাধীন দেশ পেতো না। বঙ্গবন্ধু মানেই একটি স্বাধীন দেশ, একটি পতাকা। মুজিব স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা।

‘যত দিন বাংলাদেশ থাকবে, বাঙালি থাকবে, এ দেশের জনগণ থাকবে, তত দিনই বঙ্গবন্ধু সবার অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন।

মহসিন হোসেন
সম্পাদক
বিডি সমাচার ২৪ ডটকম

Please Share This Post in Your Social Media

বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যে ষড়যন্ত্রকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হোক

Update Time : ১২:১২:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ অগাস্ট ২০২২

বাঙালির রাখাল রাজা, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হারানোর ৪৭ বছরেও আমরা এই নৃশংস ঘটনার নির্দেশদাতা ও ষড়যন্ত্রকারীদের আইনের আওতায় আনতে পারিনি। এটা খুবই কষ্টের, তবে আশার সংবাদ ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ষড়যন্ত্রের তদন্ত এবং জড়িতদের বিচারের দাবি জোরালো হচ্ছে দিন দিন। বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার নেপথ্য ষড়যন্ত্রকারীদের দ্রুত চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা হোক।

আগস্ট বাঙালি জাতির নিকট বেদনাদায়ক একটি মাস। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ইতিহাসে নির্মমতার এক কালো অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত। ১৯৭৫ সালের এই দিনে মানবসভ্যতার ইতিহাসে সবেচেয়ে নিকৃষ্ট ও ঘৃণ্যতম হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। বুলেটের আঘাতে স্তব্ধ করে দেওয়া হয় বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠা ও মুক্তি সংগ্রামের দ্ব্যর্থহীন বজ্রকণ্ঠ। দেশের ইতিহাসের এই কলঙ্কজনক অধ্যায় মুছতে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করতে হবে।

পলাতক ৭ দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির মধ্যে অন্যতম ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আব্দুল মাজেদকে ২০২০ সালের ১২ এপ্রিল দিবাগত রাতে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যদণ্ড কার্যকর করা হয়। তবে এখনও বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বেশ কয়েকজন ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বিদেশে পলাতক থাকার কারণে তাদের ফাঁসি কার্যকর না হওয়ায় বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা যায়নি। সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সরকারকে ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতা চালাতে হবে। এই রায় যেদিন পুরোপুরি কার্যকর হবে, সেদিন বাংলার মানুষ সপরিবারে জাতির পিতার হত্যার দায় থেকে মুক্তি পাবে।

ঘাতকেরা এদিন শুধু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকেই সপরিবারে হত্যা করেনি, হত্যা করেছিল বাঙালি জাতির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, অগ্রযাত্রা, সমৃদ্ধি ও সুন্দর আগামীর স্বপ্ন।

জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান কোনো দলের নয়, তিনি বাঙালি জাতির সম্পদ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু একটি নাম নয়। বঙ্গবন্ধু একটি প্রতিষ্ঠান, একটি সত্তা, একটি ইতিহাস। জীবিত বঙ্গবন্ধুর মতোই অন্তরালের বঙ্গবন্ধু শক্তিশালী।

বঙ্গবন্ধুকে যারা অস্বীকার করে তাদের বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই। বঙ্গবন্ধু জন্ম না হলে বাঙালি স্বাধীন দেশ পেতো না। বঙ্গবন্ধু মানেই একটি স্বাধীন দেশ, একটি পতাকা। মুজিব স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা।

‘যত দিন বাংলাদেশ থাকবে, বাঙালি থাকবে, এ দেশের জনগণ থাকবে, তত দিনই বঙ্গবন্ধু সবার অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন।

মহসিন হোসেন
সম্পাদক
বিডি সমাচার ২৪ ডটকম