পুষ্টিগুণে ভরা তরমুজ, বেশি খেলেও বিপদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০২:৩৪:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২১
  • / ১৬২ Time View

মৌসুমি ফলগুলোর মধ্যে তরমুজ অন্যতম। গরমের দুপুরে ঠান্ডা মিষ্টি তরমুজ ভাবতেই কেমন জিভে জল এসে যায় তাই না? তরমুজ এমন একটি ফল যেটি দেখতে যেমন অসাধারণ, খেতেও তেমনই সুস্বাদু। আবার তরমুজের স্বাস্থ্য উপকারিতাও অনেক। বাজারে খুব সহজেই তরমুজ পাওয়া যায়, উপকারের তুলনায় এর দামও সস্তা।

তরমুজের উপকারিতা-

পানিশূন্যতা পূরণ করে:

তরমুজে রয়েছে শতকরা ৯১ ভাগ পানি। যা শরীরের পানি শূন্যতা পূরণ করে। এই প্রাকৃতিক পানি ফিল্টারের পানির চেয়ে বিশুদ্ধ।

শক্তি বাড়ায়:

তরমুজে রয়েছে ভিটামিন বি যা শরীরে শক্তি যোগায়। এছাড়া তরমুজে রয়েছে পটাশিয়াম যা ইলেকট্রোলাইটের কাজ করে।

হাড়ের স্বাস্থ্য:

হাড়ের সুস্বাস্থ্যের জন্য তরমুজ খুবই উপকারি। তরমুজে রয়েছে ভিটামিন সি যেটি হাড়ের ছোট খাটো সমস্যা দূর করে। তরমুজ খাওয়ার ফলে হাড়ের চিড় ধরা রোধ করে।

মাড়ির জন্য:

তরমুজে থাকা ভিটামিন সি মাড়ির জন্য খুবই উপযোগী। ভিটামিন সি মুখের ভিতরের ব্যাকটেরিয়া ও মাড়ির সংক্রমন রোধ করতে সাহায্য করে।

কোষ নষ্ট হওয়া আটকায়:

লাইকোপেন সমৃদ্ধ তরমুজ শরীরের কোষগুলোকে হার্টের রোগ থেকে রক্ষা করে।

চোখ ভালো রাখে:

তরমুজে আছে ক্যারোটিনেড। তাই নিয়োমিত তরমুজ খেলে চোখ ভালো থাকে এবং চোখের নানা রকম সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ক্যারোটিনয়েড রাতকানা প্রতিরোধে সহায়তা করে।

কিডনী সুস্থ রাখে:

তরমুজের রস কিডনীর বর্জ্য পরিষ্কার করে। তাই কিডনীতে পাথর হলে ডাবের পানির পরিবর্তে চিকিৎসকগণ তরমুজ খাওয়ার পরামর্শ্ দেন।

ত্বক সজীব রাখে:

তরমুজে থাকা ভিটামিন সি ত্বককে সজীব রাখে। পাশাপাশি ত্বকের যে কোন সংক্রমন প্রতিরোধ করে।তরমুজ খেলে ত্বকে সহজে ভাজ ও বলিরেখা পরে না।

গর্ভবতীর জন্য:

গর্ভবতীদের বুকে জ্বালাভাব ও মাংসপেশিতে ব্যথা রোধ করে তরমুজ।

তরমুজের এতসব গুণাগুনের পাশাপাশি এর কিছু ক্ষতিকর দিকও রয়েছে। নিচে এর ক্ষতিকর দিকসমূহ দেওয়া হল-

পেটের সমস্যা:

যেকোনো কিছু অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। তরমুজেও ঠিক তাই, তরমুজ বেশি পরিমাণে খেলে পেটের সমস্যা দেখা দেয়। তরমুজে অতিরিক্ত মাত্রায় লাইকোপেন থাকায় বমি, হজমে, পেট ব্যাথা ও ডায়রিয়া দেখা দেয়।

হাইপারক্যালেমিয়া:

অতিরিক্ত পরিমাণে তরমুজ খেলে অধিক মাত্রায় পটাশিয়াম বেড়ে যায়। যার ফলে হার্টের সমস্যা, হৃদ স্পদন ও নাড়ি দুর্বল হয়ে যায়।

অ্যালার্জি:

যাদের তরমুজ খেলে অ্যালার্জি হয় তাদের তরমুজ খাওয়া উচিত না। এতে শরীরে চুলকানি ও ত্বকের লালচে ভাব দেখা দেয়।

