ফের তালা ভেঙে জাবি ছাত্রীদের হলে প্রবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৩:২৪:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ২৫০ Time View
নিজস্ব প্রতিবেদক:
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার মধ্যে হল ছাড়তে প্রশাসনের দেওয়া নির্দেশনাকে প্রত্যাখ্যান করেছে হলে ওঠা শিক্ষার্থীরা। দুপুর ১২টার দিকে ওই নির্দেশনা অনুযায়ী হলগুলোর প্রাধ্যক্ষ হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্য শিক্ষকদের নিয়ে হলে হলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের চলে যেতে অনুরোধ করলে আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন শিক্ষার্থীরা।

নিরাপত্তার কারণে তাদের গেরুয়াসহ আশপাশের এলাকায় যাওয়া সম্ভব নয় জানিয়ে তারা হলে থাকার কথাই জানিয়ে দিয়েছেন। এর মধ্যে দুপুর ১টার দিকে তারা পরিবহন চত্বর থেকে মিছিল বের করে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের সামনে শেষ হয়। সেখানেই পূর্বের দেওয়া আলটিমেটাম অনুযায়ী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের গেটের তালা ভেঙে ফেলে শিক্ষার্থীরা। পরে প্রায় ৪০ জন ছাত্রী হলটিতে উঠেছেন বলে জানা গেছে। একইভাবে ফজিলাতুন্নেছা হলের তালাও ভেঙে ফেলা হয়েছে। সেখানেও থাকবেন ছাত্রীরা।

এর আগে সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যে হল খুলে দেওয়ার আলটিমেটাম দিয়েছিল ছাত্রীরা। এর মধ্যে হল না খুললে তারা হলের তালা ভেঙে প্রবেশ করার ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু প্রশাসন তাদের আলটিমেটামে সাড়া না দেওয়ায় ছাত্রীরা হলে উঠেছেন।

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, শিক্ষার্থীদের বোঝানো হয়েছে হল ছেড়ে দেওয়ার জন্য। তারা যদি চলে যায় তাহলে তো ভালো। কিন্তু যেতে না চাইলে পরে আলোচনা করে কী করা যায়, সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এর আগে রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ স্বাক্ষরিত এক জরুরি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার মধ্যে তাদের হল ছাড়তে বলা হয়েছিল। অন্যথায় ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু ওই বিজ্ঞপ্তির পরপরই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা পাল্টা কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিলেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানিয়েছিলেন, ‘আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আবাসিক হলে শিক্ষার্থীদের থাকার সুব্যবস্থা এবং গেরুয়া গ্যাংয়ের বিচার না করতে পারলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অফিস, কোয়ার্টার, প্রক্টর স্যার, ভিসি ম্যামসহ সব বাসায় তালা মেরে দেওয়া হবে।’

শুক্রবারের ওই সংঘর্ষের পর থেকে হল খুলে দেওয়ার দাবি করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু হল খুলে না দেওয়ায় রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ছয় দফা দাবিসহ হামলার ঘটনায় মামলা করতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। গতকালই রাত সাড়ে ৯টায় অজ্ঞাত ২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের রহিমা কানিজের নির্দেশে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা জেফরুল হাসান চৌধুরী সজল বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় এই মামলা করেন।

মামলার বিষয়ে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আবদুর রশিদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলা দেওয়া হয়েছে। রাত সাড়ে ৯টার দিকে মামলা নেওয়া হয়।’

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

ফের তালা ভেঙে জাবি ছাত্রীদের হলে প্রবেশ

Update Time : ০৩:২৪:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২১
নিজস্ব প্রতিবেদক:
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার মধ্যে হল ছাড়তে প্রশাসনের দেওয়া নির্দেশনাকে প্রত্যাখ্যান করেছে হলে ওঠা শিক্ষার্থীরা। দুপুর ১২টার দিকে ওই নির্দেশনা অনুযায়ী হলগুলোর প্রাধ্যক্ষ হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্য শিক্ষকদের নিয়ে হলে হলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের চলে যেতে অনুরোধ করলে আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন শিক্ষার্থীরা।

নিরাপত্তার কারণে তাদের গেরুয়াসহ আশপাশের এলাকায় যাওয়া সম্ভব নয় জানিয়ে তারা হলে থাকার কথাই জানিয়ে দিয়েছেন। এর মধ্যে দুপুর ১টার দিকে তারা পরিবহন চত্বর থেকে মিছিল বের করে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের সামনে শেষ হয়। সেখানেই পূর্বের দেওয়া আলটিমেটাম অনুযায়ী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের গেটের তালা ভেঙে ফেলে শিক্ষার্থীরা। পরে প্রায় ৪০ জন ছাত্রী হলটিতে উঠেছেন বলে জানা গেছে। একইভাবে ফজিলাতুন্নেছা হলের তালাও ভেঙে ফেলা হয়েছে। সেখানেও থাকবেন ছাত্রীরা।

এর আগে সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যে হল খুলে দেওয়ার আলটিমেটাম দিয়েছিল ছাত্রীরা। এর মধ্যে হল না খুললে তারা হলের তালা ভেঙে প্রবেশ করার ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু প্রশাসন তাদের আলটিমেটামে সাড়া না দেওয়ায় ছাত্রীরা হলে উঠেছেন।

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, শিক্ষার্থীদের বোঝানো হয়েছে হল ছেড়ে দেওয়ার জন্য। তারা যদি চলে যায় তাহলে তো ভালো। কিন্তু যেতে না চাইলে পরে আলোচনা করে কী করা যায়, সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এর আগে রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ স্বাক্ষরিত এক জরুরি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার মধ্যে তাদের হল ছাড়তে বলা হয়েছিল। অন্যথায় ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু ওই বিজ্ঞপ্তির পরপরই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা পাল্টা কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিলেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানিয়েছিলেন, ‘আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আবাসিক হলে শিক্ষার্থীদের থাকার সুব্যবস্থা এবং গেরুয়া গ্যাংয়ের বিচার না করতে পারলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অফিস, কোয়ার্টার, প্রক্টর স্যার, ভিসি ম্যামসহ সব বাসায় তালা মেরে দেওয়া হবে।’

শুক্রবারের ওই সংঘর্ষের পর থেকে হল খুলে দেওয়ার দাবি করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু হল খুলে না দেওয়ায় রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ছয় দফা দাবিসহ হামলার ঘটনায় মামলা করতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। গতকালই রাত সাড়ে ৯টায় অজ্ঞাত ২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের রহিমা কানিজের নির্দেশে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা জেফরুল হাসান চৌধুরী সজল বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় এই মামলা করেন।

মামলার বিষয়ে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আবদুর রশিদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলা দেওয়া হয়েছে। রাত সাড়ে ৯টার দিকে মামলা নেওয়া হয়।’