বঙ্গবন্ধু না থাকলে বাংলাদেশের নাগরিক হতে পারতাম না: জাহিদ ফারুক

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১১:৫৫:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ মার্চ ২০২২
  • / ২৩১ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কর্নেল (অব) জাহিদ ফারুক বলেছেন; জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান না থাকলে আজ আমরা বাংলাদেশের মতো এমন একটি দেশের নাগরিক হতে পারতাম না। সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য জাতির পিতা সারাটা জীবন কাজ করেছেন। তিনি খেটে খাওয়া মানুষের কথা ভাবতেন তাদের জীবন মানের উন্নয়নের জন্য কাজ করেছেন। জীবনের ১৪ টি বছর কারাগারের ভেতরে ছিলেন বঙ্গবন্ধু। আজ তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

রোববার নগরীর কলেজিয়েট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগীতার পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বে এখন উন্নয়নের রোল মডেল,পৃথিবীর উন্নত দেশগুলো সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশের কাছ থেকে শিক্ষা নিচ্ছে। কিভাবে একটা ছোট দেশ, যেখানে এতো জনসংখ্যা তারপরও সেই দেশ কিভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের একসময় তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে পরিচিতি ছিলো। আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশে পৌছে গেছি। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ২০৩০ সালের ভেতরে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের ভেতর সমৃদ্ধশালী দেশের মর্জাদা অর্জন করবো।

তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশ্যে তিনি প্রতিমন্ত্রী জাহিদ বলেন; সমৃদ্ধশালী দেশে পৌছাতে হলে তরুন সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। আজকের শিক্ষার্থীরা যদি নিজেদের ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করো তাহলে দেশ দ্রুত সমৃদ্ধশালী হবে। তোমরা উন্নত বাংলাদেশের সেবক হিসেবে ভবিষ্যতের জন্য লেখাপড়া করবে। মাদক থেকে দূরে থেকে খেলাধুলা ও পড়াশুনায় মনযোগী হও তাহলে এ দেশ এগিয়ে যাবে। যারা আজ বিজয়ী হতে পারোনি, আগামীতে পারবে। আর যারা বিজয়ী হতে পেরেছো তারা যদি আগামীতেও বিজয়ী হও তাহলে মনে করবো তোমাদের মাঝে একটা জেদ রয়েছে। যেটা ভালো করার জন্য। আর এরমধ্য দিয়ে কর্মক্ষেত্রেও সফলভাবে তোমরা এগিয়ে যেতে পারবে।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, দক্ষিনাঞ্চলের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনেক কিছু করেছেন। পায়রা বন্দর, পদ্মা সেতুসহ বিভিন্ন উন্নয়নের কারনে বরিশাল বিভাগীয় শহর হিসেবে, এখানে অনেক সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে । বিদেশীরাও এসে প্রতিষ্ঠান করবে। এখানকার শিল্প-কারখানা, অফিসে যদি নিজেদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে চাও, তাহলে নিজেদের লেখাপড়া করে সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। দুটিভাবে নিজেদের তৈরি করতে হবে একটি হলো খেলাধুলা করে শারিরীকভাবে নিজেদের যোগ্যতা অর্জন করা আর দ্বিতীয়টা হলো লেখাপড়া করে। যারা লেখাপড়া-খেলাধুলা করে না, তাদের মধ্যে বেশিরভাগই মাদকাসক্ত হওয়ার প্রবণতা থাকে। যদি একটি পরিবারের কেউ মাদকাসক্ত হয়, তাহলে পরিবারটা ধ্বংস হয়ে যায়। আমি আশাকরি তোমরা সকল লেখাপড়ায় মনযোগী হবে। দেশকে সমৃদ্ধশালী করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করবে।

এসময় তিনি কলেজিয়েট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পক্ষে উত্থাপিত কিছু সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন এবং বন্ধ থাকা বিদ্যালয় ভবনের কাজ দ্রুত শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার কথাও জানান তিনি।

জিয়াউর রহমান বিপ্লব, ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মোঃজসিম উদ্দিন হায়দার।

আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব মাহমুদুল হক খান মামুন, বিসিসি’র ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল ইসলাম বাদশা, ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাকির হোসেন ভুলু, ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনামুল হক বাহার, ২৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহিদ হোসেন রুবেল, ২৯নং ওয়ার্ড ফরিদ আহমেদ, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান মধু।