Please Share This Post in Your Social Media

পুষ্টিগুণে ভরা তরমুজ, বেশি খেলেও বিপদ

Update Time : ০২:৩৪:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২১

মৌসুমি ফলগুলোর মধ্যে তরমুজ অন্যতম। গরমের দুপুরে ঠান্ডা মিষ্টি তরমুজ ভাবতেই কেমন জিভে জল এসে যায় তাই না? তরমুজ এমন একটি ফল যেটি দেখতে যেমন অসাধারণ, খেতেও তেমনই সুস্বাদু। আবার তরমুজের স্বাস্থ্য উপকারিতাও অনেক। বাজারে খুব সহজেই তরমুজ পাওয়া যায়, উপকারের তুলনায় এর দামও সস্তা।

তরমুজের উপকারিতা-

পানিশূন্যতা পূরণ করে:

তরমুজে রয়েছে শতকরা ৯১ ভাগ পানি। যা শরীরের পানি শূন্যতা পূরণ করে। এই প্রাকৃতিক পানি ফিল্টারের পানির চেয়ে বিশুদ্ধ।

শক্তি বাড়ায়:

তরমুজে রয়েছে ভিটামিন বি যা শরীরে শক্তি যোগায়। এছাড়া তরমুজে রয়েছে পটাশিয়াম যা ইলেকট্রোলাইটের কাজ করে।

হাড়ের স্বাস্থ্য:

হাড়ের সুস্বাস্থ্যের জন্য তরমুজ খুবই উপকারি। তরমুজে রয়েছে ভিটামিন সি যেটি হাড়ের ছোট খাটো সমস্যা দূর করে। তরমুজ খাওয়ার ফলে হাড়ের চিড় ধরা রোধ করে।

মাড়ির জন্য:

তরমুজে থাকা ভিটামিন সি মাড়ির জন্য খুবই উপযোগী। ভিটামিন সি মুখের ভিতরের ব্যাকটেরিয়া ও মাড়ির সংক্রমন রোধ করতে সাহায্য করে।

কোষ নষ্ট হওয়া আটকায়:

লাইকোপেন সমৃদ্ধ তরমুজ শরীরের কোষগুলোকে হার্টের রোগ থেকে রক্ষা করে।

চোখ ভালো রাখে:

তরমুজে আছে ক্যারোটিনেড। তাই নিয়োমিত তরমুজ খেলে চোখ ভালো থাকে এবং চোখের নানা রকম সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ক্যারোটিনয়েড রাতকানা প্রতিরোধে সহায়তা করে।

কিডনী সুস্থ রাখে:

তরমুজের রস কিডনীর বর্জ্য পরিষ্কার করে। তাই কিডনীতে পাথর হলে ডাবের পানির পরিবর্তে চিকিৎসকগণ তরমুজ খাওয়ার পরামর্শ্ দেন।

ত্বক সজীব রাখে:

তরমুজে থাকা ভিটামিন সি ত্বককে সজীব রাখে। পাশাপাশি ত্বকের যে কোন সংক্রমন প্রতিরোধ করে।তরমুজ খেলে ত্বকে সহজে ভাজ ও বলিরেখা পরে না।

গর্ভবতীর জন্য:

গর্ভবতীদের বুকে জ্বালাভাব ও মাংসপেশিতে ব্যথা রোধ করে তরমুজ।

তরমুজের এতসব গুণাগুনের পাশাপাশি এর কিছু ক্ষতিকর দিকও রয়েছে। নিচে এর ক্ষতিকর দিকসমূহ দেওয়া হল-

পেটের সমস্যা:

যেকোনো কিছু অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। তরমুজেও ঠিক তাই, তরমুজ বেশি পরিমাণে খেলে পেটের সমস্যা দেখা দেয়। তরমুজে অতিরিক্ত মাত্রায় লাইকোপেন থাকায় বমি, হজমে, পেট ব্যাথা ও ডায়রিয়া দেখা দেয়।

হাইপারক্যালেমিয়া:

অতিরিক্ত পরিমাণে তরমুজ খেলে অধিক মাত্রায় পটাশিয়াম বেড়ে যায়। যার ফলে হার্টের সমস্যা, হৃদ স্পদন ও নাড়ি দুর্বল হয়ে যায়।

অ্যালার্জি:

যাদের তরমুজ খেলে অ্যালার্জি হয় তাদের তরমুজ খাওয়া উচিত না। এতে শরীরে চুলকানি ও ত্বকের লালচে ভাব দেখা দেয়।