পুলিশের ট্রলার আটকে ছিনতাই, আহত ৬

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০১:৫৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুলাই ২০২১
  • / ১৪৯ Time View

নদী থেকে বালু উত্তোলনের চিত্র (ফাইল ছবি)। ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ছিনতাইকারীরা পুলিশের ট্রলার ডুবিয়ে দেওয়ার আগে মোবাইল, হ্যান্ডকাপ, বেল্ট, নগদ টাকা ও কাগজপত্র নিয়ে গেছে। এ সময় পুলিশ সদস্যরা নিরস্ত্র ছিলেন।

সুনামগঞ্জের ছাতকে অবৈধ বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় নদীতে নৌ পুলিশের ট্রলার আটকে ছিনতাই ও ট্রলার ডুবিয়ে দিয়েছে দূর্বৃত্তরা। এতে নৌ পুলিশের ৬ জন সদস্য আহত হয়েছেন। রবিবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যায় চেলা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে ৩ জন ছাতক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং ৩ জন  প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। আহতরা হলেন- ছাতক নৌ পুলিশের ইন্সপেক্টর মঞ্জুরুল আলম, উপ পরিদর্শক হাবিবুর রহমান, উপ পরিদর্শক সবুজ হোসেন, কনস্টেবল সাগর আহমদ, কনস্টেবল শাহজাহান ও সৈকত কুমার দেব।

ছিনতাইকারীরা পুলিশের ট্রলার ডুবিয়ে দেওয়ার আগে মোবাইল, হ্যান্ডকাপ, বেল্ট, নগদ টাকা ও কাগজপত্র নিয়ে গেছে। এ সময় পুলিশ সদস্যরা নিরস্ত্র ছিলেন।

পুলিশ সদস্যরা জানান, ছাতক পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিত নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ৬ জন সদস্য রবিবার বিকেলে নদীতে করোনাভাইরাস মহামারির টহলসহ নিয়মিত টহলে বের হন।

সন্ধ্যা ৭টার দিকে ছাতক বন বিভাগের বিট কর্মকর্তা নিতেশ ঠাকুর তাদের জানান, ছাতকের নিয়ামতপুর বনবিভাগের জায়গায় বোমা মেশিন (ড্রেজার) দিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলন করছে একটি চক্র। টহলরত পুলিশ সদস্যরা সেখানে গিয়ে দেখতে পান ৮টি বোমা মেশিন ও ৪ টা বলগেটে বালু লোড করা হচ্ছে।

এসময় পুলিশ সদস্যরা তাদের বাধা দেন এবং তালিকা করে সেখান থেকে চলে আসেন। কিছু দূর আসার পর ৪০ থেকে ৫০ জন লোক কয়েকটি ট্রলারে করে এসে পুলিশের ট্রলারের গতি রোধ করে।

এসময় তারা পুলিশের উপর হামলা করে ৮টি মোবাইল, নগদ ৫০ হাজার টাকা, হ্যান্ডকাপ, বেল্ট ও বিভিন্ন মামলার নথি নিয়ে যায়। যাওয়ার আগে পুলিশের ট্রলারটি নদীতে ডুবিয়ে দিয়ে যায়। পরে পুলিশ সদস্যরা নদী সাঁতরে পারে উঠলে স্থানীয় কয়েকজন তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে  ভর্তি করান।

খবর পেয়ে সোমবার (৫ জুলাই) নৌ পলিশ সিলেটে রেঞ্জের পুলিশ সুপার শম্পা ইয়াসমিন ছাতকে যান।

শম্পা ইয়াসমিন বলেন, “নৌ পুলিশ বাংলাদেশে পুলিশের একটি অংশ। কর্তব্য কাজ পালন করতে গিয়ে তাদের উপর দুর্বৃত্তদের হামলার বিষয়ে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ অপরাধীদের ধরতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাবে।”তবে দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ সদস্যরা নিরস্ত্রের বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।

