প্রশ্নফাঁস : ঢাবির ৮৭ শিক্ষার্থীসহ ১২৫ জনের বিচারকাজ শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০১:০০:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জানুয়ারী ২০২২
  • / ১৬৪ Time View

ঢাবি প্রতিনিধি:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭ জন (বর্তমানে ১৫ জন বহিষ্কৃত) শিক্ষার্থীসহ ১২৫ জনের বিরুদ্ধে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচারকাজ শুরু হয়েছে। আগামী ৩০ মার্চ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরুর তারিখ ঠিক করা হয়েছে।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের বিচারক অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হক আজ সোমবার এ আদেশ দেন।

জানা যায়, অভিযোগ গঠনের সময় আদালতে উপস্থিত থাকা আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। মামলার পলাতক ২৫ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন আদালত। মামলায় আসামিদের মধ্যে অন্তত ২১ জন ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতা-কর্মী।

উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘ ইউনিটের প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে ২০১৭ সালের ২০ অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা করে পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৯ সালের ২৪ জুন ঢাবির ৮৭ জন শিক্ষার্থীসহ ১২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় সিআইডি। এঁদের মধ্যে ৪৬ জন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

এ বিষয়ে সিআইডির তৎকালীন প্রধান শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেছিলেন, মূলত দুভাবে জালিয়াতি হয়েছিল। একটি চক্র প্রেস থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে; অন্যটি পরীক্ষা শুরুর কয়েক মিনিট আগে কেন্দ্র থেকে প্রশ্নপত্র নিয়ে দ্রুত তা সমাধান করে ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে সরবরাহ করতেন পরীক্ষার্থীদের কাছে।

Please Share This Post in Your Social Media

প্রশ্নফাঁস : ঢাবির ৮৭ শিক্ষার্থীসহ ১২৫ জনের বিচারকাজ শুরু

Update Time : ০১:০০:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জানুয়ারী ২০২২

ঢাবি প্রতিনিধি:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭ জন (বর্তমানে ১৫ জন বহিষ্কৃত) শিক্ষার্থীসহ ১২৫ জনের বিরুদ্ধে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচারকাজ শুরু হয়েছে। আগামী ৩০ মার্চ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরুর তারিখ ঠিক করা হয়েছে।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের বিচারক অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হক আজ সোমবার এ আদেশ দেন।

জানা যায়, অভিযোগ গঠনের সময় আদালতে উপস্থিত থাকা আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। মামলার পলাতক ২৫ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন আদালত। মামলায় আসামিদের মধ্যে অন্তত ২১ জন ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতা-কর্মী।

উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘ ইউনিটের প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে ২০১৭ সালের ২০ অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা করে পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৯ সালের ২৪ জুন ঢাবির ৮৭ জন শিক্ষার্থীসহ ১২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় সিআইডি। এঁদের মধ্যে ৪৬ জন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

এ বিষয়ে সিআইডির তৎকালীন প্রধান শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেছিলেন, মূলত দুভাবে জালিয়াতি হয়েছিল। একটি চক্র প্রেস থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে; অন্যটি পরীক্ষা শুরুর কয়েক মিনিট আগে কেন্দ্র থেকে প্রশ্নপত্র নিয়ে দ্রুত তা সমাধান করে ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে সরবরাহ করতেন পরীক্ষার্থীদের কাছে।