ফেসবুকের কল্যাণে চার বছর পর খুঁজে পেলেন মাকে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০২:০৯:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর ২০২০
  • / ১৮৩ Time View

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের কল্যাণে চার বছর পর সন্তানদের কাছে পেয়েছেন শেরপুরের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মা জুলেখা বেগম।

বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নের সোলায়মান বাজারে বৃদ্ধা মাকে তার সন্তানদের হাতে হস্তান্তর করা হয়।

স্থানীয় চনখোলা পুলিশ ক্যাম্পের আইসি মো. জাহাঙ্গীর আলম, বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক কবির আহমদসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বৃদ্ধা মাকে চার বছর পর খুঁজে পেয়ে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয় সন্তানদের মাঝে।

জুলেখার ছেলে রফিকুল ইসলাম বলেন, চার বছর আগে আমার মা হারিয়ে যায়। স্থানীয় সাংবাদিক ইউনুছ শিকদার তার ব্যক্তিগত ফেসবুকে আমার মায়ের কথা লিখলে, বিভিন্ন গ্রুপে তা ভাইরাল হয়।

পোস্টটি শেরপুর পুলিশ সুপার ও সাংবাদিকদের নজরে এলে তারা খোঁজ নিয়ে দেখেন ওই নারী নকলা উপজেলার চর অষ্টধর ইউনিয়নের আদর্শ গ্রামের মোস্তাহারের হারিয়ে যাওয়া মা।

এ বিষয়ে শেরপুরের দেশবার্তার সাংবাদিক জুয়েল রানা একাধিক অনলাইনে নিউজটি প্রকাশ করেন। এভাবেই বৃদ্ধার সন্তানরা তাদের মায়ের খবর পান।

উল্লেখ্য, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মা চার বছর আগে বাড়ি থেকে পথ হারিয়ে নোয়াখালীতে এসে পড়েন। পরবর্তীতে সুবর্ণচরের সোলায়মান বাজারে আশ্রয় নেন। সেখানে ময়না টেলিকমের মালিক মো. মজনুর তত্ত্বাবধানে ছিলেন তিনি।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

ফেসবুকের কল্যাণে চার বছর পর খুঁজে পেলেন মাকে

Update Time : ০২:০৯:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর ২০২০

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের কল্যাণে চার বছর পর সন্তানদের কাছে পেয়েছেন শেরপুরের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মা জুলেখা বেগম।

বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নের সোলায়মান বাজারে বৃদ্ধা মাকে তার সন্তানদের হাতে হস্তান্তর করা হয়।

স্থানীয় চনখোলা পুলিশ ক্যাম্পের আইসি মো. জাহাঙ্গীর আলম, বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক কবির আহমদসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বৃদ্ধা মাকে চার বছর পর খুঁজে পেয়ে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয় সন্তানদের মাঝে।

জুলেখার ছেলে রফিকুল ইসলাম বলেন, চার বছর আগে আমার মা হারিয়ে যায়। স্থানীয় সাংবাদিক ইউনুছ শিকদার তার ব্যক্তিগত ফেসবুকে আমার মায়ের কথা লিখলে, বিভিন্ন গ্রুপে তা ভাইরাল হয়।

পোস্টটি শেরপুর পুলিশ সুপার ও সাংবাদিকদের নজরে এলে তারা খোঁজ নিয়ে দেখেন ওই নারী নকলা উপজেলার চর অষ্টধর ইউনিয়নের আদর্শ গ্রামের মোস্তাহারের হারিয়ে যাওয়া মা।

এ বিষয়ে শেরপুরের দেশবার্তার সাংবাদিক জুয়েল রানা একাধিক অনলাইনে নিউজটি প্রকাশ করেন। এভাবেই বৃদ্ধার সন্তানরা তাদের মায়ের খবর পান।

উল্লেখ্য, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মা চার বছর আগে বাড়ি থেকে পথ হারিয়ে নোয়াখালীতে এসে পড়েন। পরবর্তীতে সুবর্ণচরের সোলায়মান বাজারে আশ্রয় নেন। সেখানে ময়না টেলিকমের মালিক মো. মজনুর তত্ত্বাবধানে ছিলেন তিনি।