পুলিশি তৎপরতায় বেড়েছে সেবার মান, কমেছে অপরাধ-মামলার সংখ্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৭:০১:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ২৫০ Time View
এনামুল হক, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় থানা পুলিশের ব্যাপক তৎপরতায় বেড়েছে সেবার মান, আর খুন-ধর্ষণসহ প্রায় সব ধরনের অপরাধ কমে এসেছে। ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে কমে এসেছে চুরির ঘটনাও।
.
মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকায় কমে এসেছে মাদক মামলাও। এমনকি বিট পুলিশের কর্মকান্ডে প্রতারণা বা নারী নির্যাতনের মামলাও কমেছে অনেকাংশে।
.
এছাড়াও, মানবিক পুলিশের ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত থাকায় বন্যার্ত, শীতার্ত ও মহামারি করোনাসহ বিভিন্ন সময়ে গরিব ও অসহায়রা পেয়েছে ত্রাণ সহায়তা। জনগনের সাথে পুলিশের সু-সম্পর্ক স্থাপন করতে কাজ করছে থানা পুলিশ। পুলিশ হয়রানি সংক্রান্ত যেকোন বিষয় জানাতে গঠন করা হয়েছে পুলিশ অভিযোগ সেল। যার সুবিধা ভোগ করছে সাধারন মানুষ। নারী ও শিশু হেল্প ডেক্সের সুবিধা পাচ্ছে নারী ও শিশুরা।
.
এছাড়াও থানায় মিডিয়া সেন্টার স্থাপন করে তথ্য আদান-প্রদানের সুবিধা অব্যাহত রেখেছে। পুলিশি সেবার মান বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে থানা এলাকায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, মাদক, জুয়া ও সন্ত্রাস তুলনামূলক ভাবে অনেক কমেছে। পারিবারিক ও সামাজিক যে কোন ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হলে দ্রুত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে। জিডি কিংবা মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে অর্থ বানিজ্যের চোখে পড়ার মতো কোন অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে না। জনগনের সেবায় থানায় ২৪ ঘন্টা দায়িত্ব পালন করছেন একজন ডিউটি অফিসার।
.
এছাড়াও জরুরী ঘটনা-দুর্ঘটনা মোকাবেলায় সার্বক্ষণিক মোবাইল টিম প্রস্তুত রয়েছে। কুইক সার্ভিস সেবা দিতে সর্বোচ্চ ২০ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সেবা দিচ্ছে পুলিশ।
.
থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৯ সালে সুন্দরগঞ্জ থানায় মোট মামলা হয়েছে ৫৩৫টি। ২০২০ সালে তা কমে হয়েছে ৪৭৭। ২০১৯ সালে থানায় ৩টি খুনের ঘটনা ঘটে। ২০২০ সালে মহামারি করোনায় লকডাউনের সময় ১২টি খুনের ঘটনা সংঘটিত হয়। যার প্রতিটি মামলায় আসামি গ্রেফতার ও দ্রুততম সময়ে মামলার রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশ একইভাবে ২০১৯ সালে চুরি ও সিধেল চুরির ঘটনা ঘটেছিল ১১টি। মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাবেও ২০২০ সালে চুরি ও সিধেল চুরির ঘটনা ৯টি ঘটেছে। ধর্ষণসহ নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে। ২০১৯ সালে ধর্ষণ, এসিড নিক্ষেপ, নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটে ৩৮টি। যা ২০২০ সালে ৬২টি ঘটেছে। তবে ৬২টি মামলার তথ্য উদঘাটন ও আসামীদের গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। গত ২০১৯ সালে মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও মাদকাসক্তদের গ্রেফতার করে ১৪২টি মামলা হয়েছিল।
.
২০২০ সালে এসে মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও মাদকাসক্তের গ্রেফতারের ঘটনায় ১০১টি মামলা হয়েছে। অন্যান্য মামলা ২০১৯ সালে ৩৪১টি হয়েছিল। বিট পুলিশের সহায়তায় স্থানীয়ভাবে মীমাংসার কারণে তা কমে ২০২০ সালে ২৯৩ টিতে এসেছে। মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার ও মাদক দ্রব্য উদ্ধার করে নিয়মিতভাবে মামলা রুজু করার কারনে উপজেলায় মাদকের প্রাদুর্ভাব অনেক হ্রাস পেয়েছে। নথি বলছে, উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় ১৮টি বিটের মাধ্যমে পুলিশ জনগণের দোরগোড়ায় আইনি সহায়তা পৌঁছে দেয়া এবং থানা পুলিশের নিয়মিত অভিযানের ফলে ২০২০ সালে ৮’শ টি জি আর ওয়ারেন্ট নিষ্পত্তি হয়েছে। এছাড়াও, সিআর ৫’শ ৫০টি, সাজাপ্রাপ্ত মামলা ২০টি ওয়ারেন্ট নিষ্পত্তি হয়েছে। বিট পুলিশের সহায়তায় মারামারিসহ প্রায় ১হাজারটি অভিযোগ স্থানীয়ভাবে সমাধান হওয়ায় মামলার সংখ্যা কমেছে।
.
