নেত্রকোনায় সরকারি খাল দখল করে মাটি ভরাটের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১২:৩৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ১৪১ Time View

 

ইকবাল হাসান,নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি: 

নেত্রকোনার জেলার মদন উপজেলার গোবিন্দশ্রী গ্রামের মাঝিপাড়া খাল দখল করার অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে। ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, গোবিন্দশ্রী গ্রামের নাসিরউজ্জিয়াল হাটি ও
মাঝি পাড়ার মাঝখানে অবস্থিত এ খালটি। যাহার দাগ নং ৩৯৯৫ এ দাগে কালের জায়গা রয়েছে ২৮ শতক।

এছাড়াও ৪০১২ দাগের জমি রয়েছে ২৭শতক এর মধ্যে মালিকানা জায়গা রয়েছে ৯ শতক। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গোবিন্দশ্রী গ্রামের নসিরউজ্জিয়াল হাটি ও মাঝিপাড়া মাঝখানে অবস্থিত খালটি দখল করে মাটি ভরাট করেছেন গোবিন্দশ্রী গ্রামের প্রভাবশালী মোঃ ফারুক চৌধুরী। গ্রামবাসীর বাধা উপেক্ষা করে মাটি ভরাট করে দখল করছে তিনি। এ খালের মধ্যে অবৈধভাবে বন্দোবস্ত নিয়ে সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর বরাদ্দ নিয়ে
নির্মাণ করেছেন।

বুধবার সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, করিম,সাইফুল ইসলাম,আইয়ুব আলী ও এরশাদ মাস্টার সহ অনেকেই জানান, এই খাল দিয়ে বর্ষা মৌসুমে ধান বহনকারী (ব্যাপারী নৌকা) চলাচল করত।

এ ছাড়াও ছাওর নদীর সাথে হাওরের সংযোগ ছিল। ফারুক চৌধুরী খালটি ভরাট করে পানি নিষ্কাশনসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা বন্ধ করে দিয়েছে  এবং তিনি আরও বলেন আমাকে সরানোর মতো কোন শক্তি এই
গ্রামে নেই।

তারা আরো বলেন, খালের অংশটি ছাড়াও ব্যক্তি মালিকানা এরশাদ মাস্টারের পৈত্রিক ও সরকারি জায়গা দখল করে নিয়েছে ফারুক চৌধুরী।

অভিযুক্ত ফারুক চৌধুরী বলেন, এটা আমার বন্দোবস্তকৃত জায়গা সরকার আমাকে বন্দোবস্ত দিয়েছে এবং সরকারি একটি ঘর পেয়েছি যা এখানে নির্মাণ করা হয়েছে। সরকার যদি আমাকে এখান থেকে উঠিয়ে দে আমি
চলে যাব। কিন্তু এটা কোন ব্যক্তিগত জায়গা নয়।  এরশাদ মাস্টারের জায়গার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি সরকারের জায়গায় মরিচের ক্ষেত আবাত করেছি। নায়েব সাহেব বললে
আমি চলে যাব। কারো কথায় আমি যাব না।

সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা রূপক বলেন, ফারুক চৌধুরী যে খালটিতে ঘর নির্মাণ করেছে এটি সরকারি খাল। সরকারি বিধি মোতাবেক খালে বন্দোবস্ত হয় না। তিনি কিভাবে বন্দোবস্ত  নিয়েছেন উনি
জানেন।

সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান এ কে এম নুরুল ইসলাম জানান, ফারুক চৌধুরী ঘরটি দুই বছর আগে নির্মাণ হয়েছে। তার নামে বন্দোবস্ত থাকায় এখানে ঘর করা হয়েছে।

মদন উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ জানান, গোবিন্দশ্রী গ্রামের মাঝির খাল ভরাটের অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

নেত্রকোনায় সরকারি খাল দখল করে মাটি ভরাটের অভিযোগ

Update Time : ১২:৩৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১

 

ইকবাল হাসান,নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি: 

নেত্রকোনার জেলার মদন উপজেলার গোবিন্দশ্রী গ্রামের মাঝিপাড়া খাল দখল করার অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে। ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, গোবিন্দশ্রী গ্রামের নাসিরউজ্জিয়াল হাটি ও
মাঝি পাড়ার মাঝখানে অবস্থিত এ খালটি। যাহার দাগ নং ৩৯৯৫ এ দাগে কালের জায়গা রয়েছে ২৮ শতক।

এছাড়াও ৪০১২ দাগের জমি রয়েছে ২৭শতক এর মধ্যে মালিকানা জায়গা রয়েছে ৯ শতক। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গোবিন্দশ্রী গ্রামের নসিরউজ্জিয়াল হাটি ও মাঝিপাড়া মাঝখানে অবস্থিত খালটি দখল করে মাটি ভরাট করেছেন গোবিন্দশ্রী গ্রামের প্রভাবশালী মোঃ ফারুক চৌধুরী। গ্রামবাসীর বাধা উপেক্ষা করে মাটি ভরাট করে দখল করছে তিনি। এ খালের মধ্যে অবৈধভাবে বন্দোবস্ত নিয়ে সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর বরাদ্দ নিয়ে
নির্মাণ করেছেন।

বুধবার সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, করিম,সাইফুল ইসলাম,আইয়ুব আলী ও এরশাদ মাস্টার সহ অনেকেই জানান, এই খাল দিয়ে বর্ষা মৌসুমে ধান বহনকারী (ব্যাপারী নৌকা) চলাচল করত।

এ ছাড়াও ছাওর নদীর সাথে হাওরের সংযোগ ছিল। ফারুক চৌধুরী খালটি ভরাট করে পানি নিষ্কাশনসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা বন্ধ করে দিয়েছে  এবং তিনি আরও বলেন আমাকে সরানোর মতো কোন শক্তি এই
গ্রামে নেই।

তারা আরো বলেন, খালের অংশটি ছাড়াও ব্যক্তি মালিকানা এরশাদ মাস্টারের পৈত্রিক ও সরকারি জায়গা দখল করে নিয়েছে ফারুক চৌধুরী।

অভিযুক্ত ফারুক চৌধুরী বলেন, এটা আমার বন্দোবস্তকৃত জায়গা সরকার আমাকে বন্দোবস্ত দিয়েছে এবং সরকারি একটি ঘর পেয়েছি যা এখানে নির্মাণ করা হয়েছে। সরকার যদি আমাকে এখান থেকে উঠিয়ে দে আমি
চলে যাব। কিন্তু এটা কোন ব্যক্তিগত জায়গা নয়।  এরশাদ মাস্টারের জায়গার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি সরকারের জায়গায় মরিচের ক্ষেত আবাত করেছি। নায়েব সাহেব বললে
আমি চলে যাব। কারো কথায় আমি যাব না।

সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা রূপক বলেন, ফারুক চৌধুরী যে খালটিতে ঘর নির্মাণ করেছে এটি সরকারি খাল। সরকারি বিধি মোতাবেক খালে বন্দোবস্ত হয় না। তিনি কিভাবে বন্দোবস্ত  নিয়েছেন উনি
জানেন।

সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান এ কে এম নুরুল ইসলাম জানান, ফারুক চৌধুরী ঘরটি দুই বছর আগে নির্মাণ হয়েছে। তার নামে বন্দোবস্ত থাকায় এখানে ঘর করা হয়েছে।

মদন উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ জানান, গোবিন্দশ্রী গ্রামের মাঝির খাল ভরাটের অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।