পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

  • Update Time : ১০:২৭:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪
  • / 24

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনতে ব্রিটিশ সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন।

বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এসময় ড. ইউনূস পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে ব্রিটিশ সরকারের সহযোগিতা চান।

সাক্ষাৎ শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা বৈশ্বিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জানি যে শেখ হাসিনা সরকারের সময় বাংলাদেশ থেকে প্রচুর টাকা পাচার হয়ে গেছে। যুক্তরাজ্যে বিপুল সংখ্যক মানুষ বাড়িঘর করেছেন। পাচার হওয়া এই বিপুল পরিমাণ অর্থ কিভাবে ফেরত আনা যায় সে বিষয়ে ব্রিটিশ সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন ড. ইউনূস।’

তিনি বলেন, সরকার পাচার হওয়া অর্থ ফেরত এনে দেশ পুনর্গঠনে কাজে লাগাতে চায়।

ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক ছাড়াও জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

এর আগে ড. ইউনূসের সাথে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি। এ সময় তিনি অর্থনৈতিক সহযোগিতা, শান্তি ও স্থিতিশীলতা এবং দুই দেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর বিষয়টি তুলে ধরেন।

প্রধান উপদেষ্টা দেশের ভঙ্গুর পরিস্থিতি তুলে ধরে দেশ গঠনে জাপানের কাছে আর্থিক সহযোগিতা চান। বৈঠক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জানান, গুমের প্রতিটি ঘটনা তদন্ত করা হবে। এ বিষয়ে কমিশন করার চিন্তা করছে সরকার। গুম বিষয়ে আন্তর্জাতিক কনভেনশনে ৩০ আগস্টের আগে বাংলাদেশ সই করবে।

Please Share This Post in Your Social Media

পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

Update Time : ১০:২৭:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনতে ব্রিটিশ সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন।

বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এসময় ড. ইউনূস পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে ব্রিটিশ সরকারের সহযোগিতা চান।

সাক্ষাৎ শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা বৈশ্বিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জানি যে শেখ হাসিনা সরকারের সময় বাংলাদেশ থেকে প্রচুর টাকা পাচার হয়ে গেছে। যুক্তরাজ্যে বিপুল সংখ্যক মানুষ বাড়িঘর করেছেন। পাচার হওয়া এই বিপুল পরিমাণ অর্থ কিভাবে ফেরত আনা যায় সে বিষয়ে ব্রিটিশ সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন ড. ইউনূস।’

তিনি বলেন, সরকার পাচার হওয়া অর্থ ফেরত এনে দেশ পুনর্গঠনে কাজে লাগাতে চায়।

ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক ছাড়াও জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

এর আগে ড. ইউনূসের সাথে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি। এ সময় তিনি অর্থনৈতিক সহযোগিতা, শান্তি ও স্থিতিশীলতা এবং দুই দেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর বিষয়টি তুলে ধরেন।

প্রধান উপদেষ্টা দেশের ভঙ্গুর পরিস্থিতি তুলে ধরে দেশ গঠনে জাপানের কাছে আর্থিক সহযোগিতা চান। বৈঠক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জানান, গুমের প্রতিটি ঘটনা তদন্ত করা হবে। এ বিষয়ে কমিশন করার চিন্তা করছে সরকার। গুম বিষয়ে আন্তর্জাতিক কনভেনশনে ৩০ আগস্টের আগে বাংলাদেশ সই করবে।