প্রভোস্টের সই নিতে বখশিস দিতে হচ্ছে ভর্তিচ্ছুদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৯:২৯:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ১২১ Time View

শাহিন রাজা, ইবি:
হল প্রভোস্টের স্বাক্ষর নিতে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের নবীন ভর্তিচ্ছুদের থেকে রশিদ ছাড়ায় টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের(ইবি)এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জিয়াউর রহমান হলের সহকারী রেজিস্ট্রার। এঘটনায় হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওই কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে।

জানা যায়, ভর্তিচ্ছুদের ভর্তি সম্পন্ন করতে হলের টাকা জমা দেওয়ার পর প্রভোস্টের স্বাক্ষর নিতে রশিদের বাইরে অতিরিক্ত ১০০ টাকা করে নেওয়া হয়। এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি শিক্ষার্থীদের উপর চড়াও হয়। পরে হলের সিনিয়র শিক্ষার্থীরা তাকে অফিসে তালাবদ্ধ করে রাখে। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের প্রাণনাশের হুমকি দেন বলে অভিযোগ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভর্তিচ্ছু জানান, ‘ভর্তি সম্পন্ন করতে আমরা ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার পর হলের স্বাক্ষর নিতে আসলে আমাদের কাছ থেকে ১০০টাকা নেন হলের কর্মকর্তা। এসময় আমাদের কোন রশিদ দেওয়া হয়নি।’

তবে শোভন নামে এক বেতনহীন কর্মচারীর জন্য এ অর্থ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন ওই কর্মকর্তা।

কর্মকর্তা শাহ মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমাদের এখানে একজন কর্মচারী কাজ করে। সে বেতন পায় না। মূলত তার জন্য এ টাকাটা নিচ্ছি। ’

এ বিষয়ে অস্থায়ী কর্মচারী শোভন বলেন, ‘কাগজে স্বাক্ষর করার দরুন ভর্তিচ্ছুদের থেকে প্রাপ্ত অর্থের অর্ধেক টাকা মিজান স্যার আমাকে বখশিস দেন। ’

হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমি অবগত হয়েছি। রসিদ ছাড়া টাকা নেওয়া অন্যায়। আমরা তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিব।’

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

প্রভোস্টের সই নিতে বখশিস দিতে হচ্ছে ভর্তিচ্ছুদের

Update Time : ০৯:২৯:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৩

শাহিন রাজা, ইবি:
হল প্রভোস্টের স্বাক্ষর নিতে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের নবীন ভর্তিচ্ছুদের থেকে রশিদ ছাড়ায় টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের(ইবি)এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জিয়াউর রহমান হলের সহকারী রেজিস্ট্রার। এঘটনায় হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওই কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে।

জানা যায়, ভর্তিচ্ছুদের ভর্তি সম্পন্ন করতে হলের টাকা জমা দেওয়ার পর প্রভোস্টের স্বাক্ষর নিতে রশিদের বাইরে অতিরিক্ত ১০০ টাকা করে নেওয়া হয়। এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি শিক্ষার্থীদের উপর চড়াও হয়। পরে হলের সিনিয়র শিক্ষার্থীরা তাকে অফিসে তালাবদ্ধ করে রাখে। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের প্রাণনাশের হুমকি দেন বলে অভিযোগ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভর্তিচ্ছু জানান, ‘ভর্তি সম্পন্ন করতে আমরা ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার পর হলের স্বাক্ষর নিতে আসলে আমাদের কাছ থেকে ১০০টাকা নেন হলের কর্মকর্তা। এসময় আমাদের কোন রশিদ দেওয়া হয়নি।’

তবে শোভন নামে এক বেতনহীন কর্মচারীর জন্য এ অর্থ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন ওই কর্মকর্তা।

কর্মকর্তা শাহ মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমাদের এখানে একজন কর্মচারী কাজ করে। সে বেতন পায় না। মূলত তার জন্য এ টাকাটা নিচ্ছি। ’

এ বিষয়ে অস্থায়ী কর্মচারী শোভন বলেন, ‘কাগজে স্বাক্ষর করার দরুন ভর্তিচ্ছুদের থেকে প্রাপ্ত অর্থের অর্ধেক টাকা মিজান স্যার আমাকে বখশিস দেন। ’

হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমি অবগত হয়েছি। রসিদ ছাড়া টাকা নেওয়া অন্যায়। আমরা তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিব।’