Please Share This Post in Your Social Media

পুলিশের ট্রলার আটকে ছিনতাই, আহত ৬

Update Time : ০১:৫৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুলাই ২০২১
নিজস্ব প্রতিবেদক:

ছিনতাইকারীরা পুলিশের ট্রলার ডুবিয়ে দেওয়ার আগে মোবাইল, হ্যান্ডকাপ, বেল্ট, নগদ টাকা ও কাগজপত্র নিয়ে গেছে। এ সময় পুলিশ সদস্যরা নিরস্ত্র ছিলেন।

সুনামগঞ্জের ছাতকে অবৈধ বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় নদীতে নৌ পুলিশের ট্রলার আটকে ছিনতাই ও ট্রলার ডুবিয়ে দিয়েছে দূর্বৃত্তরা। এতে নৌ পুলিশের ৬ জন সদস্য আহত হয়েছেন। রবিবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যায় চেলা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে ৩ জন ছাতক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং ৩ জন  প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। আহতরা হলেন- ছাতক নৌ পুলিশের ইন্সপেক্টর মঞ্জুরুল আলম, উপ পরিদর্শক হাবিবুর রহমান, উপ পরিদর্শক সবুজ হোসেন, কনস্টেবল সাগর আহমদ, কনস্টেবল শাহজাহান ও সৈকত কুমার দেব।

ছিনতাইকারীরা পুলিশের ট্রলার ডুবিয়ে দেওয়ার আগে মোবাইল, হ্যান্ডকাপ, বেল্ট, নগদ টাকা ও কাগজপত্র নিয়ে গেছে। এ সময় পুলিশ সদস্যরা নিরস্ত্র ছিলেন।

পুলিশ সদস্যরা জানান, ছাতক পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিত নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ৬ জন সদস্য রবিবার বিকেলে নদীতে করোনাভাইরাস মহামারির টহলসহ নিয়মিত টহলে বের হন।

সন্ধ্যা ৭টার দিকে ছাতক বন বিভাগের বিট কর্মকর্তা নিতেশ ঠাকুর তাদের জানান, ছাতকের নিয়ামতপুর বনবিভাগের জায়গায় বোমা মেশিন (ড্রেজার) দিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলন করছে একটি চক্র। টহলরত পুলিশ সদস্যরা সেখানে গিয়ে দেখতে পান ৮টি বোমা মেশিন ও ৪ টা বলগেটে বালু লোড করা হচ্ছে।

এসময় পুলিশ সদস্যরা তাদের বাধা দেন এবং তালিকা করে সেখান থেকে চলে আসেন। কিছু দূর আসার পর ৪০ থেকে ৫০ জন লোক কয়েকটি ট্রলারে করে এসে পুলিশের ট্রলারের গতি রোধ করে।

এসময় তারা পুলিশের উপর হামলা করে ৮টি মোবাইল, নগদ ৫০ হাজার টাকা, হ্যান্ডকাপ, বেল্ট ও বিভিন্ন মামলার নথি নিয়ে যায়। যাওয়ার আগে পুলিশের ট্রলারটি নদীতে ডুবিয়ে দিয়ে যায়। পরে পুলিশ সদস্যরা নদী সাঁতরে পারে উঠলে স্থানীয় কয়েকজন তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে  ভর্তি করান।

খবর পেয়ে সোমবার (৫ জুলাই) নৌ পলিশ সিলেটে রেঞ্জের পুলিশ সুপার শম্পা ইয়াসমিন ছাতকে যান।

শম্পা ইয়াসমিন বলেন, “নৌ পুলিশ বাংলাদেশে পুলিশের একটি অংশ। কর্তব্য কাজ পালন করতে গিয়ে তাদের উপর দুর্বৃত্তদের হামলার বিষয়ে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ অপরাধীদের ধরতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাবে।”তবে দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ সদস্যরা নিরস্ত্রের বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।