প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার উদ্যোগ মিরসরাই উপকূলের ২৫ কিমি জুড়ে গোলপাতা চাষ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০১:২০:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ মে ২০২৩
  • / ৯২ Time View

মিরসরাই,প্রতিনিধিঃ মিরসরাইয়ের উপকূলীয় অঞ্চল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা করতে ২০২২-২৩ অর্থবছরে সুফল প্রজেক্টের আওতায় ২৫ হাজার গোলপাতা বীজ বপন করেছে চট্টগ্রাম উপকূলীয় বন বিভাগ। মিরসরাই উপকূলীয় বামন সুন্দর বিটের আওতায় এ বীজগুলো বপন করা হয়েছে। এরই মধ্যে বীজগুলো চারায় পরিণত হচ্ছে। এক বছরের মধ্যে বীজগুলো সম্পূর্ণ চারায় পরিণত হবে বলে জানান মিরসরাই উপকূলীয় রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল গফুর মোল্লা।মিরসরাই উপকূলীয় বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মিরসরাই উপকূলীয় অঞ্চলকে জলোচ্ছ্বাস ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষায় চরাঞ্চলে গোলপাতার বেষ্টনী তৈরির পরিকল্পনা করেছে উপকূলীয় বন বিভাগ।তারই ধারাবাহিকতায় ১০ কিলোমিটার চরাঞ্চলে গোলপাতা বীজ বপনের সিদ্ধান্ত হয়। এতে ব্যয় ধরা হয় ১ লাখ টাকা, কিন্তু বপন করা বীজের ৫০ শতাংশ অনেক সময় নষ্ট হয়ে যায়। তাই মিরসরাই উপকূলীয় বন বিভাগ ২৫ কিলোমিটার চরাঞ্চলজুড়ে গোলপাতা চাষের সিদ্ধান্ত নেয়। গত মাসে উপজেলার বামনসুন্দর বিটের আওতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরসহ আশপাশের ২৫ কিলোমিটার চরজুড়ে ২৫ হাজার গোল পাতার বীজ বপন করা হয়। বীজগুলো চারায় পরিণত হতে শুরু করেছে।সম্প্রতি সরজমিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরসংলগ্ন চরাঞ্চলে গিয়ে দেখা যায়, সমুদ্রের কোলঘেঁষে বীজগুলো বপন করা হয়েছে। বপন করা বীজগুলো ধীরে ধীরে চারা গাছে পরিণত হচ্ছে। মিরসরাই উপকূলীয় অঞ্চলে জোয়ার-ভাটার প্রবণতা থাকায় এখানে গোলপাতা চাষের সম্ভাবনা রয়েছে। বনকর্মীরা চারাগুলোর তদারক করছেন।মিরসরাই উপকূলীয় রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল গফুর মোল্লা জানান, মিরসরাই উপকূলীয় অঞ্চলকে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা করতে চট্টগ্রাম উপকূলীয় বন বিভাগের উদ্যোগে চরাঞ্চলে গোলপাতার বীজ বপন করা হয়েছে। সুফল প্রজেক্টের আওতায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১০ কিলোমিটার উপকূলীয় অঞ্চলে গোলপাতা চাষ করার সিদ্ধান্ত হলেও সুযোগ থাকায় তা বাড়িয়ে ২৫ কিলোমিটার করা হয়েছে। আগামী এক বছরের মধ্যে বপন করা বীজগুলো চারা গাছে পরিণত হবে।উল্লেখ্য, ২০২০-২১ অর্থবছরে সুফল প্রকল্পের আওতায় মিরসরাই উপকূলীয় অঞ্চলে ১০০ হেক্টর জমিতে ম্যানগোভ বাগান করেছে বন বিভাগ।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার উদ্যোগ মিরসরাই উপকূলের ২৫ কিমি জুড়ে গোলপাতা চাষ

Update Time : ০১:২০:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ মে ২০২৩

মিরসরাই,প্রতিনিধিঃ মিরসরাইয়ের উপকূলীয় অঞ্চল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা করতে ২০২২-২৩ অর্থবছরে সুফল প্রজেক্টের আওতায় ২৫ হাজার গোলপাতা বীজ বপন করেছে চট্টগ্রাম উপকূলীয় বন বিভাগ। মিরসরাই উপকূলীয় বামন সুন্দর বিটের আওতায় এ বীজগুলো বপন করা হয়েছে। এরই মধ্যে বীজগুলো চারায় পরিণত হচ্ছে। এক বছরের মধ্যে বীজগুলো সম্পূর্ণ চারায় পরিণত হবে বলে জানান মিরসরাই উপকূলীয় রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল গফুর মোল্লা।মিরসরাই উপকূলীয় বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মিরসরাই উপকূলীয় অঞ্চলকে জলোচ্ছ্বাস ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষায় চরাঞ্চলে গোলপাতার বেষ্টনী তৈরির পরিকল্পনা করেছে উপকূলীয় বন বিভাগ।তারই ধারাবাহিকতায় ১০ কিলোমিটার চরাঞ্চলে গোলপাতা বীজ বপনের সিদ্ধান্ত হয়। এতে ব্যয় ধরা হয় ১ লাখ টাকা, কিন্তু বপন করা বীজের ৫০ শতাংশ অনেক সময় নষ্ট হয়ে যায়। তাই মিরসরাই উপকূলীয় বন বিভাগ ২৫ কিলোমিটার চরাঞ্চলজুড়ে গোলপাতা চাষের সিদ্ধান্ত নেয়। গত মাসে উপজেলার বামনসুন্দর বিটের আওতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরসহ আশপাশের ২৫ কিলোমিটার চরজুড়ে ২৫ হাজার গোল পাতার বীজ বপন করা হয়। বীজগুলো চারায় পরিণত হতে শুরু করেছে।সম্প্রতি সরজমিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরসংলগ্ন চরাঞ্চলে গিয়ে দেখা যায়, সমুদ্রের কোলঘেঁষে বীজগুলো বপন করা হয়েছে। বপন করা বীজগুলো ধীরে ধীরে চারা গাছে পরিণত হচ্ছে। মিরসরাই উপকূলীয় অঞ্চলে জোয়ার-ভাটার প্রবণতা থাকায় এখানে গোলপাতা চাষের সম্ভাবনা রয়েছে। বনকর্মীরা চারাগুলোর তদারক করছেন।মিরসরাই উপকূলীয় রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল গফুর মোল্লা জানান, মিরসরাই উপকূলীয় অঞ্চলকে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা করতে চট্টগ্রাম উপকূলীয় বন বিভাগের উদ্যোগে চরাঞ্চলে গোলপাতার বীজ বপন করা হয়েছে। সুফল প্রজেক্টের আওতায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১০ কিলোমিটার উপকূলীয় অঞ্চলে গোলপাতা চাষ করার সিদ্ধান্ত হলেও সুযোগ থাকায় তা বাড়িয়ে ২৫ কিলোমিটার করা হয়েছে। আগামী এক বছরের মধ্যে বপন করা বীজগুলো চারা গাছে পরিণত হবে।উল্লেখ্য, ২০২০-২১ অর্থবছরে সুফল প্রকল্পের আওতায় মিরসরাই উপকূলীয় অঞ্চলে ১০০ হেক্টর জমিতে ম্যানগোভ বাগান করেছে বন বিভাগ।