পঞ্চগড়ে গমের বাম্পার ফলন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১০:০৯:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ২৫৪ Time View
মো: রাশেদুল ইসলাম,পঞ্চগড়:
পঞ্চগড় জেলায় চলতি বছর গমের বাম্পার ফলন হয়েছে।এখন পর্যন্ত ভালো ফলন ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় স্বস্তিতে রয়েছে কৃষকরা। জেলার পাঁচ উপজেলা তেই কমবেশি গমের চাষ করা হয়েছে।
.
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা।বেশ কয়েকজন গম চাষীর সাথে কথা বললে ,তেঁতুলিয়া উপজেলার মোঃ হারুনুর রশিদ বলেন, এ বছর প্রথম এক একর জমিতে গম চাষ করেছি।মাঠে গেলে গমের খেত দেখে মন জুরিয়ে যায়।শেষ পর্যন্ত কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের স্বীকার না হলে এবং ঠিকঠাক মতো ফসল ঘরে তুলতে পরলে ভালোই লাভবান হব।
.
গম চাষী মোঃ আরমান হোসেন বলেন, জেলা কৃষি অফিস থেকে বীজ সার পেয়েছি। ফলন খুব ভালো হয়েছে। বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলে মোটামুটি ভাবে লাভবান হবো। মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, কৃষি অফিসের মাঠ কর্মীদের দিকনির্দেশনা মেনে চাষ করেছি। ফলন খুব ভালো হয়েছে।শেষ পর্যন্ত কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে না পরলে এবং বাজার মূল্য ভালো থাকলে অবশ্যই লাভবান হবো।
.
এ বিষয়ে জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, চলতি মৌশুমে জেলায় মোট ১৮ হাজার ৬০ হেক্টর জমিতে গমে চাষ হয়েছে।আমাদের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে সামান্য কম হলেও গত বছরের তুলনায় এবার অনেক বেশি গমের চাষ হয়েছে।
.
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে অনেক চাষীদের মাঝে সার ও বীজ সরবরাহ করা হয়েছে।পাশাপাশি মাঠকর্মীরা সব সময় সরেজমিনে পরিদর্শন করে কৃষকদের বিভিন্ন রকম পরামর্শ প্রদান করেছে।আমরা আশাবাদী কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে না পরলে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় বেশি ফসল কৃষকরা ঘরে তুলতে পারবে।
.
কৃষকদের যে কোন প্রয়োজনে সহযোগিতা ও পরামর্শের জন্য জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সবসময় প্রস্তুত রয়েছে। কৃষকদের আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদে আগ্রহী করে ও অধিক লাভবান করে তুলতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এই প্রচেষ্টা সব সময় অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

পঞ্চগড়ে গমের বাম্পার ফলন

Update Time : ১০:০৯:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১
মো: রাশেদুল ইসলাম,পঞ্চগড়:
পঞ্চগড় জেলায় চলতি বছর গমের বাম্পার ফলন হয়েছে।এখন পর্যন্ত ভালো ফলন ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় স্বস্তিতে রয়েছে কৃষকরা। জেলার পাঁচ উপজেলা তেই কমবেশি গমের চাষ করা হয়েছে।
.
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা।বেশ কয়েকজন গম চাষীর সাথে কথা বললে ,তেঁতুলিয়া উপজেলার মোঃ হারুনুর রশিদ বলেন, এ বছর প্রথম এক একর জমিতে গম চাষ করেছি।মাঠে গেলে গমের খেত দেখে মন জুরিয়ে যায়।শেষ পর্যন্ত কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের স্বীকার না হলে এবং ঠিকঠাক মতো ফসল ঘরে তুলতে পরলে ভালোই লাভবান হব।
.
গম চাষী মোঃ আরমান হোসেন বলেন, জেলা কৃষি অফিস থেকে বীজ সার পেয়েছি। ফলন খুব ভালো হয়েছে। বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলে মোটামুটি ভাবে লাভবান হবো। মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, কৃষি অফিসের মাঠ কর্মীদের দিকনির্দেশনা মেনে চাষ করেছি। ফলন খুব ভালো হয়েছে।শেষ পর্যন্ত কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে না পরলে এবং বাজার মূল্য ভালো থাকলে অবশ্যই লাভবান হবো।
.
এ বিষয়ে জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, চলতি মৌশুমে জেলায় মোট ১৮ হাজার ৬০ হেক্টর জমিতে গমে চাষ হয়েছে।আমাদের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে সামান্য কম হলেও গত বছরের তুলনায় এবার অনেক বেশি গমের চাষ হয়েছে।
.
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে অনেক চাষীদের মাঝে সার ও বীজ সরবরাহ করা হয়েছে।পাশাপাশি মাঠকর্মীরা সব সময় সরেজমিনে পরিদর্শন করে কৃষকদের বিভিন্ন রকম পরামর্শ প্রদান করেছে।আমরা আশাবাদী কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে না পরলে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় বেশি ফসল কৃষকরা ঘরে তুলতে পারবে।
.
কৃষকদের যে কোন প্রয়োজনে সহযোগিতা ও পরামর্শের জন্য জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সবসময় প্রস্তুত রয়েছে। কৃষকদের আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদে আগ্রহী করে ও অধিক লাভবান করে তুলতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এই প্রচেষ্টা সব সময় অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।