ফেসবুকে মন্তব্যের ঘটনায় কলেজছাত্র খুন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১১:০১:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ জুলাই ২০২১
  • / ১১৫ Time View

 

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:

ফেসবুকে মন্তব্যের ঘটনায় সোমবার সকালে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার মেহরাবাড়ি এলাকায় সাঈম খান (১৮) নামে এক কলেজ ছাত্র খুন হয়েছেন।

নিহত সাঈম খান উপজেলার হবিরবাড়ি গ্রামের সিডস্টোর বাজার এলাকার নাজিম উদ্দিন খানের ছেলে। তিনি মর্নিং সান কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় পাশ করেছেন।

ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন ভালুকা মডেল থানার ওসি মো. মাহমুদুল ইসলাম।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েক দিন পূর্বে সাব্বির ও সোহাগ কয়েক বন্ধু মিলে একসঙ্গে গাঁজা খায়। এ নিয়ে সিডস্টোর এলাকার সায়েদ আলীর ছেলে মিরাজের সঙ্গে কাটাকাটি হয়। রোববার সোহাগ তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে একটি ছবি পোস্ট করেন। সেই ছবির নিচে ‘ইজি বাপের ভিজি পুলা’ ফেসবুক আইডি থেকে ওই পোস্টের নিচে সাব্বির, সোহাগ, মনিরকে গাঁজাখোর বলে মন্তব্য করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সাব্বির ও সোহাগ তাদের সহপাঠী নিয়ে রোববার দুপুরে সিডস্টোর বাজারের এসে মিরাজকে বাসা থেকে ডেকে এনে চর থাপ্পড় মারে।

এ ঘটনার জের ধরে সিডস্টোর বাজারের পলাশ গ্রুপের কিশোর গ্যাংয়ের ১০-১৫ জনের সদস্য নিয়ে মিরাজ রোববার সন্ধ্যায় মেহরাবাড়ি সাব্বিরদের বাড়িতে গিয়ে সাব্বিরকে ডেকে আনে। এ সময় পলাশ গ্রুপের সদস্যরা সাব্বিরকে মারধর শুরু করলে সাব্বিরের ডাক চিৎকারে তার পরিবারের লোকজনসহ আশপাশের লোকজন চলে আসলে দুপক্ষের মাঝে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এতে সাঈম খান, সাব্বির, পলাশ, মিরাজের মাসহ ৫-৬ জন আহত হন।

আহতদের মাঝে সাঈম খান,সাব্বির, পলাশকে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তাদের মাঝে সাঈম খানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় জাতীয় নিউরো সাইন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকালে সাঈম মারা যান।

নিহত সাঈম খানের চাচা আফাজ উদ্দিন খান জানান, আমার ভাতিজাকে মোবাইলে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে।

মিরাজের বড় বোন সুইটি আক্তার জানান, রোববার দুপুরে দুইজন অপরিচিত ছেলে বাড়ি এসে তার ভাইকে মারধর করে চলে যান। রাতে এ ব্যাপারে সালিশ হলে, সেখানেও ছোট ভাই মিরাজকে মারধর করলে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ভালুকা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করি।

ভালুকা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জানান, সাঈমের মাথায় প্রচণ্ড রকমের আঘাত পেয়েছে। মাথার আঘাতের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।

ভালুকা মডেল থানার ওসি মাহমুদুল ইসলাম জানান, ফেসবুকে মন্তব্য করাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। লাশটি উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে একটি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আসামি গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

Please Share This Post in Your Social Media

ফেসবুকে মন্তব্যের ঘটনায় কলেজছাত্র খুন

Update Time : ১১:০১:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ জুলাই ২০২১

 

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:

ফেসবুকে মন্তব্যের ঘটনায় সোমবার সকালে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার মেহরাবাড়ি এলাকায় সাঈম খান (১৮) নামে এক কলেজ ছাত্র খুন হয়েছেন।

নিহত সাঈম খান উপজেলার হবিরবাড়ি গ্রামের সিডস্টোর বাজার এলাকার নাজিম উদ্দিন খানের ছেলে। তিনি মর্নিং সান কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় পাশ করেছেন।

ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন ভালুকা মডেল থানার ওসি মো. মাহমুদুল ইসলাম।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েক দিন পূর্বে সাব্বির ও সোহাগ কয়েক বন্ধু মিলে একসঙ্গে গাঁজা খায়। এ নিয়ে সিডস্টোর এলাকার সায়েদ আলীর ছেলে মিরাজের সঙ্গে কাটাকাটি হয়। রোববার সোহাগ তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে একটি ছবি পোস্ট করেন। সেই ছবির নিচে ‘ইজি বাপের ভিজি পুলা’ ফেসবুক আইডি থেকে ওই পোস্টের নিচে সাব্বির, সোহাগ, মনিরকে গাঁজাখোর বলে মন্তব্য করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সাব্বির ও সোহাগ তাদের সহপাঠী নিয়ে রোববার দুপুরে সিডস্টোর বাজারের এসে মিরাজকে বাসা থেকে ডেকে এনে চর থাপ্পড় মারে।

এ ঘটনার জের ধরে সিডস্টোর বাজারের পলাশ গ্রুপের কিশোর গ্যাংয়ের ১০-১৫ জনের সদস্য নিয়ে মিরাজ রোববার সন্ধ্যায় মেহরাবাড়ি সাব্বিরদের বাড়িতে গিয়ে সাব্বিরকে ডেকে আনে। এ সময় পলাশ গ্রুপের সদস্যরা সাব্বিরকে মারধর শুরু করলে সাব্বিরের ডাক চিৎকারে তার পরিবারের লোকজনসহ আশপাশের লোকজন চলে আসলে দুপক্ষের মাঝে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এতে সাঈম খান, সাব্বির, পলাশ, মিরাজের মাসহ ৫-৬ জন আহত হন।

আহতদের মাঝে সাঈম খান,সাব্বির, পলাশকে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তাদের মাঝে সাঈম খানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় জাতীয় নিউরো সাইন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকালে সাঈম মারা যান।

নিহত সাঈম খানের চাচা আফাজ উদ্দিন খান জানান, আমার ভাতিজাকে মোবাইলে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে।

মিরাজের বড় বোন সুইটি আক্তার জানান, রোববার দুপুরে দুইজন অপরিচিত ছেলে বাড়ি এসে তার ভাইকে মারধর করে চলে যান। রাতে এ ব্যাপারে সালিশ হলে, সেখানেও ছোট ভাই মিরাজকে মারধর করলে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ভালুকা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করি।

ভালুকা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জানান, সাঈমের মাথায় প্রচণ্ড রকমের আঘাত পেয়েছে। মাথার আঘাতের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।

ভালুকা মডেল থানার ওসি মাহমুদুল ইসলাম জানান, ফেসবুকে মন্তব্য করাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। লাশটি উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে একটি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আসামি গ্রেফতারে অভিযান চলছে।