Please Share This Post in Your Social Media

বঙ্গবন্ধু না থাকলে বাংলাদেশের নাগরিক হতে পারতাম না: জাহিদ ফারুক

Update Time : ১১:৫৫:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ মার্চ ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কর্নেল (অব) জাহিদ ফারুক বলেছেন; জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান না থাকলে আজ আমরা বাংলাদেশের মতো এমন একটি দেশের নাগরিক হতে পারতাম না। সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য জাতির পিতা সারাটা জীবন কাজ করেছেন। তিনি খেটে খাওয়া মানুষের কথা ভাবতেন তাদের জীবন মানের উন্নয়নের জন্য কাজ করেছেন। জীবনের ১৪ টি বছর কারাগারের ভেতরে ছিলেন বঙ্গবন্ধু। আজ তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

রোববার নগরীর কলেজিয়েট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগীতার পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বে এখন উন্নয়নের রোল মডেল,পৃথিবীর উন্নত দেশগুলো সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশের কাছ থেকে শিক্ষা নিচ্ছে। কিভাবে একটা ছোট দেশ, যেখানে এতো জনসংখ্যা তারপরও সেই দেশ কিভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের একসময় তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে পরিচিতি ছিলো। আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশে পৌছে গেছি। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ২০৩০ সালের ভেতরে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের ভেতর সমৃদ্ধশালী দেশের মর্জাদা অর্জন করবো।

তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশ্যে তিনি প্রতিমন্ত্রী জাহিদ বলেন; সমৃদ্ধশালী দেশে পৌছাতে হলে তরুন সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। আজকের শিক্ষার্থীরা যদি নিজেদের ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করো তাহলে দেশ দ্রুত সমৃদ্ধশালী হবে। তোমরা উন্নত বাংলাদেশের সেবক হিসেবে ভবিষ্যতের জন্য লেখাপড়া করবে। মাদক থেকে দূরে থেকে খেলাধুলা ও পড়াশুনায় মনযোগী হও তাহলে এ দেশ এগিয়ে যাবে। যারা আজ বিজয়ী হতে পারোনি, আগামীতে পারবে। আর যারা বিজয়ী হতে পেরেছো তারা যদি আগামীতেও বিজয়ী হও তাহলে মনে করবো তোমাদের মাঝে একটা জেদ রয়েছে। যেটা ভালো করার জন্য। আর এরমধ্য দিয়ে কর্মক্ষেত্রেও সফলভাবে তোমরা এগিয়ে যেতে পারবে।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, দক্ষিনাঞ্চলের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনেক কিছু করেছেন। পায়রা বন্দর, পদ্মা সেতুসহ বিভিন্ন উন্নয়নের কারনে বরিশাল বিভাগীয় শহর হিসেবে, এখানে অনেক সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে । বিদেশীরাও এসে প্রতিষ্ঠান করবে। এখানকার শিল্প-কারখানা, অফিসে যদি নিজেদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে চাও, তাহলে নিজেদের লেখাপড়া করে সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। দুটিভাবে নিজেদের তৈরি করতে হবে একটি হলো খেলাধুলা করে শারিরীকভাবে নিজেদের যোগ্যতা অর্জন করা আর দ্বিতীয়টা হলো লেখাপড়া করে। যারা লেখাপড়া-খেলাধুলা করে না, তাদের মধ্যে বেশিরভাগই মাদকাসক্ত হওয়ার প্রবণতা থাকে। যদি একটি পরিবারের কেউ মাদকাসক্ত হয়, তাহলে পরিবারটা ধ্বংস হয়ে যায়। আমি আশাকরি তোমরা সকল লেখাপড়ায় মনযোগী হবে। দেশকে সমৃদ্ধশালী করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করবে।

এসময় তিনি কলেজিয়েট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পক্ষে উত্থাপিত কিছু সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন এবং বন্ধ থাকা বিদ্যালয় ভবনের কাজ দ্রুত শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার কথাও জানান তিনি।

জিয়াউর রহমান বিপ্লব, ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মোঃজসিম উদ্দিন হায়দার।

আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব মাহমুদুল হক খান মামুন, বিসিসি’র ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল ইসলাম বাদশা, ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাকির হোসেন ভুলু, ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনামুল হক বাহার, ২৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহিদ হোসেন রুবেল, ২৯নং ওয়ার্ড ফরিদ আহমেদ, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান মধু।