প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে চাঁদাবাজির অভিযোগ, জানেনা ব্যবসায়ীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৫:৫১:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ এপ্রিল ২০২৩
  • / ১২৬ Time View

মিনহাজুল ইসলাম, জবি :

সম্প্রতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্ক থেকে সদরঘাট ফুটওভার ব্রিজ এলাকা পর্যন্ত হকার্সদের নিকট থেকে চাঁদবাজির অভিযোগ এনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়ন নামে একটি সংগঠন। এদিকে অভিযোগের ব্যাপারে কিছুই জানে না বলে দাবি করছেন এসব এলাকার হকার্স ব্যবসায়ীরা।

হকার্স ইউনিয়নের অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, প্রতিদিন বিকেল সাড়ে চারটা থেকে পাঁচটা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে সাতটা পর্যন্ত সময়ে দল বেধে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ভাঙিয়ে অর্থ উত্তোলন করা হয়। দাবিকৃত টাকা না দিলে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে তারা প্রধানমন্ত্রীর দারস্থ হয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

এদিকে এসকল অভিযোগের সূত্র ধরে ভিক্টোরিয়া পার্ক ও সদরঘাট এলাকার ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বললে তারা হকার্স ইউনিয়ন নামে কোনো সংগঠনকে চিনেনা বলে জানান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, এখানে এমন কোনো সংগঠন নেই, আমরা অভিযোগও দেইনি।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নামে কেউ টাকা নেয় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে ব্যবসা করলে টাকা দিয়েই করতে হয় কিন্তু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন ছাত্র আমাদের থেকে টাকা নেয় না। এখানের লাইনম্যান আছে তারা টাকা উত্তোলন করে।

আরেক ফল ব্যবসায়ী জানান, আমাদের কাছ থেকে আগে টাকা নিত কেউ-কেউ, এখন আর কেউ আসেনা আসলেও আমরা দেই না।

এদিকে এ ব্যাপারে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজী বলেন, এগুলো ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছুই না। যেদিন থেকে বিএনপি নেতা ইশরাকের সাথে আমাদের ঝামেলা হয়েছে সেদিন থেকে আমাদের পিছনে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। অভিযোগ যখন ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে তখন তারা আমাদের জানাতে পারতো। কিন্তু তারা আমাদের জানায়নি এমনকি আমাদের সাথে কখনো যোগাযোগ করেনি।

শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আক্তার হোসাইন বলেন, শাখা ছাত্রলীগের কেউ এসবের সাথে জড়িত নয়। আর যদি কেউ জড়িত থাকে তাহলে আমাদের জানালে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিব।

তিনি আরও বলেন, এ চিঠিতে আমরা বিব্রত। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কেউ এসবের সাথে সম্পৃক্ত নয়। যদিও কেউ থেকে থাকে আমাদের জানানো হলে আমরা নিজেরা তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিব।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায় নি।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে চাঁদাবাজির অভিযোগ, জানেনা ব্যবসায়ীরা

Update Time : ০৫:৫১:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ এপ্রিল ২০২৩

মিনহাজুল ইসলাম, জবি :

সম্প্রতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্ক থেকে সদরঘাট ফুটওভার ব্রিজ এলাকা পর্যন্ত হকার্সদের নিকট থেকে চাঁদবাজির অভিযোগ এনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়ন নামে একটি সংগঠন। এদিকে অভিযোগের ব্যাপারে কিছুই জানে না বলে দাবি করছেন এসব এলাকার হকার্স ব্যবসায়ীরা।

হকার্স ইউনিয়নের অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, প্রতিদিন বিকেল সাড়ে চারটা থেকে পাঁচটা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে সাতটা পর্যন্ত সময়ে দল বেধে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ভাঙিয়ে অর্থ উত্তোলন করা হয়। দাবিকৃত টাকা না দিলে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে তারা প্রধানমন্ত্রীর দারস্থ হয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

এদিকে এসকল অভিযোগের সূত্র ধরে ভিক্টোরিয়া পার্ক ও সদরঘাট এলাকার ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বললে তারা হকার্স ইউনিয়ন নামে কোনো সংগঠনকে চিনেনা বলে জানান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, এখানে এমন কোনো সংগঠন নেই, আমরা অভিযোগও দেইনি।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নামে কেউ টাকা নেয় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে ব্যবসা করলে টাকা দিয়েই করতে হয় কিন্তু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন ছাত্র আমাদের থেকে টাকা নেয় না। এখানের লাইনম্যান আছে তারা টাকা উত্তোলন করে।

আরেক ফল ব্যবসায়ী জানান, আমাদের কাছ থেকে আগে টাকা নিত কেউ-কেউ, এখন আর কেউ আসেনা আসলেও আমরা দেই না।

এদিকে এ ব্যাপারে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজী বলেন, এগুলো ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছুই না। যেদিন থেকে বিএনপি নেতা ইশরাকের সাথে আমাদের ঝামেলা হয়েছে সেদিন থেকে আমাদের পিছনে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। অভিযোগ যখন ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে তখন তারা আমাদের জানাতে পারতো। কিন্তু তারা আমাদের জানায়নি এমনকি আমাদের সাথে কখনো যোগাযোগ করেনি।

শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আক্তার হোসাইন বলেন, শাখা ছাত্রলীগের কেউ এসবের সাথে জড়িত নয়। আর যদি কেউ জড়িত থাকে তাহলে আমাদের জানালে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিব।

তিনি আরও বলেন, এ চিঠিতে আমরা বিব্রত। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কেউ এসবের সাথে সম্পৃক্ত নয়। যদিও কেউ থেকে থাকে আমাদের জানানো হলে আমরা নিজেরা তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিব।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায় নি।