এছাড়াও, ভ্রাম্যমাণ আদালতে প্রায় ৩’শ ৫০টি মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও অর্থদন্ড আদায় করা হয়। থানা সূত্রে জানা যায়, জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে ও থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহিল জামানের নেতৃত্বে ২০২০ সালে শীতার্ত প্রায় ৩হাজার পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও, চারদফা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ প্রায় সাড়ে ৩হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী দেয়া হয়। এমনকি মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে কর্মহীন ২হাজার পরিবারের মাঝে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হয়।
.
এছাড়াও, করোনাভাইরাস জনসচেতনতায় লিফলেট ও মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে। থানা পুলিশের এই সেবার মান অব্যাহত থাকলে পুলিশের উপর মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস আরো বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন এলাকার সচেতন মহল। সুন্দরগঞ্জ থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক সেলিম রেজা বলেন, ‘পুলিশের তৎপরতার কারণে অপরাধ কমে এসেছে। পুলিশি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’
.
পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম বলেন, ‘মানবিক ও জনবান্ধব পুলিশ হিসেবে জনগণের পাশে দাঁড়াতে আমরা সর্বদা কাজ করে যাচ্ছি।পাশাপাশি যে কোনো অপরাধ দমন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে সর্বদা প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।’ থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহিল জামান বলেন, ‘পুলিশ জনগনের বন্ধু, সেবাই পুলিশের ধর্ম। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে নিরলস ভাবে কাজ করছে থানা পুলিশ। থানায় আগত সেবা প্রার্থীদের সাথে সুন্দর ও ভাল আচরণ করার জন্য সকল অফিসারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। থানার সেবা পেয়ে মানুষ হাসি মুখে ফিরে যাচ্ছে এটাই স্বার্থকতা।’
Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

পুলিশি তৎপরতায় বেড়েছে সেবার মান, কমেছে অপরাধ-মামলার সংখ্যা

Update Time : ০৭:০১:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২১
এনামুল হক, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় থানা পুলিশের ব্যাপক তৎপরতায় বেড়েছে সেবার মান, আর খুন-ধর্ষণসহ প্রায় সব ধরনের অপরাধ কমে এসেছে। ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে কমে এসেছে চুরির ঘটনাও।
.
মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকায় কমে এসেছে মাদক মামলাও। এমনকি বিট পুলিশের কর্মকান্ডে প্রতারণা বা নারী নির্যাতনের মামলাও কমেছে অনেকাংশে।
.
এছাড়াও, মানবিক পুলিশের ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত থাকায় বন্যার্ত, শীতার্ত ও মহামারি করোনাসহ বিভিন্ন সময়ে গরিব ও অসহায়রা পেয়েছে ত্রাণ সহায়তা। জনগনের সাথে পুলিশের সু-সম্পর্ক স্থাপন করতে কাজ করছে থানা পুলিশ। পুলিশ হয়রানি সংক্রান্ত যেকোন বিষয় জানাতে গঠন করা হয়েছে পুলিশ অভিযোগ সেল। যার সুবিধা ভোগ করছে সাধারন মানুষ। নারী ও শিশু হেল্প ডেক্সের সুবিধা পাচ্ছে নারী ও শিশুরা।
.
এছাড়াও থানায় মিডিয়া সেন্টার স্থাপন করে তথ্য আদান-প্রদানের সুবিধা অব্যাহত রেখেছে। পুলিশি সেবার মান বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে থানা এলাকায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, মাদক, জুয়া ও সন্ত্রাস তুলনামূলক ভাবে অনেক কমেছে। পারিবারিক ও সামাজিক যে কোন ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হলে দ্রুত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে। জিডি কিংবা মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে অর্থ বানিজ্যের চোখে পড়ার মতো কোন অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে না। জনগনের সেবায় থানায় ২৪ ঘন্টা দায়িত্ব পালন করছেন একজন ডিউটি অফিসার।
.
এছাড়াও জরুরী ঘটনা-দুর্ঘটনা মোকাবেলায় সার্বক্ষণিক মোবাইল টিম প্রস্তুত রয়েছে। কুইক সার্ভিস সেবা দিতে সর্বোচ্চ ২০ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সেবা দিচ্ছে পুলিশ।
.
থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৯ সালে সুন্দরগঞ্জ থানায় মোট মামলা হয়েছে ৫৩৫টি। ২০২০ সালে তা কমে হয়েছে ৪৭৭। ২০১৯ সালে থানায় ৩টি খুনের ঘটনা ঘটে। ২০২০ সালে মহামারি করোনায় লকডাউনের সময় ১২টি খুনের ঘটনা সংঘটিত হয়। যার প্রতিটি মামলায় আসামি গ্রেফতার ও দ্রুততম সময়ে মামলার রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশ একইভাবে ২০১৯ সালে চুরি ও সিধেল চুরির ঘটনা ঘটেছিল ১১টি। মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাবেও ২০২০ সালে চুরি ও সিধেল চুরির ঘটনা ৯টি ঘটেছে। ধর্ষণসহ নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে। ২০১৯ সালে ধর্ষণ, এসিড নিক্ষেপ, নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটে ৩৮টি। যা ২০২০ সালে ৬২টি ঘটেছে। তবে ৬২টি মামলার তথ্য উদঘাটন ও আসামীদের গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। গত ২০১৯ সালে মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও মাদকাসক্তদের গ্রেফতার করে ১৪২টি মামলা হয়েছিল।
.
২০২০ সালে এসে মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও মাদকাসক্তের গ্রেফতারের ঘটনায় ১০১টি মামলা হয়েছে। অন্যান্য মামলা ২০১৯ সালে ৩৪১টি হয়েছিল। বিট পুলিশের সহায়তায় স্থানীয়ভাবে মীমাংসার কারণে তা কমে ২০২০ সালে ২৯৩ টিতে এসেছে। মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার ও মাদক দ্রব্য উদ্ধার করে নিয়মিতভাবে মামলা রুজু করার কারনে উপজেলায় মাদকের প্রাদুর্ভাব অনেক হ্রাস পেয়েছে। নথি বলছে, উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় ১৮টি বিটের মাধ্যমে পুলিশ জনগণের দোরগোড়ায় আইনি সহায়তা পৌঁছে দেয়া এবং থানা পুলিশের নিয়মিত অভিযানের ফলে ২০২০ সালে ৮’শ টি জি আর ওয়ারেন্ট নিষ্পত্তি হয়েছে। এছাড়াও, সিআর ৫’শ ৫০টি, সাজাপ্রাপ্ত মামলা ২০টি ওয়ারেন্ট নিষ্পত্তি হয়েছে। বিট পুলিশের সহায়তায় মারামারিসহ প্রায় ১হাজারটি অভিযোগ স্থানীয়ভাবে সমাধান হওয়ায় মামলার সংখ্যা কমেছে।
.
এছাড়াও, ভ্রাম্যমাণ আদালতে প্রায় ৩’শ ৫০টি মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও অর্থদন্ড আদায় করা হয়। থানা সূত্রে জানা যায়, জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে ও থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহিল জামানের নেতৃত্বে ২০২০ সালে শীতার্ত প্রায় ৩হাজার পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও, চারদফা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ প্রায় সাড়ে ৩হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী দেয়া হয়। এমনকি মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে কর্মহীন ২হাজার পরিবারের মাঝে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হয়।
.
এছাড়াও, করোনাভাইরাস জনসচেতনতায় লিফলেট ও মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে। থানা পুলিশের এই সেবার মান অব্যাহত থাকলে পুলিশের উপর মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস আরো বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন এলাকার সচেতন মহল। সুন্দরগঞ্জ থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক সেলিম রেজা বলেন, ‘পুলিশের তৎপরতার কারণে অপরাধ কমে এসেছে। পুলিশি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’
.
পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম বলেন, ‘মানবিক ও জনবান্ধব পুলিশ হিসেবে জনগণের পাশে দাঁড়াতে আমরা সর্বদা কাজ করে যাচ্ছি।পাশাপাশি যে কোনো অপরাধ দমন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে সর্বদা প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।’ থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহিল জামান বলেন, ‘পুলিশ জনগনের বন্ধু, সেবাই পুলিশের ধর্ম। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে নিরলস ভাবে কাজ করছে থানা পুলিশ। থানায় আগত সেবা প্রার্থীদের সাথে সুন্দর ও ভাল আচরণ করার জন্য সকল অফিসারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। থানার সেবা পেয়ে মানুষ হাসি মুখে ফিরে যাচ্ছে এটাই স্বার্থকতা।’